“আপনারাই কিন্তু সবসময় বলছেন, নির্দোষীরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের ইনভেস্টিগেশনটা করতে দেন।”
নির্দোষ যেন সাজা না পায়: আব্দুল হামিদকে নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৮:৩২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
- / ৮৯ বার পড়া হয়েছে
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হলেও তিনি দেশে ফেরার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, অপরাধের প্রমাণ পেলে তখন আইনের আওতায় নেওয়া হবে।
সোমবার ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “আপনারাই বলছেন যে অনেক মামলাগুলি আছে, কিছু কিছু মামলাগুলি ইনভেস্টিগেশন হয় নাই। ইনভেস্টিগেশন হওয়ার পরে যে দোষী হবে তারে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।”
গত ৭ মে গভীর রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কিশোরগঞ্জের এক মামলার আসামি হয়েও তিনি কীভাবে দেশত্যাগ করলেন তা নিয়ে তখন প্রশ্ন তোলেন অনেকে।
এরপর দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি-এনসিপিসহ কয়েকটি দলের দাবির মুখে গত মাসে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়; একইসঙ্গে স্থগিত করা হয় দলটির নিবন্ধন।
থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিয়ে এক মাস পর রোববার রাতে দেশে ফেরেন আবদুল হামিদ। সকালেই আবদুল হামিদের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি বলেন, “আপনারাই কিন্তু সবসময় বলছেন, নির্দোষীরা যেন কোনো অবস্থায় সাজা না পায়। এজন্য আমাদের ইনভেস্টিগেশনটা করতে দেন। ইনভেস্টিগেশন করার পর, যেই দোষী হোক না কেন কাউরে আইনের বাইরে রাখা হবে না। তারে আমরা অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসব।”
এ সময় সাংবাদিকদের উপদেষ্টা বলেন, “আপনারাইতো রিকোয়েস্ট করছেন, বলেন আপনারা বলেন নাই? আপনারাই বলছেন আপনাদের কথাইতো আমি রাখতাছি। যে তারা ওইভাবে প্রমাণিত না হইলে…তারে আমি কেন? একটা নির্দোষ লোকরে কেন আমি সাজা দেব? দোষী যে হবে তারে আমরা শাস্তি দেব।”
হামিদের দেশত্যাগের কারণে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে উপদেষ্টা বলেন, “উপদেষ্টাদের তিনজনের কমিটি হইছে, উনাদের একটা রেকমন্ডেশন দিছে। ওই রেকমন্ডেশনটা পাওয়ার পরে যদি দোষী হয়, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি দোষী না হয়, আবার যার যার জায়গায় ফেরত আসবে।”
ঈদে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ‘প্রত্যাশা পূরণের’ কথা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমার প্রত্যাশা এ পর্যন্ত পূরণ হইছে এজন্য, যে এরকম বড় ধরনের কোনো রিপোর্ট আমি পাই নাই। হ্যাঁ, রাস্তাঘাটে তো দুই একটা অ্যাক্সিডেন্ট হইছে, এইটা তো আমি না করব না। কিন্তু বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নাই। দুই একটা ছোটখাট চুরি-ছেচরামি- এইগুলি তো হচ্ছেই। আমি মোটামুটি খুশি। আপনারাও খুশি, আমিও খুশি।”