০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে একমত বাংলাদেশ-জাপান

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৭:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৫৮ বার পড়া হয়েছে

রোহিঙ্গাদের টেকসই, নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও। তারা একমত হয়েছেন যে, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী বাস্তুচ্যুতি আশ্রয়দাতা কমিউনিটির ওপর চাপ বাড়াবে এবং এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য তাদের বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলোর সমাধান করে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। একইসঙ্গে তিনি ভাসানচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে প্রথম দেশ হিসেবে জাপানের মানবিক সহায়তাসহ এই বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের জন্য জাপানের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও তাদের ক্রমাগত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে ভাসানচরসহ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইয়েনের বেশি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ববর্তী সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিশিদা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের অব্যাহত মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ, আটক ব্যক্তিদের মুক্তি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐক্যমত বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে একমত বাংলাদেশ-জাপান

আপডেট সময় ০৭:৫২:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩

রোহিঙ্গাদের টেকসই, নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে জোর দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও। তারা একমত হয়েছেন যে, রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী বাস্তুচ্যুতি আশ্রয়দাতা কমিউনিটির ওপর চাপ বাড়াবে এবং এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য তাদের বাস্তুচ্যুতির মূল কারণগুলোর সমাধান করে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। একইসঙ্গে তিনি ভাসানচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে প্রথম দেশ হিসেবে জাপানের মানবিক সহায়তাসহ এই বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের জন্য জাপানের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

অন্যদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও তাদের ক্রমাগত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে ভাসানচরসহ বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে আনুমানিক ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইয়েনের বেশি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্ববর্তী সহায়তার পরিমাণ প্রায় ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিশিদা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের অব্যাহত মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ, আটক ব্যক্তিদের মুক্তি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐক্যমত বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।