১২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১৪৯ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রস্তুত

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১১:১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ৮৪ বার পড়া হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় ১৯ জেলার ১৪৯টি ফায়ার স্টেশন প্রস্তুত রয়েছে। এসব স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সবাইকে সতর্ক ডিউটিতে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, উপকূলবর্তী দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি ফায়ার স্টেশনের আটজনের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, ৫ জনের প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল এবং ছয়জনের একটি করে ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ১০ হাজার ৬০৩ ভলান্টিয়ার রয়েছে।

এ ছাড়া যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩ এ ফোন করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বুধবার (১০ মে) রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি আগামী ১৩ মে রাত থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়োহাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ১৪৯ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন প্রস্তুত

আপডেট সময় ১১:১১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় ১৯ জেলার ১৪৯টি ফায়ার স্টেশন প্রস্তুত রয়েছে। এসব স্টেশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করে সবাইকে সতর্ক ডিউটিতে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।

বুধবার (১০ মে) সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, উপকূলবর্তী দুর্যোগপ্রবণ এলাকার জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতি ফায়ার স্টেশনের আটজনের সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম, ৫ জনের প্রাথমিক চিকিৎসাকারী দল এবং ছয়জনের একটি করে ওয়াটার রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষিত ১০ হাজার ৬০৩ ভলান্টিয়ার রয়েছে।

এ ছাড়া যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের নিকটবর্তী ফায়ার স্টেশন, বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের হটলাইন নম্বর ১৬১৬৩ এ ফোন করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি বুধবার (১০ মে) রাতের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এটি আগামী ১৩ মে রাত থেকে ১৪ মে সকালের মধ্যে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল।

এটি আরও ঘণীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তীতে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়োহাওয়া আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।