১০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

লড়াইয়ের পরও আবাহনীর কাছে হারল মোহামেডান

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৮:৫২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
  • / ১১৩ বার পড়া হয়েছে

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) মর্যাদার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডান। ডিপিএলে সুপার লিগের সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি মোহামেডান। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের ম্যাচে ৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দল আবাহনী।

সোমবার (১ মে) প্রথমে ব্যাট করে মোসাদ্দেক হোসেন ও জাকের আলী অনিকের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আবাহনী। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লড়াকু ফিফটির পরও নির্ধারিত সময়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানেই থেমে যায় মোহামেডানের ইনিংস।

আরও পড়ুন : প্রস্তুতি ম্যাচের আগে দলের সঙ্গী হবেন সাকিব-মোস্তাফিজ এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আবাহনী দল। তবে দলের হয়ে এদিন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১১ রানে বিজয়ের পর আরেক ওপেনার নাঈম ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন।

দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং আফিফ হোসেন। তবে ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় বিদায় নেন জয়। এরপর জাকের আলী অনিককে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন আফিফ। তবে ৩৬ রানে থাকা অবস্থায় আফিফ প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর পাকিস্তানি ক্রিকেটার খুশদিল শাহ করেন ২৯ রান। পরবর্তীতে মোসাদ্দেক হোসেনের ৬৩ এবং জাকের আলী অনিকের ৬৩ রানে ভর করে মোহামেডানকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুঁড়ে দেয় আবাহনী। শেষ দিকে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

মোহামেডানের হয়ে মুশফিক হাসান এবং শুভাগত হোম ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া ১ টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ এবং নাজমুল ইসলাম অপু।আরও পড়ুন: ধোনির পর চেন্নাইয়ের সম্ভাব্য অধিনায়কের নাম জানালেন ওয়াসিম আকরাম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং সৌম্য সরকার দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান। রান করতে পারেননি বিদেশি ক্রিকেটার কামিন্দু মেন্ডিসও। ফলে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মোহামেডান।

পরবর্তীতে দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম এবং মাহেদুল ইসলাম অঙ্কন। এই দুজনে মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের চাপ কমান। তবে আরিফুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার নাজমুস সাকিব। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অঙ্কন। এই দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া অঙ্কন ৮৮ রান করে বিদায় নেন।

আরও পড়ুন: পিটুনিতে গুরুতর আহত রেফারি, দর্শকের জেল
অঙ্কনের বিদায়ের পর ফিফটি তুলে নেন রিয়াদও। তবে ৫৪ রানেই থেমে যায় তার ইনিংস। রিয়াদের বিদায়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মোহামেডান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইমরুল কায়েসের মোহামেডান থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানে। বোলিংয়ে আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। আর ৩টি উইকেট নেন পেসার সাকিব।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

লড়াইয়ের পরও আবাহনীর কাছে হারল মোহামেডান

আপডেট সময় ০৮:৫২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩

চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) মর্যাদার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডান। ডিপিএলে সুপার লিগের সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি মোহামেডান। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের ম্যাচে ৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দল আবাহনী।

সোমবার (১ মে) প্রথমে ব্যাট করে মোসাদ্দেক হোসেন ও জাকের আলী অনিকের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় আবাহনী। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে অঙ্কন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের লড়াকু ফিফটির পরও নির্ধারিত সময়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানেই থেমে যায় মোহামেডানের ইনিংস।

আরও পড়ুন : প্রস্তুতি ম্যাচের আগে দলের সঙ্গী হবেন সাকিব-মোস্তাফিজ এদিন মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আবাহনী দল। তবে দলের হয়ে এদিন দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও নাঈম শেখ ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১১ রানে বিজয়ের পর আরেক ওপেনার নাঈম ২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন।

দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং আফিফ হোসেন। তবে ব্যক্তিগত ১৯ রানের মাথায় বিদায় নেন জয়। এরপর জাকের আলী অনিককে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন আফিফ। তবে ৩৬ রানে থাকা অবস্থায় আফিফ প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। এরপর পাকিস্তানি ক্রিকেটার খুশদিল শাহ করেন ২৯ রান। পরবর্তীতে মোসাদ্দেক হোসেনের ৬৩ এবং জাকের আলী অনিকের ৬৩ রানে ভর করে মোহামেডানকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুঁড়ে দেয় আবাহনী। শেষ দিকে ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

মোহামেডানের হয়ে মুশফিক হাসান এবং শুভাগত হোম ২টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া ১ টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ এবং নাজমুল ইসলাম অপু।আরও পড়ুন: ধোনির পর চেন্নাইয়ের সম্ভাব্য অধিনায়কের নাম জানালেন ওয়াসিম আকরাম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনার ইমরুল কায়েস এবং সৌম্য সরকার দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান। রান করতে পারেননি বিদেশি ক্রিকেটার কামিন্দু মেন্ডিসও। ফলে মাত্র ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে মোহামেডান।

পরবর্তীতে দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম এবং মাহেদুল ইসলাম অঙ্কন। এই দুজনে মিলে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলের চাপ কমান। তবে আরিফুলকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার নাজমুস সাকিব। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অঙ্কন। এই দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৮৭ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া অঙ্কন ৮৮ রান করে বিদায় নেন।

আরও পড়ুন: পিটুনিতে গুরুতর আহত রেফারি, দর্শকের জেল
অঙ্কনের বিদায়ের পর ফিফটি তুলে নেন রিয়াদও। তবে ৫৪ রানেই থেমে যায় তার ইনিংস। রিয়াদের বিদায়ের পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে মোহামেডান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইমরুল কায়েসের মোহামেডান থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রানে। বোলিংয়ে আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। আর ৩টি উইকেট নেন পেসার সাকিব।