১০:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

বিদেশযাত্রীর স্বজনদের যেভাবে বোকা বানিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন জাবেদ

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১১:৪০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭২ বার পড়া হয়েছে

প্রতারণার অভিযোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে জাবেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তিনি অত্যন্ত কৌশলে বিদেশগামী যাত্রীদের স্বজনদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জাবেদ দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এর আগেও তিনি অন্তত চারবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও প্রতারণা শুরু করেন। তিনি বিমানবন্দর কেন্দ্রিক একটি প্রতারক চক্রও গড়ে তুলেছেন।চক্রটিতে ৫-৬ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যাদের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন।

মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, জাবেদ কখনো বিদেশগামী যাত্রীদের ডলার করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেতেন। আবার কখনো যাত্রীর পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে পালিয়ে যেতেন। আবার কখনো যাত্রী ফ্লাইট মিস করবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে আত্মীয়-স্বজনের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। গত ৩ জানুয়ারি জাবেদ সিঙ্গাপুরগামী যাত্রী মো. শফিকুল ইসলামের কণ্ঠ নকল করে তার স্বজনকে ফোন করেন। এসময় ফ্লাইট মিস করার কথা জানিয়ে কান্নাকাটি করেন এবং ৬৮ হাজার টাকা চান।

কোনো উপায় না দেখে যাত্রীর স্বজনরা বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ৩৭ হাজার ৪৫০, ২৮ হাজার ১০০ টাকাসহ মোট ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা জাবেদকে পাঠান। অথচ তখন শফিকুল ইসলাম সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটে উড়ে যাচ্ছেন। টাকা পাওয়ার পরপরই জাবেদ তার ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন। এরপর ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে জাবেদকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।জাবেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বিদেশযাত্রীর স্বজনদের যেভাবে বোকা বানিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতেন জাবেদ

আপডেট সময় ১১:৪০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

প্রতারণার অভিযোগে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে জাবেদ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তিনি অত্যন্ত কৌশলে বিদেশগামী যাত্রীদের স্বজনদের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বুধবার (২৬ এপ্রিল) এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জাবেদ দীর্ঘদিন ধরে বিমানবন্দর এলাকায় যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। এর আগেও তিনি অন্তত চারবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। কিন্তু জেল থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও প্রতারণা শুরু করেন। তিনি বিমানবন্দর কেন্দ্রিক একটি প্রতারক চক্রও গড়ে তুলেছেন।চক্রটিতে ৫-৬ জন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। যাদের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন।

মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, জাবেদ কখনো বিদেশগামী যাত্রীদের ডলার করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেতেন। আবার কখনো যাত্রীর পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে পালিয়ে যেতেন। আবার কখনো যাত্রী ফ্লাইট মিস করবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে আত্মীয়-স্বজনের থেকে অর্থ হাতিয়ে নিতেন। গত ৩ জানুয়ারি জাবেদ সিঙ্গাপুরগামী যাত্রী মো. শফিকুল ইসলামের কণ্ঠ নকল করে তার স্বজনকে ফোন করেন। এসময় ফ্লাইট মিস করার কথা জানিয়ে কান্নাকাটি করেন এবং ৬৮ হাজার টাকা চান।

কোনো উপায় না দেখে যাত্রীর স্বজনরা বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে ৩৭ হাজার ৪৫০, ২৮ হাজার ১০০ টাকাসহ মোট ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা জাবেদকে পাঠান। অথচ তখন শফিকুল ইসলাম সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটে উড়ে যাচ্ছেন। টাকা পাওয়ার পরপরই জাবেদ তার ফোন নম্বরটি বন্ধ করে দেন। এরপর ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে জাবেদকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।জাবেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা।