১০:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

জেল খাটার পর ফের স্বর্ণের দোকান খুলছেন আরাভ খান

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১১:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ৩৭ দিন জেলে ছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে এ কথা জানান তিনি। এর আগে একই দিন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবারও তার স্বর্ণের দোকান খোলার ঘোষণা দিয়েছেন আরাভ খান।

ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আজ থেকে আরাব জুয়েলার্স ওপেন করলাম আপনারা সকলে আমন্ত্রিত। আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন দোয়া করেছেন আপনাদের জন্য সর্বদা নামাজ পড়ে আমার অন্তর থেকে দোয়া করবেন আমিন।’স্ট্যাটাসের সঙ্গে ‘আরাভ জুয়েলার্সের’ সামনে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন আরাভ। এদিকে পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা সামনে আনায় ৩৭ দিন জেল খাটতে হয় আরাভ খানকে। এজন্য তিনি লাইভে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের গালিগালাজও করেন।

ফেসবুক লাইভে আরাভ খান বলেন, অনেকে বলেছে আমি দুবাই ছেড়ে পালিয়েছি। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, আমি পালানোর লোক না। আমি চুরি করি নাই, আমি কেন পালাব। আমার নামে যখন ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি হয়, তখন তারা আমাকে ফোন করে। আমাকে ফোন করে জানায় যে তাদের কাছে আমার নামে একটি ফাইল এসেছে। ইন্টারপোল বলেছে তারা আমাকে গ্রেপ্তার করবে। তবে তারা বলেছে আপনি গ্রেপ্তার করার থেকে আপনি আমাদের কাছে এলে তা সব থেকে ভালো হবে।

লাইভে তিনি বলেন, তখন আমি দেখলাম পালিয়ে গেলে তারা আমাকে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমি কেন পালাব, আমি তো কোনো চোর না। আমাকে ইন্টারপোল নিয়ে গেল, সেখানে রাখল ১ মাস ৭ দিন। আমার জীবন থেকে ১ মাস ৭ দিন চলে গেছে ইন্টারপোলের জেলে। আমি অনেক বড় বড় আসামিদের সঙ্গে জেল খেটেছি। আরাভ খান বলেন, বিনা অপরাধে আমাকে ৩৭ দিন জেল খাটানো হয়েছে। সেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন মাফিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। একটা দিকে ভালো হয়েছে, সারা বিশ্বের বড় বড় মাফিয়াদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে।

আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো হয়েছে। সেজন্য আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। এসব কারণে আমার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে এসব করে আমার বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে। অনেকে ছবি দিয়েছে আমি ইতালি ও ইউরোপে চলে গিয়েছি। আমি পালাইনি। আমার আগের ছবি দিয়ে এসব গুজব রটানো হয়েছে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

জেল খাটার পর ফের স্বর্ণের দোকান খুলছেন আরাভ খান

আপডেট সময় ১১:০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ৩৭ দিন জেলে ছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে এ কথা জানান তিনি। এর আগে একই দিন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে আবারও তার স্বর্ণের দোকান খোলার ঘোষণা দিয়েছেন আরাভ খান।

ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আজ থেকে আরাব জুয়েলার্স ওপেন করলাম আপনারা সকলে আমন্ত্রিত। আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন দোয়া করেছেন আপনাদের জন্য সর্বদা নামাজ পড়ে আমার অন্তর থেকে দোয়া করবেন আমিন।’স্ট্যাটাসের সঙ্গে ‘আরাভ জুয়েলার্সের’ সামনে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন আরাভ। এদিকে পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীরা সামনে আনায় ৩৭ দিন জেল খাটতে হয় আরাভ খানকে। এজন্য তিনি লাইভে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের গালিগালাজও করেন।

ফেসবুক লাইভে আরাভ খান বলেন, অনেকে বলেছে আমি দুবাই ছেড়ে পালিয়েছি। তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, আমি পালানোর লোক না। আমি চুরি করি নাই, আমি কেন পালাব। আমার নামে যখন ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি হয়, তখন তারা আমাকে ফোন করে। আমাকে ফোন করে জানায় যে তাদের কাছে আমার নামে একটি ফাইল এসেছে। ইন্টারপোল বলেছে তারা আমাকে গ্রেপ্তার করবে। তবে তারা বলেছে আপনি গ্রেপ্তার করার থেকে আপনি আমাদের কাছে এলে তা সব থেকে ভালো হবে।

লাইভে তিনি বলেন, তখন আমি দেখলাম পালিয়ে গেলে তারা আমাকে গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু আমি কেন পালাব, আমি তো কোনো চোর না। আমাকে ইন্টারপোল নিয়ে গেল, সেখানে রাখল ১ মাস ৭ দিন। আমার জীবন থেকে ১ মাস ৭ দিন চলে গেছে ইন্টারপোলের জেলে। আমি অনেক বড় বড় আসামিদের সঙ্গে জেল খেটেছি। আরাভ খান বলেন, বিনা অপরাধে আমাকে ৩৭ দিন জেল খাটানো হয়েছে। সেখানে সারা বিশ্বের বিভিন্ন মাফিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। একটা দিকে ভালো হয়েছে, সারা বিশ্বের বড় বড় মাফিয়াদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে।

আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা রটানো হয়েছে। সেজন্য আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়েছেন। এসব কারণে আমার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে এসব করে আমার বিনামূল্যে বিজ্ঞাপন হয়ে গেছে। অনেকে ছবি দিয়েছে আমি ইতালি ও ইউরোপে চলে গিয়েছি। আমি পালাইনি। আমার আগের ছবি দিয়ে এসব গুজব রটানো হয়েছে।