০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

৩ বছর মেয়র থাকার পরও জাহাঙ্গীরের আয়ে বিশাল ধস

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:২৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৫১ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচনী হলফনামা দাখিল করেছেন। এতে দেখা গেছে মেয়র হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করার পরও তার আয়ে বিশাল ধস নেমেছে।

এবার জাহাঙ্গীর আলম তার নির্বাচনী হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৯ লাখ টাকা। অথচ ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় তার দাখিল করা হলফনামায় বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। সেই হিসেবে মাত্র পাঁচ বছরে তার বার্ষিক আয় কমেছে ২ কোটি ৭ লাখ টাকার বেশি।

পাঁচ বছর আগে জাহাঙ্গীর আলমের কৃষি খাত থেকে আয় ছিল দেড় লাখ টাকা। এবার কৃষি খাত থেকে আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ আয় ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, এবারও একই অঙ্ক দেখিয়েছেন। গতবার ব্যবসা থেকে আয় দেখিয়েছেন ৯৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। অথচ এবার সেই আয় কমে ৩ লাখ টাকা হয়েছে। এ ছাড়াও জাহাঙ্গীরের দুটি গাড়ি, ৩৫ ভরি স্বর্ণ, একটি বন্দুক, একটি পিস্তল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং আসবাবপত্র আগের মতোই রয়েছে।

বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে বার্ষিক আয়ে জাহাঙ্গীর আলমের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৫ টাকা। এর মধ্যে আইনজীবী পেশা থেকে বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকা। এর বাইরে শেয়ার সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক সুদ থেকে বার্ষিক আয় ৬২ হাজার ৫০৫ টাকা।

কৃষি ও তৈরি পোশাকের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বার্ষিক ২৪ লাখ ৩ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পান। এ ছাড়াও লেখক হিসেবে বই বিক্রি করে বার্ষিক ১ লাখ টাকা আয় করেন। আজমত উল্লাহ’র নিজের কোন গাড়ি না থাকলেও তার স্ত্রীর নামে একটি প্রাডো গাড়ি রয়েছে। তার নিজের ২০ তোলা ও স্ত্রীর ৩০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া এই মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

৩ বছর মেয়র থাকার পরও জাহাঙ্গীরের আয়ে বিশাল ধস

আপডেট সময় ১০:২৪:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচনী হলফনামা দাখিল করেছেন। এতে দেখা গেছে মেয়র হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করার পরও তার আয়ে বিশাল ধস নেমেছে।

এবার জাহাঙ্গীর আলম তার নির্বাচনী হলফনামায় বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৯ লাখ টাকা। অথচ ২০১৮ সালে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় তার দাখিল করা হলফনামায় বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। সেই হিসেবে মাত্র পাঁচ বছরে তার বার্ষিক আয় কমেছে ২ কোটি ৭ লাখ টাকার বেশি।

পাঁচ বছর আগে জাহাঙ্গীর আলমের কৃষি খাত থেকে আয় ছিল দেড় লাখ টাকা। এবার কৃষি খাত থেকে আয় দেখিয়েছেন ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। বাড়ি ও দোকান ভাড়া বাবদ আয় ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, এবারও একই অঙ্ক দেখিয়েছেন। গতবার ব্যবসা থেকে আয় দেখিয়েছেন ৯৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। অথচ এবার সেই আয় কমে ৩ লাখ টাকা হয়েছে। এ ছাড়াও জাহাঙ্গীরের দুটি গাড়ি, ৩৫ ভরি স্বর্ণ, একটি বন্দুক, একটি পিস্তল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং আসবাবপত্র আগের মতোই রয়েছে।

বর্তমানে তার বিরুদ্ধে আটটি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে বার্ষিক আয়ে জাহাঙ্গীর আলমের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৩১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০৫ টাকা। এর মধ্যে আইনজীবী পেশা থেকে বার্ষিক আয় ৬ লাখ টাকা। এর বাইরে শেয়ার সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক সুদ থেকে বার্ষিক আয় ৬২ হাজার ৫০৫ টাকা।

কৃষি ও তৈরি পোশাকের তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি বার্ষিক ২৪ লাখ ৩ হাজার টাকা সম্মানী ভাতা পান। এ ছাড়াও লেখক হিসেবে বই বিক্রি করে বার্ষিক ১ লাখ টাকা আয় করেন। আজমত উল্লাহ’র নিজের কোন গাড়ি না থাকলেও তার স্ত্রীর নামে একটি প্রাডো গাড়ি রয়েছে। তার নিজের ২০ তোলা ও স্ত্রীর ৩০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া এই মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো মামলা নেই।