০৮:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
“আমরা যে আশা করেছিলাম, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুণগতমানের একটা পরিবর্তন দেখবো, একটা উন্নতি দেখবো, সেটা হয়নি,” বলেন তিনি।

অভ্যুত্থানের শহীদদের সাথে ‘বেঈমানি’ করেছে সরকার, ‘নিশ্চিত’ রেজা কিবরিয়া

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৫:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
  • / ২৮ বার পড়া হয়েছে

জনতা পার্টির আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রেজা কিবরিয়া।

 

জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সাথে যে অন্তর্বর্তী সরকার ‘বেঈমানি’ করেছে, তাতে ‘সন্দেহ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাবেক নেতা রেজা কিবরিয়া।

দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বর্তমান সরকার ‘ব্যর্থ’ হয়েছে দাবি করে তিনি আবারও ‘বিপ্লবের সম্ভাবনা’ দেখার কথা বলেছেন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতা পার্টি বাংলাদেশ এর আলোচনা সভায় রেজা কিবরিয়া বলেন, “জুলাই অগাস্টের শহীদদের সাথে বেইমানি করেছে এই সরকার, এ সম্বন্ধে আমার কোনো সন্দেহ নাই।

“আমরা যে আশা করেছিলাম, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুণগতমানের একটা পরিবর্তন দেখবো, একটা উন্নতি দেখবো, সেটা হয়নি। আমরা বেশি আশা করেছিলাম।”

ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে গতবছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।

রেজা কিবরিয়া বলেন, “প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গুটি কয়েক এনজিওর লোক এবং চাটগাঁইয়া লোক সরকারে ঢুকিয়ে কী ধরনের সরকার গঠন করেছে সেটা উনি ভালো বোঝেন।

“একজন এনজিওওয়ালা দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে খুব দক্ষ হবে, এর কোনো ভরসা নেই। যাদের (সরকারে) নিয়েছেন তারা অদক্ষ; দুঃখের বিষয় হচ্ছে তারা অসৎ।”

বর্তমান সরকার শেখ হাসিনা সরকারের চেয়ে অনেক নিচুমানের দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা এখন বিপ্লবের পথ হারিয়ে ফেলেছি, আমরা কী চেয়েছিলাম আর কী হয়েছে, আমরা হাসিনা সরকারের চেয়ে শতকরা ৫ ভাগ উন্নতি চেয়েছি, সেটা আমরা পাব ভেবেছিলাম, আমরা সেটা পাইনি। আমি কখনও ভাবিনি শেখ হাসিনার পরে এত নিম্নমানের একটা সরকার আসবে।”

অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ সালের সরকারে অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে। সংসদ সদস্য কিবরিয়া বিএনপি আমলে ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে বোমা হামলায় নিহত হন।

বাবার রাজনৈতিক ধারার বিপরীতে গিয়ে রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট করেছিলেন।

কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন রেজা। কিন্তু দলটি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টুর সঙ্গে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে সেই দল ছাড়তে হয়েছিল তাকে।

পরে তিনি ডাকসুর সাবেক ভিসি নুরুল হক নুরের সঙ্গে মিলে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে নূরের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে পাল্টা-পাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। গত বছরের ৪ জানুয়ারি তিনি গণঅধিকার পরিষদও ছাড়েন।

সরকারের অনেক উপদেষ্টাকে পালাতে হবে মন্তব্য করে রেজা কিবরিয়া বলেন, “এরা যে কষ্ট করেছে এক বছর, তারা এমন কাজ করেছে, দেশ ছেড়ে অনেককে পালাতে হবে। আমি বলবো, তোমরা এমন কিছু কাজ করেছ, সামনে সরকার আসলে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।”

 

জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ।জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ।

 

এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যে এখন আইন উপদেষ্টা আছেন, সে কী আনিসুল হকের থেকে ভালো? কোন মতে? আমার তো মনে হয় না। একই জাতের লোক, একই কাজ করছে। ছাত্রদের হয়ে বসেছে, ছাত্ররা অনেকটা ঠকেছে। তারা এ ধরনের একটা ‘দুস্কৃতিকারীকে’ ক্ষমতায় নিয়ে এখন বুঝতে পেরেছে, তারা একটা মস্ত বড় ভুল করেছে।”

কিছু ‘ছাত্র দুর্নীতিতে’ জড়িয়ে পড়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য এই ছিল।”

আসিফ নজরুলসহ সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এদের হাতে সংস্কার দেওয়াটা একটা বিরাট ভুল, আমি এটা মানি না। সামনের সরকার এসে, তারা সংস্কার করবে।”

দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক এই নেতা বলেন, “এদের (সরকার) হাতে সংস্কার তো বিশ্বাস করিই না। এদের হাতে যে নির্বাচন হতে পারে, নির্বাচন হবে, তারা বলেছে। কোন সরকার ক্ষমতায় থাকবে, এরা তো নিরপেক্ষ না এদের তো একটা পার্টি আছে। সেই পার্টিকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য এখনই কাজ করছে। আমি, এদের বিশ্বাস করি না।”

নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন দাবি করেন তিনি।

আবারও ‘বিপ্লবের সম্ভাবনার’ আছে মন্তব্য করেন রেজা কিবরিয়া বলেন, “আমি মনে করি নতুন একটা বিপ্লব হতে পারে। বারবার বিপ্লব হওয়াটাও একটা খারাপ জিনিস। এটা অস্থিরতা বাড়াবে। দেশের অস্থিরতা আমাদের জন্য ভালো না। দেশের স্থিতিশীলতা ফেরত আসবে কীভাবে, এটা আমি বুঝতে পারছি না।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, এই সরকার কীভাবে নির্বাচন করবে সেটা বলছে না।

“কেউ কেউ বলা শুরু করছে, এই নির্বাচন হলেও নির্বাচনের পরে গণ-অভ্যুত্থান হবে, যদি সংস্কার শেষ না করা হয়। তাহলে কি আমরা বারবার গণঅভ্যুত্থান, বারবার নির্বাচন এই বৃত্তের মধ্যেই ঘুরতে থাকবো? আমাদের সমস্যা আর সমাধান হবে না?

প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেব সকালে একদিকে থাকেন, বিকালে আরেক দিকে যান। মালয়শিয়ায় এক ধরনের কথা বলেন, ফিরে আরেক ধরনের কথা বলেন। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবার ফ্যাসিবাদে ফিরে যাওয়া হবে, আর এখানে এসে আরেক কথা বলেন।

“অর্থাৎ প্রতিদিনই যাদের হাত ধরে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন তাদের সমর্থন হারাচ্ছেন। যেটা এনসিপির প্রধান নাহিদ বলেছেন, ‘ড. ইউনূস একা হয়ে গেছেন’। কারণ তারা মনে করছে, ড. ইউনূস বিএনপির দিকে ঝুঁকে ‘সেইফ এক্সিটের’ কথা ভাবছেন। এটাও একটা সংকট তৈরি করছে।”

জনতা পার্টির উপদেষ্টা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, “বিএনপির নেতারা বলছেন, আগামী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে কী হবে, তিনি তো চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তাহলে ক্ষমতায় গিয়ে তারা দেশ কীভাবে চালাবেন।”

জনতা পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মিলনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি মহসীন রশিদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি এ কে এম আশরাফুল হক, জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর আমিন আহমেদ আফসারী।

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“আমরা যে আশা করেছিলাম, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুণগতমানের একটা পরিবর্তন দেখবো, একটা উন্নতি দেখবো, সেটা হয়নি,” বলেন তিনি।

অভ্যুত্থানের শহীদদের সাথে ‘বেঈমানি’ করেছে সরকার, ‘নিশ্চিত’ রেজা কিবরিয়া

আপডেট সময় ০৫:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫

 

জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের সাথে যে অন্তর্বর্তী সরকার ‘বেঈমানি’ করেছে, তাতে ‘সন্দেহ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাবেক নেতা রেজা কিবরিয়া।

দেশে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বর্তমান সরকার ‘ব্যর্থ’ হয়েছে দাবি করে তিনি আবারও ‘বিপ্লবের সম্ভাবনা’ দেখার কথা বলেছেন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জনতা পার্টি বাংলাদেশ এর আলোচনা সভায় রেজা কিবরিয়া বলেন, “জুলাই অগাস্টের শহীদদের সাথে বেইমানি করেছে এই সরকার, এ সম্বন্ধে আমার কোনো সন্দেহ নাই।

“আমরা যে আশা করেছিলাম, দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গুণগতমানের একটা পরিবর্তন দেখবো, একটা উন্নতি দেখবো, সেটা হয়নি। আমরা বেশি আশা করেছিলাম।”

ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে গতবছরের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ অগাস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়।

রেজা কিবরিয়া বলেন, “প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস গুটি কয়েক এনজিওর লোক এবং চাটগাঁইয়া লোক সরকারে ঢুকিয়ে কী ধরনের সরকার গঠন করেছে সেটা উনি ভালো বোঝেন।

“একজন এনজিওওয়ালা দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে খুব দক্ষ হবে, এর কোনো ভরসা নেই। যাদের (সরকারে) নিয়েছেন তারা অদক্ষ; দুঃখের বিষয় হচ্ছে তারা অসৎ।”

বর্তমান সরকার শেখ হাসিনা সরকারের চেয়ে অনেক নিচুমানের দাবি করে তিনি বলেন, “আমরা এখন বিপ্লবের পথ হারিয়ে ফেলেছি, আমরা কী চেয়েছিলাম আর কী হয়েছে, আমরা হাসিনা সরকারের চেয়ে শতকরা ৫ ভাগ উন্নতি চেয়েছি, সেটা আমরা পাব ভেবেছিলাম, আমরা সেটা পাইনি। আমি কখনও ভাবিনি শেখ হাসিনার পরে এত নিম্নমানের একটা সরকার আসবে।”

অর্থনীতিবিদ রেজা কিবরিয়া আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ সালের সরকারে অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে। সংসদ সদস্য কিবরিয়া বিএনপি আমলে ২০০৫ সালে হবিগঞ্জে বোমা হামলায় নিহত হন।

বাবার রাজনৈতিক ধারার বিপরীতে গিয়ে রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে গণফোরামে যোগ দিয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভোট করেছিলেন।

কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন রেজা। কিন্তু দলটি সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টুর সঙ্গে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বে সেই দল ছাড়তে হয়েছিল তাকে।

পরে তিনি ডাকসুর সাবেক ভিসি নুরুল হক নুরের সঙ্গে মিলে গণঅধিকার পরিষদ গঠন করেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে নূরের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে পাল্টা-পাল্টি বহিষ্কারের ঘটনা ঘটে। গত বছরের ৪ জানুয়ারি তিনি গণঅধিকার পরিষদও ছাড়েন।

সরকারের অনেক উপদেষ্টাকে পালাতে হবে মন্তব্য করে রেজা কিবরিয়া বলেন, “এরা যে কষ্ট করেছে এক বছর, তারা এমন কাজ করেছে, দেশ ছেড়ে অনেককে পালাতে হবে। আমি বলবো, তোমরা এমন কিছু কাজ করেছ, সামনে সরকার আসলে দেশ ছেড়ে পালাতে হবে।”

 

জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ।জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ।

 

এ সময় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যে এখন আইন উপদেষ্টা আছেন, সে কী আনিসুল হকের থেকে ভালো? কোন মতে? আমার তো মনে হয় না। একই জাতের লোক, একই কাজ করছে। ছাত্রদের হয়ে বসেছে, ছাত্ররা অনেকটা ঠকেছে। তারা এ ধরনের একটা ‘দুস্কৃতিকারীকে’ ক্ষমতায় নিয়ে এখন বুঝতে পেরেছে, তারা একটা মস্ত বড় ভুল করেছে।”

কিছু ‘ছাত্র দুর্নীতিতে’ জড়িয়ে পড়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় না, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের লক্ষ্য এই ছিল।”

আসিফ নজরুলসহ সরকারের উপদেষ্টাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এদের হাতে সংস্কার দেওয়াটা একটা বিরাট ভুল, আমি এটা মানি না। সামনের সরকার এসে, তারা সংস্কার করবে।”

দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক এই নেতা বলেন, “এদের (সরকার) হাতে সংস্কার তো বিশ্বাস করিই না। এদের হাতে যে নির্বাচন হতে পারে, নির্বাচন হবে, তারা বলেছে। কোন সরকার ক্ষমতায় থাকবে, এরা তো নিরপেক্ষ না এদের তো একটা পার্টি আছে। সেই পার্টিকে ক্ষমতায় নেয়ার জন্য এখনই কাজ করছে। আমি, এদের বিশ্বাস করি না।”

নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে নির্বাচন দাবি করেন তিনি।

আবারও ‘বিপ্লবের সম্ভাবনার’ আছে মন্তব্য করেন রেজা কিবরিয়া বলেন, “আমি মনে করি নতুন একটা বিপ্লব হতে পারে। বারবার বিপ্লব হওয়াটাও একটা খারাপ জিনিস। এটা অস্থিরতা বাড়াবে। দেশের অস্থিরতা আমাদের জন্য ভালো না। দেশের স্থিতিশীলতা ফেরত আসবে কীভাবে, এটা আমি বুঝতে পারছি না।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টির মহাসচিব শওকত মাহমুদ বলেন, এই সরকার কীভাবে নির্বাচন করবে সেটা বলছে না।

“কেউ কেউ বলা শুরু করছে, এই নির্বাচন হলেও নির্বাচনের পরে গণ-অভ্যুত্থান হবে, যদি সংস্কার শেষ না করা হয়। তাহলে কি আমরা বারবার গণঅভ্যুত্থান, বারবার নির্বাচন এই বৃত্তের মধ্যেই ঘুরতে থাকবো? আমাদের সমস্যা আর সমাধান হবে না?

প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “ইউনূস সাহেব সকালে একদিকে থাকেন, বিকালে আরেক দিকে যান। মালয়শিয়ায় এক ধরনের কথা বলেন, ফিরে আরেক ধরনের কথা বলেন। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে আবার ফ্যাসিবাদে ফিরে যাওয়া হবে, আর এখানে এসে আরেক কথা বলেন।

“অর্থাৎ প্রতিদিনই যাদের হাত ধরে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন তাদের সমর্থন হারাচ্ছেন। যেটা এনসিপির প্রধান নাহিদ বলেছেন, ‘ড. ইউনূস একা হয়ে গেছেন’। কারণ তারা মনে করছে, ড. ইউনূস বিএনপির দিকে ঝুঁকে ‘সেইফ এক্সিটের’ কথা ভাবছেন। এটাও একটা সংকট তৈরি করছে।”

জনতা পার্টির উপদেষ্টা শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, “বিএনপির নেতারা বলছেন, আগামী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তারেক রহমান। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে কী হবে, তিনি তো চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তাহলে ক্ষমতায় গিয়ে তারা দেশ কীভাবে চালাবেন।”

জনতা পার্টির নির্বাহী চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার মিলনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি মহসীন রশিদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি এ কে এম আশরাফুল হক, জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর আমিন আহমেদ আফসারী।

 

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম