০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রযোজকের লিখিত গুরুতর অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩
  • / ৭১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং ক্যামেরাম্যান সমিতিকে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, পূর্ব চুক্তি মোতাবেক ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার কাজে অস্ট্রেলিয়া যান শাকিব খান। এই সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। রহমত উল্লাহর ভাষ্য, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটি মুক্তি পেলে ব্যবসাসফল হতো। শুধু তাই নয়, সিনেমাটির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে সিনেমাটির শুটিং শুরু করলেও আজ পর্যন্ত কাজ শেষ করেননি চিত্রনায়ক শাকিব খান।

অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটির শুটিং চলাকালে শাকিব খান যে ক্ষতিকর কাজগুলো করেছেন, লিখিত অভিযোগপত্রে তার বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন এই প্রযোজক। অভিযোগ অনুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুটিং বাতিল করতেন শাকিব খান। ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে নায়কের জন্য পুরো টিম অপেক্ষায় থাকলেও নিজের ইচ্ছেমতো সেটে আসতেন শাকিব। এ ছাড়াও শুটিং সেটে বিভিন্ন সময় অদ্ভুত রকমের খাবার খেতে চাইতেন তিনি, যা খুঁজে বের করতে পুরো ইউনিট ব্যস্ত হয়ে পড়ত।

এখানেই শেষ নয়, শাকিব খানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও তুলেছেন এই প্রযোজক। তার ভাষ্যমতে, সিনেমাটির শুটিং চলাকালে কৌশলে একজন নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। সেই প্রযোজককে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে। সে সময় ভুক্তভোগী অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন (মামলা নং : NSW Police reference no: E 62494959)। এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে চলে আসেন শাকিব। তখন থেকে বিভিন্ন সময় নায়কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

প্রযোজকের এমন অভিযোগের পর শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে কোনো মাধ্যমেই কথা বলেননি তিনি। অন্যদিকে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার পরিচালক আশিকুর রহমান দেশে না থাকায় তার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রযোজকের দাবি, তারা মামলা মোকাদ্দমা চান না। শাকিব তাদের সিনেমার বাকি অংশের কাজ শেষ করে দিক অথবা ক্ষতিপূরণ দিক।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

শাকিব খানের বিরুদ্ধে প্রযোজকের লিখিত গুরুতর অভিযোগ

আপডেট সময় ১০:৩৮:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩

ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খানের বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন চলচ্চিত্র প্রযোজক রহমত উল্লাহ। বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে এফডিসিতে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং ক্যামেরাম্যান সমিতিকে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, পূর্ব চুক্তি মোতাবেক ২০১৭ সালে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার কাজে অস্ট্রেলিয়া যান শাকিব খান। এই সিনেমার অন্যতম প্রযোজক রহমত উল্লাহ। তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। রহমত উল্লাহর ভাষ্য, ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটি মুক্তি পেলে ব্যবসাসফল হতো। শুধু তাই নয়, সিনেমাটির মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে সিনেমাটির শুটিং শুরু করলেও আজ পর্যন্ত কাজ শেষ করেননি চিত্রনায়ক শাকিব খান।

অস্ট্রেলিয়ায় ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমাটির শুটিং চলাকালে শাকিব খান যে ক্ষতিকর কাজগুলো করেছেন, লিখিত অভিযোগপত্রে তার বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন এই প্রযোজক। অভিযোগ অনুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই শুটিং বাতিল করতেন শাকিব খান। ব্যয়বহুল সেট বানিয়ে নায়কের জন্য পুরো টিম অপেক্ষায় থাকলেও নিজের ইচ্ছেমতো সেটে আসতেন শাকিব। এ ছাড়াও শুটিং সেটে বিভিন্ন সময় অদ্ভুত রকমের খাবার খেতে চাইতেন তিনি, যা খুঁজে বের করতে পুরো ইউনিট ব্যস্ত হয়ে পড়ত।

এখানেই শেষ নয়, শাকিব খানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও তুলেছেন এই প্রযোজক। তার ভাষ্যমতে, সিনেমাটির শুটিং চলাকালে কৌশলে একজন নারী সহপ্রযোজককে ধর্ষণ করেন শাকিব খান। সেই প্রযোজককে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে। সে সময় ভুক্তভোগী অস্ট্রেলিয়ার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন (মামলা নং : NSW Police reference no: E 62494959)। এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে চলে আসেন শাকিব। তখন থেকে বিভিন্ন সময় নায়কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

প্রযোজকের এমন অভিযোগের পর শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে কোনো মাধ্যমেই কথা বলেননি তিনি। অন্যদিকে ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার পরিচালক আশিকুর রহমান দেশে না থাকায় তার সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রযোজকের দাবি, তারা মামলা মোকাদ্দমা চান না। শাকিব তাদের সিনেমার বাকি অংশের কাজ শেষ করে দিক অথবা ক্ষতিপূরণ দিক।