০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

‘সালাহ উদ্দিনকে দেশে আনতে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান’

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ০৯:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৭৫ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, তাকে বিনাকারণে দীর্ঘ আট বছর ভারতের কারাগারে কাটাতে হয়েছে। সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি সালাহ উদ্দিনকে মুক্ত অবস্থায় অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন। মির্জা ফখরুল বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে সসম্মানে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আহ্বান জানাচ্ছি, তার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার এবং সম্মানিত করার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কিছু সাদা পোশাকধারী উত্তরার এক বন্ধুর বাসা থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তুলে নেয়। দীর্ঘ ৬১ দিন অজ্ঞাত স্থানে তাকে গুম করে রাখা হয়। তারপর ওই বছরের ১০ মে চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি গাড়িতে দীর্ঘ পথযাত্রা করিয়ে ১১ মে ভোররাতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক রাস্তার ওপর ফেলে রাখা হয়। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিজেই চোখ খুলে স্থানীয় পথচারীদের সহায়তায় শিলং পুলিশের কাছে তার পরিচয় এবং বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরেন। পরে পুলিশ তাকে ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর বিধানমতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখায়।

তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের আদালতে বিচারকালীন রাষ্ট্রপক্ষের সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ মোকাবেলা ও খণ্ডন করে এবং নিজের পক্ষে ৭০টি দালিলিক প্রমাণ ও সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, তিনি বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু সশস্ত্র ব্যক্তিদের দ্বারা অপহরণ ও গুম হয়েছিলেন। অপহরণকারীরা তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে যায়। ভারতীয় আদালত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সমস্ত সাক্ষ্য ও দলিল পর্যালোচনা করে তাকে বেকসুর খালাস দেয়। বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করানোর জন্য ভারত সরকারকে নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ভারত সরকার আপিল করলে আপিল আদালতও বিচারিক আদালতের বেকসুর খালাসের রায় ও প্রত্যাবর্তন করানোর নির্দেশনার আদেশ বহাল রাখেন।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বর্তমান সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা-মামলার অন্যতম শিকার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার বেকসুর খালাসের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশের এই অবৈধ সরকার চক্রান্ত করে সীমাহীন নির্যাতন ও হয়রানি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘সালাহ উদ্দিনকে দেশে আনতে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান’

আপডেট সময় ০৯:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, তাকে বিনাকারণে দীর্ঘ আট বছর ভারতের কারাগারে কাটাতে হয়েছে। সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। এখন তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব সরকারের। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি সালাহ উদ্দিনকে মুক্ত অবস্থায় অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন। মির্জা ফখরুল বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে অবিলম্বে সসম্মানে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আহ্বান জানাচ্ছি, তার মানবাধিকার সমুন্নত রাখার এবং সম্মানিত করার।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কিছু সাদা পোশাকধারী উত্তরার এক বন্ধুর বাসা থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে তুলে নেয়। দীর্ঘ ৬১ দিন অজ্ঞাত স্থানে তাকে গুম করে রাখা হয়। তারপর ওই বছরের ১০ মে চোখ বাঁধা অবস্থায় একটি গাড়িতে দীর্ঘ পথযাত্রা করিয়ে ১১ মে ভোররাতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক রাস্তার ওপর ফেলে রাখা হয়। ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিজেই চোখ খুলে স্থানীয় পথচারীদের সহায়তায় শিলং পুলিশের কাছে তার পরিচয় এবং বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরেন। পরে পুলিশ তাকে ভারতের ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর বিধানমতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখায়।

তিনি বলেন, সালাহ উদ্দিন আহমেদ ভারতের আদালতে বিচারকালীন রাষ্ট্রপক্ষের সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ মোকাবেলা ও খণ্ডন করে এবং নিজের পক্ষে ৭০টি দালিলিক প্রমাণ ও সাফাই সাক্ষী উপস্থাপন করে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, তিনি বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কিছু সশস্ত্র ব্যক্তিদের দ্বারা অপহরণ ও গুম হয়েছিলেন। অপহরণকারীরা তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে যায়। ভারতীয় আদালত পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে সমস্ত সাক্ষ্য ও দলিল পর্যালোচনা করে তাকে বেকসুর খালাস দেয়। বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করানোর জন্য ভারত সরকারকে নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই রায়ের বিরুদ্ধে ভারত সরকার আপিল করলে আপিল আদালতও বিচারিক আদালতের বেকসুর খালাসের রায় ও প্রত্যাবর্তন করানোর নির্দেশনার আদেশ বহাল রাখেন।

সালাহ উদ্দিন আহমেদ বর্তমান সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা-মামলার অন্যতম শিকার উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার বেকসুর খালাসের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, সালাহ উদ্দিন আহমেদকে বাংলাদেশের এই অবৈধ সরকার চক্রান্ত করে সীমাহীন নির্যাতন ও হয়রানি করেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান।