০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

মানুষ এখন সত্য কথা লেখেও না, বলেও না : ফখরুল

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৪:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৭৮ বার পড়া হয়েছে

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে আজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। যে কারণে মানুষ এখন সত্য কথা লেখেও না, বলেও না। রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, যারা প্রতিবাদী, তারাও আর সত্য কথা বলে না। আওয়ামী লীগের অন্যায়ের প্রতিবাদও করে না তারা। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যদিও তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। দেশে এতগুলো টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা, তারাও তো ভিন্ন মতের খবর প্রকাশ করতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে তা হবে জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও পুরোনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি। তারা দেশের মানুষকে বোকা ভাবছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না। এবার দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রের নির্বাচন হবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন? আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সে সময় বলেছিল যে, বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় যায়, পরে তারা ফের ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। ওই দাবিতে তারা দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল।

বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল। একপর্যায়ে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে। তারা সব সময় সামন্ততন্ত্রে থাকতে চায়। তাদের মধ্যে জমিদারি একটা ভাব সবসময় থাকে। তারা ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আর ভয় পেলে চলবে না। আবারও আমাদের জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে, যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারি।ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা।

এ জন্য প্রথমে ক্ষমতায় এসে আদালতকে ব্যবহার করে সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। যিনি এ রায় দিয়েছেন, সেই বিচারক খায়রুল হককে একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তবে এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আসুন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের দাবি আদায় করব।জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেন।

এ সময় সভায় আরও বক্তব্য দেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল-এর সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এম এম শাওন সাদেকী, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দিনাজপুর জেলার সভাপতি রকিব চৌধুরী মুন্না, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি আ স ম মিসবাহ উদ্দিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ হুমায়ূন রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পীসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

মানুষ এখন সত্য কথা লেখেও না, বলেও না : ফখরুল

আপডেট সময় ০৪:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে আজ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভয় ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। যে কারণে মানুষ এখন সত্য কথা লেখেও না, বলেও না। রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে ‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, যারা প্রতিবাদী, তারাও আর সত্য কথা বলে না। আওয়ামী লীগের অন্যায়ের প্রতিবাদও করে না তারা। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যদিও তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। দেশে এতগুলো টিভি চ্যানেল ও পত্রিকা, তারাও তো ভিন্ন মতের খবর প্রকাশ করতে পারে না। এভাবে চলতে থাকলে তা হবে জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও পুরোনো ফাঁদ পেতেছে। তারা দেখাচ্ছে যে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে। আসলে এগুলো হচ্ছে তাদের শয়তানি। তারা দেশের মানুষকে বোকা ভাবছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেবে না। এবার দেশে আর কোনো ষড়যন্ত্রের নির্বাচন হবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই তো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। তাহলে বাংলাদেশে কেন? আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা সে সময় বলেছিল যে, বাংলাদেশে যে দল ক্ষমতায় যায়, পরে তারা ফের ক্ষমতায় থাকার জন্য ম্যানিপুলেশন করে। ওই দাবিতে তারা দেশে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে দিয়েছিল।

বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারল। একপর্যায়ে দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭৫ সালে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নষ্ট করে ফেলেছে। তারা সব সময় সামন্ততন্ত্রে থাকতে চায়। তাদের মধ্যে জমিদারি একটা ভাব সবসময় থাকে। তারা ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আর ভয় পেলে চলবে না। আবারও আমাদের জেগে উঠে গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে এ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে, যাতে আমরা জনগণের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারি।ফখরুল আরও বলেন, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য হচ্ছে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করা।

এ জন্য প্রথমে ক্ষমতায় এসে আদালতকে ব্যবহার করে সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। যিনি এ রায় দিয়েছেন, সেই বিচারক খায়রুল হককে একদিন জনগণের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তবে এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আসুন, সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের দাবি আদায় করব।জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেন।

এ সময় সভায় আরও বক্তব্য দেন এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল-এর সাইফুদ্দিন মনি, বাংলাদেশ ন্যাপের এম এম শাওন সাদেকী, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দিনাজপুর জেলার সভাপতি রকিব চৌধুরী মুন্না, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি আ স ম মিসবাহ উদ্দিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ হুমায়ূন রশিদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পীসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী।