০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
'খুদিবাড়ি' প্রকল্পের জন্য এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন এ স্থপতি।

আবার ‘আগা খান পদক’ পাচ্ছেন মেরিনা তাবাসসুম

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০২:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৬ বার পড়া হয়েছে

 

দ্বিতীয়বারের মতো ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’ পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম।

বিশ্বব্যাপী স্থাপত্যের অন্যতম বৃহৎ এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন মেরিনা তাবাসসুম প্রথম বাংলাদেশি স্থপতি, যিনি দ্বিতীয়বার এ পুরস্কার জিতেছেন।

এ বছর বিজয়ী হিসেবে সাতটি প্রকল্পের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর কাজাখস্তানের বিসকেকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

মেরিনা তাবাসসুম তার ‘খুদিবাড়ি’ প্রকল্পের জন্য এবার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে আবদুর রউফ মসজিদের স্থাপত্যের ডিজাইনের জন্য তিনি এ পুরস্কারে মনোনীত হন।

মেরিনা তাবাসসুম আরকিটেক্টস-এর তৈরি পুরস্কৃত প্রকল্প খুদি বাড়ি, বা ‘লিটল হাউস’ বাংলাদেশের বন্যা এবং নদী ভাঙনের কারণে বারবার বাস্তুচ্যুত চর সম্প্রদায়ের জন্য একটি উপযোগী এবং সাশ্রয়ী মূল্যে নির্মিত আবাসন সমাধান।

এদিক মেরিনা তাবাসসুমকে লেখা অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আপনার নির্মিত জলবায়ু-সহনশীল, সাশ্রয়ী ও বহনযোগ্য আবাসন ‘খুদি বাড়ি’ এক অসাধারণ মানবিক স্থাপত্যের দৃষ্টান্ত।

“আপনার এ কাজ দেখিয়েছে, নকশা শুধু সৌন্দর্যের ভাষা নয়, এটি মর্যাদা, সহনশীলতা এবং মানবতার চরম চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নতুন পথ খোঁজার সাহসের ভাষা। আপনি প্রমাণ করেছেন, স্থাপত্য মানুষের জন্য আশ্রয়ের পাশাপাশি আশার আলোও জ্বালাতে পারে।”

মেরিনা তাবাসসুম ১৯৯৫ সালে বুয়েট থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সহপাঠী কাশেফ মাহবুব চৌধুরীর সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেন স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ‘আরবানা’। দীর্ঘ বন্ধুত্বের পর ১৯৯৭ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং যৌথভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতাস্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘরের নকশা প্রণয়ন করেন। ২০০৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে এবং সে সময় মেরিনা আরবানাও ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ‘মেরিনা তাবাসসুম আর্কিটেক্টস’ প্রতিষ্ঠা করেন।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

'খুদিবাড়ি' প্রকল্পের জন্য এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন এ স্থপতি।

আবার ‘আগা খান পদক’ পাচ্ছেন মেরিনা তাবাসসুম

আপডেট সময় ০২:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

দ্বিতীয়বারের মতো ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার’ পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম।

বিশ্বব্যাপী স্থাপত্যের অন্যতম বৃহৎ এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন মেরিনা তাবাসসুম প্রথম বাংলাদেশি স্থপতি, যিনি দ্বিতীয়বার এ পুরস্কার জিতেছেন।

এ বছর বিজয়ী হিসেবে সাতটি প্রকল্পের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর কাজাখস্তানের বিসকেকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।

মেরিনা তাবাসসুম তার ‘খুদিবাড়ি’ প্রকল্পের জন্য এবার পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে আবদুর রউফ মসজিদের স্থাপত্যের ডিজাইনের জন্য তিনি এ পুরস্কারে মনোনীত হন।

মেরিনা তাবাসসুম আরকিটেক্টস-এর তৈরি পুরস্কৃত প্রকল্প খুদি বাড়ি, বা ‘লিটল হাউস’ বাংলাদেশের বন্যা এবং নদী ভাঙনের কারণে বারবার বাস্তুচ্যুত চর সম্প্রদায়ের জন্য একটি উপযোগী এবং সাশ্রয়ী মূল্যে নির্মিত আবাসন সমাধান।

এদিক মেরিনা তাবাসসুমকে লেখা অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, “নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ও বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আপনার নির্মিত জলবায়ু-সহনশীল, সাশ্রয়ী ও বহনযোগ্য আবাসন ‘খুদি বাড়ি’ এক অসাধারণ মানবিক স্থাপত্যের দৃষ্টান্ত।

“আপনার এ কাজ দেখিয়েছে, নকশা শুধু সৌন্দর্যের ভাষা নয়, এটি মর্যাদা, সহনশীলতা এবং মানবতার চরম চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে নতুন পথ খোঁজার সাহসের ভাষা। আপনি প্রমাণ করেছেন, স্থাপত্য মানুষের জন্য আশ্রয়ের পাশাপাশি আশার আলোও জ্বালাতে পারে।”

মেরিনা তাবাসসুম ১৯৯৫ সালে বুয়েট থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে সহপাঠী কাশেফ মাহবুব চৌধুরীর সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেন স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ‘আরবানা’। দীর্ঘ বন্ধুত্বের পর ১৯৯৭ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এবং যৌথভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতাস্তম্ভ ও স্বাধীনতা জাদুঘরের নকশা প্রণয়ন করেন। ২০০৫ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে এবং সে সময় মেরিনা আরবানাও ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ‘মেরিনা তাবাসসুম আর্কিটেক্টস’ প্রতিষ্ঠা করেন।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম