০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আইনজীবীদের সংখ্যা বাড়লে সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে : প্রধান বিচারপতি

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩
  • / ৯৬ বার পড়া হয়েছে

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বাড়লে সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে। বুধবার (৩ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৭২ সালে এ দেশে ১৫২টি প্রেসিডেন্সিয়াল রুল জারি হয়। এটা এত দ্রুত সম্ভব হয়েছে কারণ সেই সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। আমি চাই আপনারা পার্লামেন্টে আসুন এবং জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করুন। এই সংসদে যদি ১০০ আইনজীবী থাকত তাহলে সংসদ কত সুন্দর হত। আমি আশা করব আপনারা পার্লামেন্টে যাবেন।

তিনি বলেন, বিচার বেচাকেনার জিনিস নয়, কোনো বিচারক যদি বিচার বেচাকেনা করেন; তাহলে সেটা ডাকাতির চেয়ে খারাপ। এ ধরনের বিচারককে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। অনেক সময় বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার পেতে কষ্ট হয়। এখনও আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে। তাদের বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে পারাটাই সাফল্য। বিচারপ্রার্থীরা যাতে স্বল্প সময়ে বিচার পায় সে জন্য বিচারকদের পাশাপাশি আইনজীবীদের সহযোগিতা দরকার।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক। বারের সহযোগিতা ছাড়া বেঞ্চ চলতে পারে না। আবার বেঞ্চের সহযোগিতা ছাড়া বার চলতো পারে না। আদালত পিছিয়ে থাকলে রাষ্ট্রও পিছিয়ে থাকবে। আমরা চাই জুডিশিয়ারিও সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। আমি যখন লইয়ারদের সংস্পর্শে আসি তখন আমার মনে হয় আমি তাদেরই একজন। আমি দীর্ঘদিন এই পেশায় ছিলাম।

সিনিয়র আইনজীবীদের দেখলে বা কথা বললে মনে হয় তাদের সঙ্গে যদি আরও মিশতে পারতাম আরও অনেক শিখতে পারতাম। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে। বিশেষ করে যারা এখানে জুনিয়র আছেন তাদের। যারা আদালতের বারান্দায় ঘুরে সঠিক বিচার পায় না তাদের বিচার নিশ্চিত করা শুধু সরকারের নয়, এটা আইনজীবীদেরও দায়িত্ব। কত মানুষ এই আদালতে ঘুরে। তারা যদি বলে দেশে আইনের বিচার নেই, তাহলে আমরা কষ্ট পাব। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করি।

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আইনজীবীদের সংখ্যা বাড়লে সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে : প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় ১০:৪৬:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বাড়লে সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে। বুধবার (৩ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বিচারক ও আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ১৯৭২ সালে এ দেশে ১৫২টি প্রেসিডেন্সিয়াল রুল জারি হয়। এটা এত দ্রুত সম্ভব হয়েছে কারণ সেই সংসদে আইনজীবীদের সংখ্যা বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি ছিল। আমি চাই আপনারা পার্লামেন্টে আসুন এবং জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করুন। এই সংসদে যদি ১০০ আইনজীবী থাকত তাহলে সংসদ কত সুন্দর হত। আমি আশা করব আপনারা পার্লামেন্টে যাবেন।

তিনি বলেন, বিচার বেচাকেনার জিনিস নয়, কোনো বিচারক যদি বিচার বেচাকেনা করেন; তাহলে সেটা ডাকাতির চেয়ে খারাপ। এ ধরনের বিচারককে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। অনেক সময় বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার পেতে কষ্ট হয়। এখনও আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে। তাদের বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে পারাটাই সাফল্য। বিচারপ্রার্থীরা যাতে স্বল্প সময়ে বিচার পায় সে জন্য বিচারকদের পাশাপাশি আইনজীবীদের সহযোগিতা দরকার।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, আইনজীবী ও বিচারক একে অপরের পরিপূরক। বারের সহযোগিতা ছাড়া বেঞ্চ চলতে পারে না। আবার বেঞ্চের সহযোগিতা ছাড়া বার চলতো পারে না। আদালত পিছিয়ে থাকলে রাষ্ট্রও পিছিয়ে থাকবে। আমরা চাই জুডিশিয়ারিও সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে। আমি যখন লইয়ারদের সংস্পর্শে আসি তখন আমার মনে হয় আমি তাদেরই একজন। আমি দীর্ঘদিন এই পেশায় ছিলাম।

সিনিয়র আইনজীবীদের দেখলে বা কথা বললে মনে হয় তাদের সঙ্গে যদি আরও মিশতে পারতাম আরও অনেক শিখতে পারতাম। তাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক শেখার আছে। বিশেষ করে যারা এখানে জুনিয়র আছেন তাদের। যারা আদালতের বারান্দায় ঘুরে সঠিক বিচার পায় না তাদের বিচার নিশ্চিত করা শুধু সরকারের নয়, এটা আইনজীবীদেরও দায়িত্ব। কত মানুষ এই আদালতে ঘুরে। তারা যদি বলে দেশে আইনের বিচার নেই, তাহলে আমরা কষ্ট পাব। তাই আসুন আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করি।

অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আস শামস জগলুল হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেলসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।