০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১২:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১০৯ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁ শহর থেকে আটকের পর র‍্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক ও উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রতিবেদনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে। এর আগে সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। পরে ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট’ তলব করেন হাইকোর্ট। সকালের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে সুলতানা জেসমিন র‍্যাবের যে কর্মকর্তার অধীনে ছিলেন তার নাম আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২২ মার্চ) সকালে প্রতিদিনের মতো অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হন সুলতানা জেসমিন। পথে সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে পৌঁছালে সাদা রঙের মাইক্রোবাসযোগে এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায় র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।

আটকের প্রায় ২ ঘণ্টা পর দুপুরে সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে র‍্যাব। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে তার মৃত্যু হয়।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন

আপডেট সময় ১২:৫৭:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩

নওগাঁ শহর থেকে আটকের পর র‍্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক ও উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে। তাকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রতিবেদনের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হবে। এর আগে সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন অ্যাডভোকেট মনোজ কুমার ভৌমিক। পরে ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনায় ‘পোস্টমর্টেম রিপোর্ট’ তলব করেন হাইকোর্ট। সকালের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইসঙ্গে সুলতানা জেসমিন র‍্যাবের যে কর্মকর্তার অধীনে ছিলেন তার নাম আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২২ মার্চ) সকালে প্রতিদিনের মতো অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হন সুলতানা জেসমিন। পথে সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের নওযোয়ান মাঠের সামনে পৌঁছালে সাদা রঙের মাইক্রোবাসযোগে এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায় র‍্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।

আটকের প্রায় ২ ঘণ্টা পর দুপুরে সুলতানাকে অসুস্থ অবস্থায় নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে র‍্যাব। সেখানে সন্ধ্যা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন থাকার পর তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে তার মৃত্যু হয়।