০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ইসরায়েল ইস্যুতে বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ত হারাল ইন্দোনেশিয়া

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৬:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
  • / ৭৬ বার পড়া হয়েছে

আগামী মে মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ছিল। ২৪টি আন্তর্জাতিক যুবদলের এই টুর্নামেন্টটি ২০ মে শুরু হয়ে জুনের ১১ তারিখ পর্যন্ত দেশটির ৬টি শহরে হওয়ার কথা ছিল। এজন্য আয়োজনের সব প্রস্তুতিই প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিল ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ত কেড়ে নিয়েছে ফিফা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের গভর্নর ওয়েইয়ান কোসতার ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এ প্রদেশে ইসরায়েলের খেলায় অংশগ্রহণের ওপর আপত্তি জানিয়েছিল। এই কারণেই বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ২০২৩ এর আয়োজক হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার নাম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যত দ্রুত সম্ভব নতুন আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করা হবে। প্রতিযোগিতার সময়সূচিতে আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না’। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএসএসআই) প্রধান এরিক তোহিরের এক বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে শুধু বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া নয়, পিএসএসআইয়ের ওপর আরও বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এদিকে যুব বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে ইসরায়েল। তবে মুসলিম অধ্যুষিত ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম বড় দ্বীপ বালি ইসরায়েলের ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায়। এমনকি টুর্নামেন্টের ড্র স্থগিত করে দেয় আয়োজক দেশটি। এরপরই দেশটির বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা বাতিল করার ঘোষণা দেয় ফিফা। পিএসএসআই প্রেসিডেন্ট এরিক তোহির বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া হচ্ছে ফিফার সদস্য। সুতরাং, ফুটবল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক যত বিষয় আছে, সেখানে অবশ্যই ফিফার নিয়ম আমাদেরকে পালন করতে হবে।

আমি আমাদের দেশের সব ফুটবলপ্রেমী মানুষকে আহ্বান জানাবো, এই কঠিন সময়ে তারা যেন মাথা উঁচু করে থাকে। এখন সময় আমাদের নিজেদেরকে স্বচ্ছ প্রমাণ করা।’ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ধাপ ছিল এবং এই সম্মান হারানোতে ফুটবল বিশ্বে দেশটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে ইন্দোনেশিয়া জাতীয় দলকে নিষিদ্ধ এবং দেশটির ফুটবল লীগের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ২৭ কোটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশটি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীকে সমর্থন করে। তাই ইসরায়েল-বিরোধী মনোভাব প্রকট ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমদের মাঝে। এজন্য চলতি মাসের শুরুর দিকে বিক্ষোভও করেন হাজার হাজার মানুষ।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ইসরায়েল ইস্যুতে বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ত হারাল ইন্দোনেশিয়া

আপডেট সময় ০৬:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩

আগামী মে মাসে ইন্দোনেশিয়ায় অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ছিল। ২৪টি আন্তর্জাতিক যুবদলের এই টুর্নামেন্টটি ২০ মে শুরু হয়ে জুনের ১১ তারিখ পর্যন্ত দেশটির ৬টি শহরে হওয়ার কথা ছিল। এজন্য আয়োজনের সব প্রস্তুতিই প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিল ইন্দোনেশিয়া। কিন্তু হঠাৎ করেই তাদের বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ত কেড়ে নিয়েছে ফিফা।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের গভর্নর ওয়েইয়ান কোসতার ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়ে এ প্রদেশে ইসরায়েলের খেলায় অংশগ্রহণের ওপর আপত্তি জানিয়েছিল। এই কারণেই বিশ্বকাপ আয়োজনের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ২০২৩ এর আয়োজক হিসেবে ইন্দোনেশিয়ার নাম বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

যত দ্রুত সম্ভব নতুন আয়োজক দেশের নাম ঘোষণা করা হবে। প্রতিযোগিতার সময়সূচিতে আপাতত কোনো পরিবর্তন আসছে না’। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (পিএসএসআই) প্রধান এরিক তোহিরের এক বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে শুধু বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া নয়, পিএসএসআইয়ের ওপর আরও বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

এদিকে যুব বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে ইসরায়েল। তবে মুসলিম অধ্যুষিত ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম বড় দ্বীপ বালি ইসরায়েলের ম্যাচ আয়োজনে অস্বীকৃতি জানায়। এমনকি টুর্নামেন্টের ড্র স্থগিত করে দেয় আয়োজক দেশটি। এরপরই দেশটির বিশ্বকাপ আয়োজকের মর্যাদা বাতিল করার ঘোষণা দেয় ফিফা। পিএসএসআই প্রেসিডেন্ট এরিক তোহির বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়া হচ্ছে ফিফার সদস্য। সুতরাং, ফুটবল সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক যত বিষয় আছে, সেখানে অবশ্যই ফিফার নিয়ম আমাদেরকে পালন করতে হবে।

আমি আমাদের দেশের সব ফুটবলপ্রেমী মানুষকে আহ্বান জানাবো, এই কঠিন সময়ে তারা যেন মাথা উঁচু করে থাকে। এখন সময় আমাদের নিজেদেরকে স্বচ্ছ প্রমাণ করা।’ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব পাওয়া ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ধাপ ছিল এবং এই সম্মান হারানোতে ফুটবল বিশ্বে দেশটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে ইন্দোনেশিয়া জাতীয় দলকে নিষিদ্ধ এবং দেশটির ফুটবল লীগের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।

উল্লেখ্য যে, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ২৭ কোটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশটি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী জনগোষ্ঠীকে সমর্থন করে। তাই ইসরায়েল-বিরোধী মনোভাব প্রকট ইন্দোনেশিয়ার মুসলিমদের মাঝে। এজন্য চলতি মাসের শুরুর দিকে বিক্ষোভও করেন হাজার হাজার মানুষ।