০২:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

‘নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ব্যবসায়ী সমিতি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি’

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির কথা জানিয়ে নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী সমিতি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল থাকার কারণে মার্কেটটি ভাঙা বা উচ্ছেদ করাও সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান তিনি। এনামুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ২০১৯ সালের এপ্রিলে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ‘বঙ্গবাজার মার্কেটে সতর্কতামূলক ব্যানার ঝুলিয়ে সতর্ক করে। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে বারং বার নোটিশ দিয়ে তাদের সাথে বৈঠক করে ঝুঁকির বিষয়টি অবহিত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তাদের সঙ্গে অসংখ্যবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে বৈঠক করা হয়েছিল। মার্কেটে গিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে মতবিনিময় করে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অুনুরোধ করা হয়েছিল। সর্বমোট ১০ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন বঙ্গবাজার মার্কেটের প্রায় ১.৬৯৭ একর জমি প্রাপ্ত হয়। ১৯৯৫ সালে মার্কেট সমিতি নিজ খরচে ৩ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট ওই স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়।

এখানে ১৪১টি গাড়ি পার্কিং ও ৪৪১৩টি দোকান ঘরের সংস্থান রেখে প্রতি ফ্লোরে ৬৭৩৩২.৫৩ বর্গফুট ধরে ১০ তলা ভিত্তি বিশিষ্ট স্টিল স্ট্রাকচার বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ। সর্বনিম্ন দরদাতাকে পাইলিংসহ ফাউন্ডেশন থেকে প্লিন্থ লেভেল পর্যন্ত কার্যাদেশও দেওয়া হয়।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে কর কর্মকর্তা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতিকে সংশ্লিষ্ট মার্কেটটি ৩০ দিনের মধ্যে খালি করে দিতে চিঠি দেন। নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সংশ্লিষ্ট মার্কেট থেকে তিনটি মামলা করা হয় এবং চিঠির কার্যকারিতা হাইকোর্ট স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন, যা বার বার সময় বাড়িয়ে আজ পর্যন্ত বহাল আছে।

মার্কেটটি দীর্ঘদিনের পুরনো টিনের কাঠের তৈরি বিধায় এটি জরাজীর্ণ অবস্থা, ব্যবহারের অনুপযোগী, ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে বিভিন্ন সময় মার্কেট সমিতিকে মোট ছয় বার চিঠির মারফত অবহিত এবং মার্কেট খালি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকান খালি না করে, করপোরেশনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলোতে স্থগিতাদেশ বহাল থাকার কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে মার্কেটটি ভাঙা বা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও ব্যবসায়ী সমিতি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি’

আপডেট সময় ০৫:২৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৩

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির কথা জানিয়ে নোটিশ দেওয়া সত্ত্বেও বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী সমিতি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল থাকার কারণে মার্কেটটি ভাঙা বা উচ্ছেদ করাও সম্ভব হয়নি।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান তিনি। এনামুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর ২০১৯ সালের এপ্রিলে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ‘বঙ্গবাজার মার্কেটে সতর্কতামূলক ব্যানার ঝুলিয়ে সতর্ক করে। ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে অগ্নি নিরাপত্তা সম্পর্কে বারং বার নোটিশ দিয়ে তাদের সাথে বৈঠক করে ঝুঁকির বিষয়টি অবহিত করা হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তাদের সঙ্গে অসংখ্যবার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে বৈঠক করা হয়েছিল। মার্কেটে গিয়ে ব্যবসায়ী সমিতির অফিসে মতবিনিময় করে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অুনুরোধ করা হয়েছিল। সর্বমোট ১০ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশন বঙ্গবাজার মার্কেটের প্রায় ১.৬৯৭ একর জমি প্রাপ্ত হয়। ১৯৯৫ সালে মার্কেট সমিতি নিজ খরচে ৩ তলা বিশিষ্ট বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করে। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট ওই স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়।

এখানে ১৪১টি গাড়ি পার্কিং ও ৪৪১৩টি দোকান ঘরের সংস্থান রেখে প্রতি ফ্লোরে ৬৭৩৩২.৫৩ বর্গফুট ধরে ১০ তলা ভিত্তি বিশিষ্ট স্টিল স্ট্রাকচার বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমোদন দেয় কর্তৃপক্ষ। সর্বনিম্ন দরদাতাকে পাইলিংসহ ফাউন্ডেশন থেকে প্লিন্থ লেভেল পর্যন্ত কার্যাদেশও দেওয়া হয়।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে কর কর্মকর্তা বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতিকে সংশ্লিষ্ট মার্কেটটি ৩০ দিনের মধ্যে খালি করে দিতে চিঠি দেন। নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সংশ্লিষ্ট মার্কেট থেকে তিনটি মামলা করা হয় এবং চিঠির কার্যকারিতা হাইকোর্ট স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন, যা বার বার সময় বাড়িয়ে আজ পর্যন্ত বহাল আছে।

মার্কেটটি দীর্ঘদিনের পুরনো টিনের কাঠের তৈরি বিধায় এটি জরাজীর্ণ অবস্থা, ব্যবহারের অনুপযোগী, ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো সময় অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে বিভিন্ন সময় মার্কেট সমিতিকে মোট ছয় বার চিঠির মারফত অবহিত এবং মার্কেট খালি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকান খালি না করে, করপোরেশনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলোতে স্থগিতাদেশ বহাল থাকার কারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে মার্কেটটি ভাঙা বা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি।