বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে তথ্য সংগ্রহ করেছে নির্বাচন কমিশন।

ইসি সচিব আখতার আহমেদ সোমবার বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোটার তালিকাভুক্ত করতে হালনাগাদ কার্যক্রমে জুবাইদা রহমানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও চূড়ান্তভাবে ভোটার তালিকায় নাম ওঠে হালনাগাদ কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর।

ভোট দেওয়ার জন্য যেমন ভোটার হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তেমনই সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলেও ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হয়।

২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরুর হয়। প্রথমবারের মতো ৮ কোটি ১০ লাখের বেশি নাগরিক ভোটার তালিকাভুক্ত হয়। গত ২ মার্চে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২৭৪ জনে।

২০০৮ সালেই কারামুক্তির পর তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার লন্ডনে যান। স্ত্রী জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জায়মা রহমানও তার সঙ্গে গিয়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের সময়ে তাদের আর দেশে ফেরা হয়নি। ফলে তারা এতদিন ছবিসহ ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি।

১৭ বছর পর গত ৬ মে শাশুড়ির সঙ্গে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন জুবাইদা। কোরবানির ঈদের আগে তার ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন ইসি কর্মকর্তারা।

এক মাস দেশে কাটানোর পর গত ৫ জুন জুবাইদা রহমান লন্ডনে স্বামী তারেক রহমানের কাছে ফিরে যান।

আইন অনুযায়ী, হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করে এর আগেই তালিকা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

১৯৯৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় স্বাস্থ্য ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করে জুবাইদা সরকারি চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ২০০৮ সালে শিক্ষা ছুটি নিয়ে লন্ডন যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকার তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে। পরে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজ থেকে মেডিসিনে এমএসসি ডিগ্রি নেন।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মেয়ে জুবাইদা রাজনীতিতে সক্রিয় নন। তিনি আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না তা নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। সম্প্রতি দেশে ফিরলে তাকে ঘিরে সিলেট বিএনপির রাজনীতিতে নানা আলোচনা চলে।

জুবাইদা রহমানের বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান ১৯৭৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১৯৮৪ সালের ৬ অগাস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের নৌবাহিনীর

প্রধান ছিলেন। এরপর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময়ে তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী জোবাইদা রহমানের চাচা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম