০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

আগামী নির্বাচনে কেউ না এলে সেই দোষ বিএনপির : আইনমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি কোনো দল না আসে তাহলে সেই দোষ বিএনপির। সোমবার (১ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপের সিরাজুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, সামরিক সরকার নির্বাচন করতে পারবে না বলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের আদালত রায় দিয়েছেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। আমরা সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করছি। যদি সেই সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ না আসে আর যদি কেউ নির্বাচনে যাওয়ার সময় অগ্নিসন্ত্রাস করে তাহলে সে দোষ আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপি সন্ত্রাসীদের। নির্বাচন কমিশন যেদিন সময় দেবেন সেই দিনই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলা আওয়ামী লীগ করেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারই এ মামলা করেছে। দুটি দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। আদালত প্রথমে তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন। পরে হাইকোর্টে আপিল করায় সাজা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আপিল করেও জামিন পাননি। করোনার সময় অসুস্থ থাকায় খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে বাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তখন ওনার শরীর অনেক খারাপ ছিল।

বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ওনাকে অনেকটাই সুস্থ করেছেন। এখন আবারও হাসপাতালে গিয়েছেন। খালেদা জিয়া সুস্থই আছেন। নিয়মিত চেকআপের জন্য তিনি হাসপাতালে গিয়েছেন। আনিসুল হক আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলনের জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর মহানুভূতি থেকেই তাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে হবে। এ বিষয়ে বিদেশে যাবার বিবেচনার কোনো আইন নেই। তাই কোনো বিবেচনা করা হবে না। অনুষ্ঠানে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আবারও শিক্ষক সমাবেশে সেই সমস্যার জবাব দেবেন বলে জানান।

কসবা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এইচ এম সারওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল এহসান খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ভূঁইয়া কাওসার জীবন, কসবা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

আগামী নির্বাচনে কেউ না এলে সেই দোষ বিএনপির : আইনমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:৪৭:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি কোনো দল না আসে তাহলে সেই দোষ বিএনপির। সোমবার (১ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপের সিরাজুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, সামরিক সরকার নির্বাচন করতে পারবে না বলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়োগ করা হয়েছিল। বাংলাদেশের আদালত রায় দিয়েছেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ। আমরা সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচন করছি। যদি সেই সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ না আসে আর যদি কেউ নির্বাচনে যাওয়ার সময় অগ্নিসন্ত্রাস করে তাহলে সে দোষ আওয়ামী লীগের নয়, বিএনপি সন্ত্রাসীদের। নির্বাচন কমিশন যেদিন সময় দেবেন সেই দিনই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলা আওয়ামী লীগ করেনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারই এ মামলা করেছে। দুটি দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। আদালত প্রথমে তাকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছেন। পরে হাইকোর্টে আপিল করায় সাজা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন আপিল করেও জামিন পাননি। করোনার সময় অসুস্থ থাকায় খালেদা জিয়াকে দুটি শর্তে বাড়িতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তখন ওনার শরীর অনেক খারাপ ছিল।

বাংলাদেশের চিকিৎসকরা ওনাকে অনেকটাই সুস্থ করেছেন। এখন আবারও হাসপাতালে গিয়েছেন। খালেদা জিয়া সুস্থই আছেন। নিয়মিত চেকআপের জন্য তিনি হাসপাতালে গিয়েছেন। আনিসুল হক আরও বলেন, বিএনপির আন্দোলনের জন্য খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর মহানুভূতি থেকেই তাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশেই খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নিতে হবে। এ বিষয়ে বিদেশে যাবার বিবেচনার কোনো আইন নেই। তাই কোনো বিবেচনা করা হবে না। অনুষ্ঠানে তিনি প্রাথমিক শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আবারও শিক্ষক সমাবেশে সেই সমস্যার জবাব দেবেন বলে জানান।

কসবা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এইচ এম সারওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল এহসান খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল ভূঁইয়া কাওসার জীবন, কসবা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।