০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

‘গণহত্যা দিবস’-এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৬৭ বার পড়া হয়েছে

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে জাতীয়ভাবে দেশে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হচ্ছে।

স্বাধীনের পর থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘরসহ নানা সংগঠনের প্রচেষ্টায় গত কয়েক দশকে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষও গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে দেশে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।

ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম গণহত্যা হলেও জাতিসংঘে বা আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানিক কোনো দলিলে এর স্বীকৃতি এখনো নেই। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে আর তার ধারাবাহিকতা অনুসরণ করা হয়নি। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় স্বাগত বক্তব্যে সরকারপ্রধান গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘গণহত্যা দিবস’-এর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৮:১৯:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২০১৮ সাল থেকে জাতীয়ভাবে দেশে ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালিত হচ্ছে।

স্বাধীনের পর থেকে গণহত্যার স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, ওয়ার ক্রাইমস ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গণহত্যা জাদুঘরসহ নানা সংগঠনের প্রচেষ্টায় গত কয়েক দশকে গণহত্যার স্বীকৃতির দাবি জোরালো হয়। বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষও গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে দেশে নানা কর্মসূচি পালন করে থাকে।

ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম গণহত্যা হলেও জাতিসংঘে বা আন্তর্জাতিক প্রাতিষ্ঠানিক কোনো দলিলে এর স্বীকৃতি এখনো নেই। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরে আর তার ধারাবাহিকতা অনুসরণ করা হয়নি। শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় স্বাগত বক্তব্যে সরকারপ্রধান গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চান।