০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

বায়ার্নকে রুখে সেমিতে ম্যানচেস্টার সিটি

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১২৭ বার পড়া হয়েছে

ঘরের মাঠে অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে না হারলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ১-১ গোলের সমতায় মাঠ ছেড়েছে বায়ার্ন। যদিও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের ব্যবধানে টানা তৃতীয় সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি।

প্রথম লেগে ৩ গোলে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় লেগে জার্মান জায়ান্টদের সামনে আক্রমণের বিকল্প ছিল না। অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের খোঁজে ছুটতে থাকে দলটি। ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় কোম্যানের ক্রস গোলমুখের সামনে থেকে হেড দিয়ে বিপদমুক্ত করেন স্টোনস। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে প্রথম আক্রমণ চালায় ম্যানসিটি। বক্সের মধ্যে ডি ব্রুইনার ব্যাকপাস থেকে সুযোগ পেয়েছিল দলটি। কিন্তু তা প্রতিহত করেন সমার।

যদিও দুই মিনিট ব্যবধানেই সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। বল পেয়েই বক্সের মধ্যে ঢুকে যান সানে। কিন্তু সাবেক এই সিটির উইঙ্গারের শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।ম্যাচের ১৯তম মিনিটে আর্লিং হল্যান্ডকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন উপামেকানো। কিন্তু লাইন্সম্যান অফ-সাইডের সংকেত দিলে এই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু সানের দূরপাল্লার ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে রুখে দেন এডারসন।

ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সিটি। কিন্তু জাল কাঁপাতে ব্যর্থ হন হল্যান্ড। ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল মেরে সবাইকে হতবাক করেন তিনি। বিরতির পর মাঠে নেমেই দাপট দেখায় সিটি। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে গোলের দেখা পান নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হল্যান্ড। সিটির বক্সে কোম্যানের ক্রস বিপদমুক্ত করেন স্টোনস। এরপরই মাঝ মাঠে বল পাঠিয়ে দেন তিনি। বল পেয়েই ডি ব্রুইনার দিকে বাড়ান হল্যান্ড।

ফিরতি পাসে তাকে বল দেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। এরপর দারুণ দক্ষতায় দলকে এগিয়ে যান হল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুমে ৪৮তম গোলের দেখা পান ম্যানসিটির এই স্ট্রাইকার। এর সঙ্গে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের এক আসরে প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়ের রেকর্ড গোলদাতা রুড ফন নিস্টলরয়কে। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোল করেন টেল। তবে অফসাইডের ফাঁদে তা-ও বাতিল হয়ে যায়। তবে এর মিনিট পাঁচেক পরেই পেনাল্টি থেকে গোল শোধ দেয় স্বাগতিকরা।

বক্সের মধ্যে অ্যাকাঞ্জির হাতে লাগে সাদিও মানের শট। এতে পেনাল্টির আবেদন করে জার্মান জায়ান্টরা। শেষ পর্যন্ত পিচসাইড মনিটরে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিকে দলের লজ্জা কিছুটা কমান জশুয়া কিমিখ। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে আসরের একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে টানা তৃতীয় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ম্যানসিটি। সেমিতে হল্যান্ডদের প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বায়ার্নকে রুখে সেমিতে ম্যানচেস্টার সিটি

আপডেট সময় ০৯:৩৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

ঘরের মাঠে অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখতে পারেনি বায়ার্ন মিউনিখ। চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে না হারলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ১-১ গোলের সমতায় মাঠ ছেড়েছে বায়ার্ন। যদিও দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলের ব্যবধানে টানা তৃতীয় সেমিফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটি।

প্রথম লেগে ৩ গোলে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় লেগে জার্মান জায়ান্টদের সামনে আক্রমণের বিকল্প ছিল না। অ্যালিয়েঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের খোঁজে ছুটতে থাকে দলটি। ম্যাচের দুই মিনিটের মাথায় কোম্যানের ক্রস গোলমুখের সামনে থেকে হেড দিয়ে বিপদমুক্ত করেন স্টোনস। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে প্রথম আক্রমণ চালায় ম্যানসিটি। বক্সের মধ্যে ডি ব্রুইনার ব্যাকপাস থেকে সুযোগ পেয়েছিল দলটি। কিন্তু তা প্রতিহত করেন সমার।

যদিও দুই মিনিট ব্যবধানেই সুযোগ পেয়েছিল বায়ার্ন। বল পেয়েই বক্সের মধ্যে ঢুকে যান সানে। কিন্তু সাবেক এই সিটির উইঙ্গারের শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়।ম্যাচের ১৯তম মিনিটে আর্লিং হল্যান্ডকে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন উপামেকানো। কিন্তু লাইন্সম্যান অফ-সাইডের সংকেত দিলে এই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এর কিছুক্ষণ পরই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু সানের দূরপাল্লার ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে রুখে দেন এডারসন।

ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সিটি। কিন্তু জাল কাঁপাতে ব্যর্থ হন হল্যান্ড। ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল মেরে সবাইকে হতবাক করেন তিনি। বিরতির পর মাঠে নেমেই দাপট দেখায় সিটি। ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে গোলের দেখা পান নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হল্যান্ড। সিটির বক্সে কোম্যানের ক্রস বিপদমুক্ত করেন স্টোনস। এরপরই মাঝ মাঠে বল পাঠিয়ে দেন তিনি। বল পেয়েই ডি ব্রুইনার দিকে বাড়ান হল্যান্ড।

ফিরতি পাসে তাকে বল দেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। এরপর দারুণ দক্ষতায় দলকে এগিয়ে যান হল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে চলতি মৌসুমে ৪৮তম গোলের দেখা পান ম্যানসিটির এই স্ট্রাইকার। এর সঙ্গে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন চ্যাম্পিয়নস লিগের এক আসরে প্রিমিয়ার লিগ খেলোয়াড়ের রেকর্ড গোলদাতা রুড ফন নিস্টলরয়কে। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে সান্ত্বনাসূচক গোল করেন টেল। তবে অফসাইডের ফাঁদে তা-ও বাতিল হয়ে যায়। তবে এর মিনিট পাঁচেক পরেই পেনাল্টি থেকে গোল শোধ দেয় স্বাগতিকরা।

বক্সের মধ্যে অ্যাকাঞ্জির হাতে লাগে সাদিও মানের শট। এতে পেনাল্টির আবেদন করে জার্মান জায়ান্টরা। শেষ পর্যন্ত পিচসাইড মনিটরে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিকে দলের লজ্জা কিছুটা কমান জশুয়া কিমিখ। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে আসরের একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে টানা তৃতীয় সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ম্যানসিটি। সেমিতে হল্যান্ডদের প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল।