বিমানের সার্ভার ফেরাতে ৫০ লাখ ডলার চায় হ্যাকাররা
- আপডেট সময় ০৮:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
- / ১০৩ বার পড়া হয়েছে
রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ই-মেইল সার্ভার এক সপ্তাহ আগে হ্যাকারদের কবলে পড়ে । এরপর থেকে এই সার্ভারের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস না করার বিনিময়ে বিমানের কাছে ৫০ লাখ ডলার দাবি করেছে হ্যাকাররা।
বিমানের কয়েকটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এর আগে, গত ১৭ মার্চ বিমানের ই-মেইল সার্ভার এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম বা ম্যালওয়্যার ‘র্যানসমওয়্যারে’ আক্রান্ত হয়। এই ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকাররা আক্রান্ত ডিভাইস থেকে তথ্য চুরি করে নিতে পারে। শুক্রবার (২৪ মার্চ) হ্যাকারদের মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি দেশজুড়ে ভাইরাল হয়।
যদিও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বরাবরই সাংবাদিকদের কাছে দাবি করছেন, ই-মেইল সার্ভার-সংক্রান্ত বিমানের কাছে কোনো মুক্তিপণ দাবি করেনি হ্যাকাররা। এ বিষয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাদের সার্ভার হ্যাকড হয়নি, ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হয়েছিল।
সার্ভারটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এতে করে ই-মেইল সেবায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। তবে তার সমাধান করা হয়েছে। সার্ভার হ্যাকড ও অর্থ দাবির বিষয়টি নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিমানের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, ১৭ মার্চ বিমানের ই-মেইল সার্ভার র্যানসমওয়্যারে আক্রান্ত হয়। সার্ভার হ্যাক হওয়ার পর থেকে কয়েক দফায় সতর্ক করে বিমানের কাছে ৫০ লাখ ডলার চেয়েছে হ্যাকাররা।
র্যানসমওয়্যার হচ্ছে এক ধরনের ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্রোগ্রাম বা ম্যালওয়্যার, যা কোনো কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ডিজিটাল ডিভাইসে সংরক্ষিত তথ্যে ঢুকতে বাধা দেয়। এই ম্যালওয়্যারে আক্রান্ত হলে ডিভাইস বন্ধ হয়ে যেতে পারে বা এতে থাকা তথ্য চুরি করে নিতে পারে ম্যালওয়্যারটি ছড়ানোর পেছনে থাকা হ্যাকাররা। তারা জানান, বিমানের ডেটাবেজে আছে যাত্রীদের পাসপোর্টের বৃত্তান্ত, কর্মী ও অন্যান্য উড়োজাহাজ সংস্থার তথ্য। এ ছাড়াও ফ্লাইট, মালপত্র ও সব ফ্লাইটের ক্রুদের বিষয়েও তথ্য রয়েছে হ্যাকারদের হাতে।
তাদের ব্যবহৃত র্যানসমওয়্যারকে চিহ্নিত করার জন্য আইটি বিশেষজ্ঞরা যেসব বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর রাখছেন, তা ক্রমাগত পরিবর্তন হতে থাকায় একে আলাদা করা বা এর জন্য দায়ীদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, দাবিকৃত টাকা দেওয়ার জন্য বিমানকে ১০ দিনের সময় বেধে দিয়েছিল হ্যাকাররা। বেধে দেওয়া সময়ের আর মাত্র তিন দিন বাকি আছে।