১০:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহায়তা চায় বিজিএমই

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:৪৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

রপ্তানি বৃদ্ধিতে আগামী বাজেট থেকে সব ধরনের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমই)। সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, রপ্তানি ছাড়া বিদেশিরা কোনোভাবেই আসবে না। যেভাবেই হোক আমাদের উন্নয়নের জন্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিতে হবে।

আমি শুধু রেডিমেট গার্মেন্টসের রপ্তানির কথা বলছি না, আমাদের সব ধরনের রপ্তানিতে সহায়তা ও উত্সাহিত করতে হবে। সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাজেটে প্রত্যাশা, ২০২৩-২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিএমই’র সভাপতি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণেই সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে আমাদের মোট রপ্তানির ১৬ শতাংশ নেতিবাচক বৃদ্ধি ছিল। এপ্রিল মাস ঈদের মাস হওয়ার পরেও রেমিট্যান্সে ১৬ শতাংশ নেতিবাচক বৃদ্ধি ছিল। চলতি মাসেও একইভাবে নেতিবাচক বৃদ্ধি হবে। কারণ, গত ৭-৮ মাস ধরে আমাদের অডার কম। আমাদের উৎপাদন এবং পরিমাণ কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, ২০২১-এ আমাদের রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেই রিজার্ভ এখন ৩০ বিলিয়ন ডলারে এসে পড়েছে। সুতরাং যখন রপ্তানিতে ইতিবাচক ছিল, তখনও রিজার্ভ কম ছিল। আর এখন রপ্তানি বৃদ্ধিতে নেতিবাচক অবস্থানে, ফলে আমাদের রিজার্ভের ওপর আরও প্রভাব পড়বে। এজন্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. মো. মাসুদুর রহমান, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমই’র সভাপতি ফারুক হাসান, বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম, এমসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি কামরান টি রহমান, বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মানতাসা আহমেদ, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ মো. তানভীর, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা। একই সঙ্গে ব্রেজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান, রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, বরিশাল চেম্বারের সভাপতি সাঈদুর রহমান রিন্টু, সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডল থেকে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাঈদুর রহমান রেনু অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আলোচকরা বাজেট নিয়ে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা, মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দর্শকসারিতে বসা বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, উদ্যোক্তা, সরকারি কর্মকর্তা, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক প্রতিনিধিসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আলোচকদের নানান প্রশ্ন করেন এবং নিজেদের মতামত দেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহায়তা চায় বিজিএমই

আপডেট সময় ০৯:৪৮:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩

রপ্তানি বৃদ্ধিতে আগামী বাজেট থেকে সব ধরনের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমই)। সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, রপ্তানি ছাড়া বিদেশিরা কোনোভাবেই আসবে না। যেভাবেই হোক আমাদের উন্নয়নের জন্য রপ্তানিতে গুরুত্ব দিতে হবে।

আমি শুধু রেডিমেট গার্মেন্টসের রপ্তানির কথা বলছি না, আমাদের সব ধরনের রপ্তানিতে সহায়তা ও উত্সাহিত করতে হবে। সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাজেটে প্রত্যাশা, ২০২৩-২৪’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিএমই’র সভাপতি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনেক দেশ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণেই সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। সাপ্লাই চেইনে সমস্যা হয়েছে।

গত এপ্রিল মাসে আমাদের মোট রপ্তানির ১৬ শতাংশ নেতিবাচক বৃদ্ধি ছিল। এপ্রিল মাস ঈদের মাস হওয়ার পরেও রেমিট্যান্সে ১৬ শতাংশ নেতিবাচক বৃদ্ধি ছিল। চলতি মাসেও একইভাবে নেতিবাচক বৃদ্ধি হবে। কারণ, গত ৭-৮ মাস ধরে আমাদের অডার কম। আমাদের উৎপাদন এবং পরিমাণ কমে গেছে। তিনি আরও বলেন, ২০২১-এ আমাদের রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। সেই রিজার্ভ এখন ৩০ বিলিয়ন ডলারে এসে পড়েছে। সুতরাং যখন রপ্তানিতে ইতিবাচক ছিল, তখনও রিজার্ভ কম ছিল। আর এখন রপ্তানি বৃদ্ধিতে নেতিবাচক অবস্থানে, ফলে আমাদের রিজার্ভের ওপর আরও প্রভাব পড়বে। এজন্য রপ্তানি বৃদ্ধিতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. মো. মাসুদুর রহমান, সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমই’র সভাপতি ফারুক হাসান, বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ব্যারিস্টার সামির সাত্তার, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মো. হাতেম, এমসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি কামরান টি রহমান, বাংলাদেশ-ভারত বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মানতাসা আহমেদ, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সহসভাপতি সৈয়দ মো. তানভীর, চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা। একই সঙ্গে ব্রেজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান, রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, রংপুর চেম্বারের সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, বরিশাল চেম্বারের সভাপতি সাঈদুর রহমান রিন্টু, সিলেট চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদ এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডল থেকে ব্রিটিশ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সাঈদুর রহমান রেনু অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আলোচকরা বাজেট নিয়ে তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা, মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরেন।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে দর্শকসারিতে বসা বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা, উদ্যোক্তা, সরকারি কর্মকর্তা, অর্থনীতিবিদ, গবেষক, সাংবাদিক প্রতিনিধিসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আলোচকদের নানান প্রশ্ন করেন এবং নিজেদের মতামত দেন।অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দীন।