০৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
মূলত অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের আবেদন ও মামলা বাতিলের মধ্য দিয়ে তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।

অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসনে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরিকল্পনা

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৯:৩৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
  • / ২১ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

 

আমেরিকায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। পরিকল্পনার আওতায় হাজার হাজার অভিবাসনের আবেদন বাতিল করে শুনানি ছাড়াই তাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) নির্ভরযোগ্য দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

সিএনএন জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপের আওতায় আগের লাখ লাখ আশ্রয় আবেদনকারীও ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপগুলোর সর্বশেষ সংযোজন এটি। কর্মকর্তাদের ওপর অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে চাপ বাড়ার প্রেক্ষাপটে, দ্রুত দেশ ছাড়ার বিকল্প দিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মূলত অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের আবেদন ও মামলা বাতিলের মধ্য দিয়ে তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, গত এক দশকে যাঁরা আশ্রয় চেয়েছেন, তাঁদের এক চতুর্থাংশই বেআইনিভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেছেন। সংখ্যায় এটি প্রায় আড়াই লাখ।

বর্তমানে প্রায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যক্তির আশ্রয় আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।

নতুন নীতিমালায় আমেরিকার অভিবাসন সংস্থা ইউএসসিআইএস-কে এসব আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যা অতীতে বিচারকের অধিকার বলে বিবেচিত হতো। সংস্থাটির মুখপাত্র ম্যাথিউ ট্র্যাগেসার জানান, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অভিবাসন ব্যবস্থায় জালিয়াতি রোধ ও অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো।

তবে এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

এএনসিএলইউ’র ডেপুটি ডিরেক্টর সারাহ মেহতা বলেন, “সরাসরি আবেদন বাতিল না করে, যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বহু বছর ধরে যারা সমাজের অংশ, তাদের এভাবে তাড়িয়ে দেওয়া অনৈতিক।”

আমেরিকান ফেডারেশন অফ গভর্নমেন্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল নোলস বলেছেন বলেন, “আশ্রয় পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। যদি তা লঙ্ঘন করা হয়, আমরা এর বিরোধিতা করব।”

অ্যাসাইলাম অ্যাডভোকেসি প্রজেক্টের সহ–নির্বাহী পরিচালক কনচিটা ক্রুজ জানান, “দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় বসবাসকারী অভিবাসীরা দেশটির অর্থনীতি ও সমাজে অবদান রেখে আসছেন। তাদের হঠাৎ ফেরত পাঠানো মানবিক দিক থেকে ভুল এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কারণে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে আশ্রয় পাওয়ার পথ আগেই রুদ্ধ হয়েছে। এবার অভ্যন্তরীণ আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস।

সিএনএন জানায়, ইতোমধ্যে অনেক আবেদনকারী তাদের আশ্রয়ের মামলা বাতিল হওয়ার নোটিশ পেয়েছেন। তবে বাতিলের নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

 

সূত্র : সিএনএন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

মূলত অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের আবেদন ও মামলা বাতিলের মধ্য দিয়ে তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।

অবৈধ অভিবাসী প্রত্যাবাসনে ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পরিকল্পনা

আপডেট সময় ০৯:৩৯:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

 

আমেরিকায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত দেশে ফেরত পাঠাতে নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। পরিকল্পনার আওতায় হাজার হাজার অভিবাসনের আবেদন বাতিল করে শুনানি ছাড়াই তাদের ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) নির্ভরযোগ্য দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

সিএনএন জানিয়েছে, নতুন এই পদক্ষেপের আওতায় আগের লাখ লাখ আশ্রয় আবেদনকারীও ঝুঁকির মুখে পড়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী পদক্ষেপগুলোর সর্বশেষ সংযোজন এটি। কর্মকর্তাদের ওপর অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে চাপ বাড়ার প্রেক্ষাপটে, দ্রুত দেশ ছাড়ার বিকল্প দিয়ে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মূলত অবৈধভাবে আমেরিকা প্রবেশ করে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের আবেদন ও মামলা বাতিলের মধ্য দিয়ে তাদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, গত এক দশকে যাঁরা আশ্রয় চেয়েছেন, তাঁদের এক চতুর্থাংশই বেআইনিভাবে আমেরিকায় প্রবেশ করেছেন। সংখ্যায় এটি প্রায় আড়াই লাখ।

বর্তমানে প্রায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ব্যক্তির আশ্রয় আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।

নতুন নীতিমালায় আমেরিকার অভিবাসন সংস্থা ইউএসসিআইএস-কে এসব আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যা অতীতে বিচারকের অধিকার বলে বিবেচিত হতো। সংস্থাটির মুখপাত্র ম্যাথিউ ট্র্যাগেসার জানান, এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে অভিবাসন ব্যবস্থায় জালিয়াতি রোধ ও অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো।

তবে এই পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন মানবাধিকারকর্মী ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

এএনসিএলইউ’র ডেপুটি ডিরেক্টর সারাহ মেহতা বলেন, “সরাসরি আবেদন বাতিল না করে, যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। বহু বছর ধরে যারা সমাজের অংশ, তাদের এভাবে তাড়িয়ে দেওয়া অনৈতিক।”

আমেরিকান ফেডারেশন অফ গভর্নমেন্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল নোলস বলেছেন বলেন, “আশ্রয় পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। যদি তা লঙ্ঘন করা হয়, আমরা এর বিরোধিতা করব।”

অ্যাসাইলাম অ্যাডভোকেসি প্রজেক্টের সহ–নির্বাহী পরিচালক কনচিটা ক্রুজ জানান, “দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় বসবাসকারী অভিবাসীরা দেশটির অর্থনীতি ও সমাজে অবদান রেখে আসছেন। তাদের হঠাৎ ফেরত পাঠানো মানবিক দিক থেকে ভুল এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ।”

ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির কারণে দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে আশ্রয় পাওয়ার পথ আগেই রুদ্ধ হয়েছে। এবার অভ্যন্তরীণ আবেদনকারীদের ক্ষেত্রেও কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস।

সিএনএন জানায়, ইতোমধ্যে অনেক আবেদনকারী তাদের আশ্রয়ের মামলা বাতিল হওয়ার নোটিশ পেয়েছেন। তবে বাতিলের নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।

 

সূত্র : সিএনএন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম