০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব প্রথম যেখানে পড়বে

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। তবে, তার একদিন আগে থেকেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম প্রভাব শুরু হবে। শনিবার (১৩ মে) এসব এলাকায় দমকা বাতাস ও ভারি বৃষ্টি শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) ‍দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ আরও শক্তি অর্জন করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র এখন ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে।

গতকাল (বুধবার) এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। আজিজুর রহমান বলেন, গতি পরিবর্তন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) ঠিক কখন উপকূলে আঘাত হানবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডরের যেসব বৈশিষ্ট্য ছিল মোখাও সেদিকেই যাচ্ছে। মোখার অগ্রভাগের প্রথম প্রভাব পড়বে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায়।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১‌৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব প্রথম যেখানে পড়বে

আপডেট সময় ০৮:৪৫:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রোববার (১৪ মে) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে। তবে, তার একদিন আগে থেকেই চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম প্রভাব শুরু হবে। শনিবার (১৩ মে) এসব এলাকায় দমকা বাতাস ও ভারি বৃষ্টি শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) ‍দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ আরও শক্তি অর্জন করে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র এখন ঘণ্টায় ৮ কিলোমিটার গতিতে এগিয়ে আসছে।

গতকাল (বুধবার) এর গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৬ কিলোমিটার। আজিজুর রহমান বলেন, গতি পরিবর্তন হওয়ায় ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (১৪ মে) ঠিক কখন উপকূলে আঘাত হানবে সেটি সুনির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিডরের যেসব বৈশিষ্ট্য ছিল মোখাও সেদিকেই যাচ্ছে। মোখার অগ্রভাগের প্রথম প্রভাব পড়বে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায়।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১১‌৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল ঘূর্ণিঝড়টি।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে শুক্রবার (১২ মে) সকাল পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।