০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দুদকের কর্মচারী অপসারণ সংক্রান্ত বিধি নিয়ে রায় ১৬ মার্চ

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৬:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩
  • / ১০২ বার পড়া হয়েছে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মচারী অপসারণ-সংক্রান্ত ৫৪(২) বিধি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১৬ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন। ওই রায়ের পর দুদকের কর্মকর্তা আহসান আলী ও শরীফ উদ্দিনকে শোকজ ছাড়াই চাকুরিচ্যুতি বহাল থাকবে কি না, তা জানা যাবে।

আদালতে শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। ২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যাই থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দর্শিয়ে কোনো কর্মচারীকে নব্বই দিন আগে নোটিশ প্রদান করিয়া অথবা নব্বই দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করিয়া তাহাকে চাকরি হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।’

পরে সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া এভাবে কর্মচারী অপসারণ সংবিধানের ২৭, ২৯, ৩১ ও ১৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। তাই এটা থাকতে পারে না। হাইকোর্ট এটা বাতিল করেছিলেন। পরে দুদক লিভ টু আপিলের পর আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছিলেন। এরপর রিভিউ করে আপিলের সুযোগ পায় দুদক।

২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধি অনুসারে মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনি ৫৪(২) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন। সেই রিটে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

দুদকের কর্মচারী অপসারণ সংক্রান্ত বিধি নিয়ে রায় ১৬ মার্চ

আপডেট সময় ০৬:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মচারী অপসারণ-সংক্রান্ত ৫৪(২) বিধি বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ১৬ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বিভাগ রায়ের জন্য এদিন ধার্য করেন। ওই রায়ের পর দুদকের কর্মকর্তা আহসান আলী ও শরীফ উদ্দিনকে শোকজ ছাড়াই চাকুরিচ্যুতি বহাল থাকবে কি না, তা জানা যাবে।

আদালতে শরীফের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. সালাহউদ্দিন দোলন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। ২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধিতে বলা হয়েছে, ‘এই বিধিমালায় ভিন্নরূপ যাই থাকুক না কেন, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দর্শিয়ে কোনো কর্মচারীকে নব্বই দিন আগে নোটিশ প্রদান করিয়া অথবা নব্বই দিনের বেতন নগদ পরিশোধ করিয়া তাহাকে চাকরি হইতে অপসারণ করিতে পারিবে।’

পরে সালাহউদ্দিন দোলন বলেন, আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া এভাবে কর্মচারী অপসারণ সংবিধানের ২৭, ২৯, ৩১ ও ১৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন। তাই এটা থাকতে পারে না। হাইকোর্ট এটা বাতিল করেছিলেন। পরে দুদক লিভ টু আপিলের পর আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছিলেন। এরপর রিভিউ করে আপিলের সুযোগ পায় দুদক।

২০০৮ সালের দুদক (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালার ৫৪(২) বিধি অনুসারে মো. আহসান আলী নামের দুদকের এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছিল। তিনি ৫৪(২) বিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেছিলেন। সেই রিটে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ২৭ অক্টোবর এ বিধি বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।