১২:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

নিপুণের চিঠির জবাবে যা লিখলেন জায়েদ খান

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৫:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের দ্বন্দ্ব পুরোনো। বিষয়টি নিয়ে মামলা এখনও চলমান। এদিকে সমিতির সদস্যপদ হারাতে বসেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

তবে তার বিরুদ্ধে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেটি শিল্পী সমিতির সংবিধানবিরোধী বলে দাবি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে গত ১ এপ্রিল নিপুণ বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন জায়েদ খান। সেখানে তার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নায়ক। নিপুণ বরাবর লেখা চিঠির বিষয়বস্তুতে জায়েদ লেখেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি আপনার (নিপুণ) ইস্যুকৃত বেআইনি নোটিশের জবাব।

নায়কের ভাষ্য, ‘আমি পেশাগত কাজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করি। এ সময় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি অবৈধ নোটিশটি আমাকে প্রেরণ করেন। আমি দেশের বাইরে থাকায় যথাসময়ে নোটিশটি আমার ওপর জারি হয় নাই। ৩১ মার্চ আমি সেটি পেয়েছি। এখানে নোটিশের জবাব প্রদান করা হলো।’

জায়েদ খান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ওই নোটিশ ইস্যু করা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগের অবমাননার শামিল। আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটি অকার্যকর (frustrate) করার অসৎ উদ্দেশে গত ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে।

আমার সদস্যপদ নিয়ে যে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। ওই অবৈধ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।’তিনি আরও লেখেন, ‘আপনি গত ২২ ফেব্রুয়ারি কেন আমার বিরুদ্ধে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে সাত দিনের সময় দিয়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেছেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলির পরিপন্থী, সংগঠনের স্বার্থের বিরুদ্ধে বা সংগঠনের অবমাননাকর কোনো কার্যের সঙ্গে কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না বিধায় তথাকথিত কারণ দর্শানোর নোটিশটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বেআইনি। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে একজন সহশিল্পী হিসেবে আপনাকে বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর এবং আদালত অবমাননাকর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। অন্যথায় আপনার এবং অন্যান্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নিপুণের চিঠির জবাবে যা লিখলেন জায়েদ খান

আপডেট সময় ০৫:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারের দ্বন্দ্ব পুরোনো। বিষয়টি নিয়ে মামলা এখনও চলমান। এদিকে সমিতির সদস্যপদ হারাতে বসেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

তবে তার বিরুদ্ধে কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদ যে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে, সেটি শিল্পী সমিতির সংবিধানবিরোধী বলে দাবি করেছেন তিনি। এ বিষয়ে গত ১ এপ্রিল নিপুণ বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন জায়েদ খান। সেখানে তার বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নায়ক। নিপুণ বরাবর লেখা চিঠির বিষয়বস্তুতে জায়েদ লেখেন, গত ২২ ফেব্রুয়ারি আপনার (নিপুণ) ইস্যুকৃত বেআইনি নোটিশের জবাব।

নায়কের ভাষ্য, ‘আমি পেশাগত কাজে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করি। এ সময় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উল্লেখ করে গত ২২ ফেব্রুয়ারি অবৈধ নোটিশটি আমাকে প্রেরণ করেন। আমি দেশের বাইরে থাকায় যথাসময়ে নোটিশটি আমার ওপর জারি হয় নাই। ৩১ মার্চ আমি সেটি পেয়েছি। এখানে নোটিশের জবাব প্রদান করা হলো।’

জায়েদ খান লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সর্বশেষ নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদটির বৈধতা নিয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আপনি নিজেকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক দাবি করে ওই নোটিশ ইস্যু করা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মহামান্য আপিল বিভাগের অবমাননার শামিল। আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটি অকার্যকর (frustrate) করার অসৎ উদ্দেশে গত ২২ ফেব্রুয়ারি নোটিশটি ইস্যু করা হয়েছে।

আমার সদস্যপদ নিয়ে যে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার শামিল। ওই অবৈধ নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত যেকোনো ধরনের অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন।’তিনি আরও লেখেন, ‘আপনি গত ২২ ফেব্রুয়ারি কেন আমার বিরুদ্ধে সমিতির গঠনতন্ত্রের ৭(ক) ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে সাত দিনের সময় দিয়ে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করেছেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমি সংগঠনের উদ্দেশ্যাবলির পরিপন্থী, সংগঠনের স্বার্থের বিরুদ্ধে বা সংগঠনের অবমাননাকর কোনো কার্যের সঙ্গে কখনও সম্পৃক্ত ছিলাম না বিধায় তথাকথিত কারণ দর্শানোর নোটিশটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বেআইনি। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে একজন সহশিল্পী হিসেবে আপনাকে বিতর্কিত, অবৈধ, মানহানিকর এবং আদালত অবমাননাকর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। অন্যথায় আপনার এবং অন্যান্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’