০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
নানা কৌশলে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর দুদিন আগেই ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

অভিযোগ আসছে , ডাকসু ভোটে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০১:২২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

 

প্রচার চালানো যাবে না, ভোটারদের খাবার বা পানীয় দেওয়াতে আছে বারণ; কিন্তু হরহামেশায় পাঠকক্ষে বা লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ছেন অনেক প্রার্থী। ফেইসবুকে দেওয়া হয়েছে ছবি ক্যান্টিনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন করে ।

আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের এসব ঘটনা। তবে প্রার্থীদের গণসংযোগ দেখে বোঝার উপায় নেই- আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হতে আরও দুদিন বাকি।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত কয়েকদিন ঘুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের এসব চিত্র চোখে পড়েছে। ২৬ অগাস্টের আগে প্রচার শুরু করাসহ আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়েছে অভিযোগও; কিন্তু তাদের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

ডাকসু ভোটের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলছেন, অভিযোগ পেয়ে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমরা তো যাচাই-বাছাই করছি। আমরা তো এতদিন অপেক্ষা করছি, কী অবস্থা কী অবস্থা, আমরা দেখতেছি যে এটাতে কন্টিনিউয়াসলি অভিযোগ আসতেছে।

“হ্যাঁ, যেটা সত্য হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে, সেজন্য আমরা অনুরোধ করছি যে, এটা আপাতত বন্ধ রাখা হোক সবার স্বার্থে।”

এদিকে সরজমিনে দেখা গেছে, রোববার দুপুরে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামীম ও এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদসহ প্যানেলের অন্যান্য সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে জনসংযোগ করতে গিয়েছেন।

এদিন সন্ধ্যায় প্যানেলের কয়েকজন সদস্য নিয়ে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মহসিন হলে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন ভিপি প্রার্থী আবিদ।

এ নিয়ে স্বতন্ত্র ঐক্য অভিযোগ করেছে, ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের খাওয়াচ্ছে। প্রাইভেসি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন রিডিং রুমে শিক্ষার্থীদের জোর করে বাগে আনার চেষ্টা করছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রদলের সহসভাপতি প্রার্থী আবিদকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তানভীর বারী হামিমকে ফোন করা হলে আবিদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

এদিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদকেও ক্যাম্পাসে প্রচার চালাতে দেখা গেছে।

রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছেন সাদিক কায়েমসহ অন্যরা।

ছাত্রদলের আবিদের প্রচারের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার তথ্য দিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “গতকালকে (শনিবার) ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান প্রচার চালিয়েছে, একটা ভিডিও আমরা দেখেছি। তো, এটা নিয়ে অলরেডি একটা অভিযোগে এসেছে।

“আমরা এখন অভিযোগটা পেয়েছি, আমরা কমিশনের মেম্বারদেরকে ডাকব, ওনারা যেটা সিদ্ধান্ত নিবেন, তাকে সতর্ক করবেন, না কি করবেন আমরা কমিশন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিব।”

শুধু ছাত্রদল কিংবা ছাত্রশিবির নয়, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত প্যানেল ‘ডাকসু ফর চেইঞ্জ’, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ও ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যর’ ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা সরেজমিনে পাওয়া গেছে।

ডাকসু ফর চেইঞ্জ প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি তার ছবিসহ পোস্টার বানিয়ে বিভিন্ন হলের দেয়াল টাঙ্গিয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় জগন্নাথ হলে শিক্ষার্থীদের গিয়ে গণসংযোগ যান ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’প্যানেলের প্রার্থীরা। আগের দিন ওই প্যানেলের এক প্রার্থীর আয়োজনে শনিবার টিএসসি মিলনায়তনে স্ট্যান্ডআপ কমেডির শো’র আয়োজন করা হয়েছিল।

এ নিয়ে আল সাদী ভূইয়া বলেছেন, ”আমরা কোনো নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করি নাই। বরং নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘন ইস্যু নিয়ে সবার আগে সোচ্চার হয়েছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার ছাত্রদল ও শিবিরের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় অন্ধ বনে যায়।

“আর আমরা আজকে আমাদের আইডিয়া ওয়ালে শিক্ষার্থীরা কী লিখছে, কী চেয়েছে তা দেখতে গিয়েছি। আমরা কারো কাছে ভোট চাইনি। বরং শিক্ষার্থীরা আমরা কেন ভোট চাচ্ছি না সে প্রশ্ন করেছে।”

এছাড়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তার নিয়ন্ত্রণাধীন ফেইসবুক গ্রুপ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ ১ও২) সাইবার বুলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে চিঠি দিয়ে ওই গ্রুপ দুটির কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রশাসনের এই উদ্যোগের পর নিজের খোলা একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান সাব্বির। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই গ্রুপে ছয় হাজারের বেশি সদস্য যুক্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে সাব্বির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা টেলিগ্রাম গ্রুপটা অনেক আগে খুলেছি। আর প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনেরতো কোনো বাধা-নিষেধ দেখছি না।”

নতুন করে গ্রুপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “হ্যাঁ বলেছি। তবে, সেক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমি মনে করছি না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু তিনটা গ্রুপ বন্ধ করেছে। এই রকম আরও অসংখ্য গ্রুপ আছে।”

এদিকে, আচরণবিধি মেনে সেবামূলক কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য প্রার্থীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম।

তিনি বলেন, “আমরা তো এই কথাটা পরিষ্কার করেছি যে, যে সকল সেবামূলক কাজ সেগুলোর সাথে কোনো প্রার্থী জড়িত হলে তার পক্ষে ভোটের পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, অন্যেরা সেটাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্য আমরা বলছি এগুলো আপাতত স্থগিত থাকুক।”

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

নানা কৌশলে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর দুদিন আগেই ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

অভিযোগ আসছে , ডাকসু ভোটে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের

আপডেট সময় ০১:২২:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

 

প্রচার চালানো যাবে না, ভোটারদের খাবার বা পানীয় দেওয়াতে আছে বারণ; কিন্তু হরহামেশায় পাঠকক্ষে বা লাইব্রেরিতে ঢুকে পড়ছেন অনেক প্রার্থী। ফেইসবুকে দেওয়া হয়েছে ছবি ক্যান্টিনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের আপ্যায়ন করে ।

আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের এসব ঘটনা। তবে প্রার্থীদের গণসংযোগ দেখে বোঝার উপায় নেই- আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হতে আরও দুদিন বাকি।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত কয়েকদিন ঘুরে আচরণবিধি লঙ্ঘনের এসব চিত্র চোখে পড়েছে। ২৬ অগাস্টের আগে প্রচার শুরু করাসহ আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা পড়েছে অভিযোগও; কিন্তু তাদের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

ডাকসু ভোটের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলছেন, অভিযোগ পেয়ে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ তারা নিচ্ছেন। প্রচার-প্রচারণা বন্ধ রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, “আমরা তো যাচাই-বাছাই করছি। আমরা তো এতদিন অপেক্ষা করছি, কী অবস্থা কী অবস্থা, আমরা দেখতেছি যে এটাতে কন্টিনিউয়াসলি অভিযোগ আসতেছে।

“হ্যাঁ, যেটা সত্য হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে, সেজন্য আমরা অনুরোধ করছি যে, এটা আপাতত বন্ধ রাখা হোক সবার স্বার্থে।”

এদিকে সরজমিনে দেখা গেছে, রোববার দুপুরে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান, জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামীম ও এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদসহ প্যানেলের অন্যান্য সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলে জনসংযোগ করতে গিয়েছেন।

এদিন সন্ধ্যায় প্যানেলের কয়েকজন সদস্য নিয়ে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মহসিন হলে গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেন ভিপি প্রার্থী আবিদ।

এ নিয়ে স্বতন্ত্র ঐক্য অভিযোগ করেছে, ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের খাওয়াচ্ছে। প্রাইভেসি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন রিডিং রুমে শিক্ষার্থীদের জোর করে বাগে আনার চেষ্টা করছে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছাত্রদলের সহসভাপতি প্রার্থী আবিদকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তানভীর বারী হামিমকে ফোন করা হলে আবিদের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।

এদিকে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপিপ্রার্থী সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরহাদকেও ক্যাম্পাসে প্রচার চালাতে দেখা গেছে।

রোববার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছেন সাদিক কায়েমসহ অন্যরা।

ছাত্রদলের আবিদের প্রচারের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার তথ্য দিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “গতকালকে (শনিবার) ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান প্রচার চালিয়েছে, একটা ভিডিও আমরা দেখেছি। তো, এটা নিয়ে অলরেডি একটা অভিযোগে এসেছে।

“আমরা এখন অভিযোগটা পেয়েছি, আমরা কমিশনের মেম্বারদেরকে ডাকব, ওনারা যেটা সিদ্ধান্ত নিবেন, তাকে সতর্ক করবেন, না কি করবেন আমরা কমিশন সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিব।”

শুধু ছাত্রদল কিংবা ছাত্রশিবির নয়, আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত প্যানেল ‘ডাকসু ফর চেইঞ্জ’, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ও ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যর’ ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা সরেজমিনে পাওয়া গেছে।

ডাকসু ফর চেইঞ্জ প্যানেল থেকে ভিপি পদপ্রার্থী বিন ইয়ামিন মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি তার ছবিসহ পোস্টার বানিয়ে বিভিন্ন হলের দেয়াল টাঙ্গিয়েছেন।

রোববার সন্ধ্যায় জগন্নাথ হলে শিক্ষার্থীদের গিয়ে গণসংযোগ যান ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’প্যানেলের প্রার্থীরা। আগের দিন ওই প্যানেলের এক প্রার্থীর আয়োজনে শনিবার টিএসসি মিলনায়তনে স্ট্যান্ডআপ কমেডির শো’র আয়োজন করা হয়েছিল।

এ নিয়ে আল সাদী ভূইয়া বলেছেন, ”আমরা কোনো নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করি নাই। বরং নির্বাচনি বিধি লঙ্ঘন ইস্যু নিয়ে সবার আগে সোচ্চার হয়েছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার ছাত্রদল ও শিবিরের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় অন্ধ বনে যায়।

“আর আমরা আজকে আমাদের আইডিয়া ওয়ালে শিক্ষার্থীরা কী লিখছে, কী চেয়েছে তা দেখতে গিয়েছি। আমরা কারো কাছে ভোট চাইনি। বরং শিক্ষার্থীরা আমরা কেন ভোট চাচ্ছি না সে প্রশ্ন করেছে।”

এছাড়া গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত প্যানেল ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ’ এর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদপ্রার্থী সাব্বির আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তার নিয়ন্ত্রণাধীন ফেইসবুক গ্রুপ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ ১ও২) সাইবার বুলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে চিঠি দিয়ে ওই গ্রুপ দুটির কার্যক্রম বন্ধের উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রশাসনের এই উদ্যোগের পর নিজের খোলা একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান সাব্বির। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই গ্রুপে ছয় হাজারের বেশি সদস্য যুক্ত হয়েছেন।

এ বিষয়ে সাব্বির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা টেলিগ্রাম গ্রুপটা অনেক আগে খুলেছি। আর প্রচারণা চালানোর ক্ষেত্রে প্রশাসনেরতো কোনো বাধা-নিষেধ দেখছি না।”

নতুন করে গ্রুপে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “হ্যাঁ বলেছি। তবে, সেক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমি মনে করছি না। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুধু তিনটা গ্রুপ বন্ধ করেছে। এই রকম আরও অসংখ্য গ্রুপ আছে।”

এদিকে, আচরণবিধি মেনে সেবামূলক কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য প্রার্থীদের আহ্বান জানিয়ে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক জসীম।

তিনি বলেন, “আমরা তো এই কথাটা পরিষ্কার করেছি যে, যে সকল সেবামূলক কাজ সেগুলোর সাথে কোনো প্রার্থী জড়িত হলে তার পক্ষে ভোটের পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, অন্যেরা সেটাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্য আমরা বলছি এগুলো আপাতত স্থগিত থাকুক।”

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম