০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

‘আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা দেশেই আছেন’

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:২৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১০৫ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসির) মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা দেশেই আছেন। শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল সমন্বয়ক ফাতিয়া তাসনিম শিখা (৩১) ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। ফাতিয়া তাসনিম শিখা পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী।

আদালত থেকে তারা সদরঘাট হয়ে পালিয়ে ‘আনসার হাউজে’ অবস্থান নেয়। তাদের গ্রেপ্তারে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ছয় মাস আগে তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুয়া এনআইডি ও ভুয়া পরিচয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। নেতৃত্বপর্যায়ে নির্দেশে সংগঠনের আশকারি বিভাগের প্রধান আয়মানের নেতৃত্বে তারা সেখানে মিটিং করে।

শিখা ময়মনসিংহ থেকে এসে বৈঠকে অংশ নিতেন। বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত জেলখানায় থাকা জঙ্গি সোহেলকে দিতেন শিখা। স্ত্রী পরিচয়ে দেখা করার সুযোগেই তিনি সংগঠনের তথ্য ও তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিরিকল্পনা জানাতেন। উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪) ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে (৩৪) ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

আনসার আল ইসলামের নেতৃত্ব পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য এ জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। চার জঙ্গিকেই ছিনিয়ে নেওয়ার পরিরিকল্পনা থাকলেও তারা দুইজনকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিসহ একটি গ্রুপ চলে যায় সদরঘাটে। সেখান থেকে তারা একটি ‘আনসার হাউজে’ গিয়ে অবস্থান নেয়।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

‘আদালত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা দেশেই আছেন’

আপডেট সময় ১০:২৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসির) মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, আদালত চত্বর থেকে ছিনিয়ে নেওয়া জঙ্গিরা দেশেই আছেন। শনিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শুক্রবার (৭ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনার মূল সমন্বয়ক ফাতিয়া তাসনিম শিখা (৩১) ও তার আশ্রয়দাতা হুসনা আক্তার হুসনাকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। ফাতিয়া তাসনিম শিখা পালিয়ে যাওয়া জঙ্গি আবু সিদ্দিক সোহেলের স্ত্রী।

আদালত থেকে তারা সদরঘাট হয়ে পালিয়ে ‘আনসার হাউজে’ অবস্থান নেয়। তাদের গ্রেপ্তারে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ছয় মাস আগে তারা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ভুয়া এনআইডি ও ভুয়া পরিচয়ে একটি বাড়ি ভাড়া নেয়। নেতৃত্বপর্যায়ে নির্দেশে সংগঠনের আশকারি বিভাগের প্রধান আয়মানের নেতৃত্বে তারা সেখানে মিটিং করে।

শিখা ময়মনসিংহ থেকে এসে বৈঠকে অংশ নিতেন। বৈঠকের সব সিদ্ধান্ত জেলখানায় থাকা জঙ্গি সোহেলকে দিতেন শিখা। স্ত্রী পরিচয়ে দেখা করার সুযোগেই তিনি সংগঠনের তথ্য ও তাদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিরিকল্পনা জানাতেন। উল্লেখ্য, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে করে জঙ্গি সদস্য মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান (২৪) ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে (৩৪) ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

আনসার আল ইসলামের নেতৃত্ব পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১০ থেকে ১২ জন সদস্য এ জঙ্গি ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। চার জঙ্গিকেই ছিনিয়ে নেওয়ার পরিরিকল্পনা থাকলেও তারা দুইজনকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়। ছিনিয়ে নেওয়া দুই জঙ্গিসহ একটি গ্রুপ চলে যায় সদরঘাটে। সেখান থেকে তারা একটি ‘আনসার হাউজে’ গিয়ে অবস্থান নেয়।