ঈদের তৃতীয় দিনেও ফাঁকা রাজধানীর সড়ক
- আপডেট সময় ১১:২২:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩
- / ৮১ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন আজ সোমবার। রাজধানীর সড়কগুলোতে নেই কোনও যানজট, নেই গাড়ির হর্ন। যেন এক নীরব শহরে নগরবাসীর প্রশান্তির বসবাস।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে এমন চিত্র। তবে সড়কে বেশি যানবাহন না থাকলেও রিকশা ও সিএনজির উপস্থিতি দেখা গেছে। গতকালের তুলনায় সড়কে বাসের সংখ্যা কিছু বেশি থাকলেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় সেই সংখ্যা খুবই কম। টানা পাঁচদিন ঈদের ছুটি শেষে সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খুলেছে আজ। ছুটি শেষ হওয়ায় ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আজ থেকে রমজানের আগের সময়সূচি ধরে অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে অফিস। ছুটি শেষে অফিস খুললেও তার খুব একটা প্রভাব সড়কে দেখা যায়নি। শুধু যানবাহনই নয় মানুষের উপস্থিতিও অনেকটা কম। তাই রাস্তায় সিএনজি ও রিকশার আধিপত্য থাকলেও যাত্রীর অভাবে অলস সময় পার করছেন চালকরা। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, দুদিন আগেও যে সড়কে ছিল যানজট, সেই দৃশ্য শতভাগ পাল্টে গেছে। গোটা এলাকায় সুনসান নীরবতা। কয়েকটি রিকশা, সিএনজি আর প্রাইভেটকার ছাড়া এই সড়কে দেখা যায়নি তেমন কোনো বড় যানবাহন।
একই অবস্থা দেখা গেছে, মগবাজার, মালিবাগ, গুলিস্তান, শান্তিনগর, শাহবাগ, মহাখালীসহ বিভিন্ন সড়কে। মানুষের যাতায়াত কম হওয়ায় এসব সড়ক আজও অনেকটা ফাঁকা। এসব এলাকায় গাড়ির চাপ নেই। নগরজুড়ে চলছে ছুটির আমেজ। বেলাল নামে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বলেন, সকালে আমি যাত্রাবাড়ী থেকে রওনা দিয়েছি, কিন্তু রাস্তায় কোনো যাত্রী না পেয়ে গুলিস্তান চলে এসেছি। রাস্তা একেবারে ফাঁকা। বেশির ভাগ মানুষ গ্রামে চলে গেছে। তবুও গাড়ি নিয়ে বের হতে হয়েছে।
পরিবার তো চালাতে হবে। তবে যাত্রী পাওয়া গেলে এ সময় গাড়ি চালিয়ে অনেক মজা পাওয়া যায়। কারণ, সড়কে কোনো যানজট নেই। আশা করছি, বিকেলে যাত্রী ভালো পাওয়া যাবে। রিকশাচালক আকরাম হোসেন বলেন, রাস্তা একেবারে খালি। জ্যামও নেই, আবার যাত্রীও নেই। ফাঁকা রাস্তায় রিকশা চালাইতে ভালো লাগে। ভাড়া কম হইলেও পোষায়। কিন্তু মানুষ ঢাকায় তেমন নাই, যাত্রীও পাই না।
মনে হয় ১২টার পর মানুষ বাইর হইবো। যাত্রী যদি না থাকে ফাঁকা রাস্তা থাকলেই আমগো লাভ কী! এবার শবে কদরের ছুটির পর ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার আগে গত ২০ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অফিস খোলা ছিল। ঈদুল ফিতরের ছুটির সঙ্গে ওইদিন (২০ এপ্রিল) নির্বাহী আদেশে বাড়তি একদিন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার।