০৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
“৩৬ দিনে কোনো আন্দোলনকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না,” বলেন এ বিএনপি নেতা।

আবু সাঈদের আগে জীবন দেন ওয়াসিম: মেয়র শাহাদাত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৮:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রাম নগরীতে শনিবার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে কথা বলেন সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন।

 

জুলাই আন্দোলনে রংপুরের আবু সাঈদের আগে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন।

চট্টগ্রাম নগরীতে শনিবার বিকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এমন দাবি করেন।

তিনি বলেন, “৩৬ দিনেও কি বিএনপির নেতাকর্মীরা ছিল না? তাহলে ওয়াসিম আকরাম মারা গেল কীভাবে? ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতা। যেদিন ওয়াসিম আকরাম এই আন্দোলন করতে গিয়েছিল, ১৬ জুলাই ২০২৪ সাল, আমার এখনো মনে আছে।

“আন্দোলনে মুরাদপুরে গিয়ে সে একটা ছবি আপলোড করে আমার হোয়াটস অ্যাপে পাঠালো। তার সঙ্গে আমাদের কক্সবাজারের চিকিৎসক এবং আরেকটা ছেলে ছিল। এরপরই সংবাদ এল, সে গুলি খেয়েছে। আমি জহিরকে বললাম, তুমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আস। বাট পথে সে মারা গেছে।”

নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, “এখন আমি যদি বাংলাদেশের প্রথম শহীদও বলি, শুধু চট্টগ্রামের শহীদ নয়। বাংলাদেশের প্রথম শহীদও কিন্তু ওয়াসিম আকরাম। যদিও আমরা সেটা অনেক সময় বলতে চাই না।

“আবু সাঈদের অবদান আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা যদি মৃত্যুর সময়টা দেখি। ওয়াসিম আকরাম মৃত্যুবরণ করেছে ১৬ জুলাই সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে। আর আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে রাতে।”

তিনি বলেন, “অনেক সময় আমরা দেখি, ওয়াসমি আকরামকে মূল্যায়ন করতে চায় না। কারণ সে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করে, এটাই তার অপরাধ। সেদিন ড. ইউনূস সাহেব এখানে এসছিলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রোগ্রাম হচ্ছিল। সেখানে আমাকে একজন বলল যে, সেখানে ওয়াসিম আকরামের নাম নেই।

“চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের যেখানে নাম থাকবে না, মূল্যায়ন হবে না, সেই ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রামে কিন্তু আমি যাব না। সেদিন আমরা দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম সার্কিট হাউজে। সেখানে সব সচিব ছিল, মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে। প্রায় ছয়-সাতজন উপদেষ্টা সেখানে ছিলেন। তাদের সামনে আমি বলেছি।”

 

ওয়াসিম আকরাম।

 

গত বছরের ১৬ জুলাই ‘চলে আসুন ষোলশহর’ স্ট্যাটাস দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম।

সেদিন দুপুর ২টার দিকে স্ট্যাটাস দেন ওয়াসিম, আর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যুর খবর দেয় পুলিশ। সেদিন চট্টগ্রামে ওয়াসিমসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রাম কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ওয়াসিম। তার পদ ছিল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক; বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকায়।

গত বছরের ১৬ জুলাই কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের আন্দোলনে সারা দেশে মৃত্যু হয় ছয়জনের।

চট্টগ্রামের তিনজনের সঙ্গে সেদিন ঢাকায় দুজন এবং রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়। রংপুরে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বাবুনপুর গ্রামে।

আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে সেদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “বিকাল ৪টার (১৬ জুলাই) কিছু পর গুলিবিদ্ধ ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার আগেই মৃত্যু হয়েছিল।”

শনিবারের আলোচনা সভায় দুই আন্দোলনকারীর বিষয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, “এই যে একটা হীনমন্যতা- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ওয়াসিম আকরাম শহীদ হয়েছিল, স্বীকার করতে চায় না। তাদেরকে আমি বলেছি, একক কৃতিত্ব দিয়ে কখনো গণঅভুত্থ্যান হয় নাই। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে হয়েছে।

“বরঞ্চ আমরা দেখেছি এই আন্দোলনের প্রথম থেকেই আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমান বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। উনি সবসময় লন্ডন থেকে বক্তব্য রেখেছেন এই আন্দোলনের পক্ষে।”

তিনি বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা যে গ্রেপ্তার হয়ে বছরের পর বছর জেলে ছিল তারা নিজের জন্য গ্রেপ্তার হয়নি। বাংলাদেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে জেল খেটেছে।

“কাজেই ৩৬ দিনে কোনো আন্দোলনকে কেউ হাইজ্যাক করতে পারে না। এই ৩৬ দিনের আন্দোলনকে আমরা মনেকরি ১৬ বছরে আমরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি তারই ফসল। এবং সেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মী, বিরোধী দলের নেতাকর্মী, শ্রমিক, ছাত্র-যুবক, নারী, গৃহিনী সবাই এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।”

 

 

গত বছরের ৩ অগাস্টের ঘটনা উল্লেখ করে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “সেদিন যে ঘটনা হয়েছে। আমার বাসায়, খসরু ভাইয়ের (আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী) বাসায়, মীর নাছির এবং এরশাদ উল্লাহর বাসায় আগুন লাগিয়েছিল। চারজনই কিন্তু বিএনপি নেতা। কই আমরা তো শুনিনি আর কারো বাসায় আগুন লাগাতে। আমার মা সেদিন অবরুদ্ধ ছিল।

“৩-৪ অগাস্টও কি আমরা মনে করেছি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে? শেখ হাসিনা যদি পালিয়ে নাও যেত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যেভাবে ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তা চালিয়ে যেত। এর থেকে পিছপা হত না। কাজেই আমরা মনেকরি আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

“৩৬ দিনে কোনো আন্দোলনকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না,” বলেন এ বিএনপি নেতা।

আবু সাঈদের আগে জীবন দেন ওয়াসিম: মেয়র শাহাদাত

আপডেট সময় ০৮:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 

জুলাই আন্দোলনে রংপুরের আবু সাঈদের আগে ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরামের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন।

চট্টগ্রাম নগরীতে শনিবার বিকালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি এমন দাবি করেন।

তিনি বলেন, “৩৬ দিনেও কি বিএনপির নেতাকর্মীরা ছিল না? তাহলে ওয়াসিম আকরাম মারা গেল কীভাবে? ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতা। যেদিন ওয়াসিম আকরাম এই আন্দোলন করতে গিয়েছিল, ১৬ জুলাই ২০২৪ সাল, আমার এখনো মনে আছে।

“আন্দোলনে মুরাদপুরে গিয়ে সে একটা ছবি আপলোড করে আমার হোয়াটস অ্যাপে পাঠালো। তার সঙ্গে আমাদের কক্সবাজারের চিকিৎসক এবং আরেকটা ছেলে ছিল। এরপরই সংবাদ এল, সে গুলি খেয়েছে। আমি জহিরকে বললাম, তুমি তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে আস। বাট পথে সে মারা গেছে।”

নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন বলেন, “এখন আমি যদি বাংলাদেশের প্রথম শহীদও বলি, শুধু চট্টগ্রামের শহীদ নয়। বাংলাদেশের প্রথম শহীদও কিন্তু ওয়াসিম আকরাম। যদিও আমরা সেটা অনেক সময় বলতে চাই না।

“আবু সাঈদের অবদান আমরা অস্বীকার করছি না। কিন্তু আমরা যদি মৃত্যুর সময়টা দেখি। ওয়াসিম আকরাম মৃত্যুবরণ করেছে ১৬ জুলাই সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে। আর আবু সাঈদের মৃত্যু হয়েছে রাতে।”

তিনি বলেন, “অনেক সময় আমরা দেখি, ওয়াসমি আকরামকে মূল্যায়ন করতে চায় না। কারণ সে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল করে, এটাই তার অপরাধ। সেদিন ড. ইউনূস সাহেব এখানে এসছিলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রোগ্রাম হচ্ছিল। সেখানে আমাকে একজন বলল যে, সেখানে ওয়াসিম আকরামের নাম নেই।

“চট্টগ্রামের প্রথম শহীদ ওয়াসিম আকরামের যেখানে নাম থাকবে না, মূল্যায়ন হবে না, সেই ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রামে কিন্তু আমি যাব না। সেদিন আমরা দুপুরের খাবার খেয়েছিলাম সার্কিট হাউজে। সেখানে সব সচিব ছিল, মুখ্য সচিব থেকে শুরু করে। প্রায় ছয়-সাতজন উপদেষ্টা সেখানে ছিলেন। তাদের সামনে আমি বলেছি।”

 

ওয়াসিম আকরাম।

 

গত বছরের ১৬ জুলাই ‘চলে আসুন ষোলশহর’ স্ট্যাটাস দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনের মিছিলে গিয়েছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম আকরাম।

সেদিন দুপুর ২টার দিকে স্ট্যাটাস দেন ওয়াসিম, আর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যুর খবর দেয় পুলিশ। সেদিন চট্টগ্রামে ওয়াসিমসহ তিনজনের মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রাম কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন ওয়াসিম। তার পদ ছিল কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক; বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মেহেরনামা এলাকায়।

গত বছরের ১৬ জুলাই কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের আন্দোলনে সারা দেশে মৃত্যু হয় ছয়জনের।

চট্টগ্রামের তিনজনের সঙ্গে সেদিন ঢাকায় দুজন এবং রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়। রংপুরে মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। তার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বাবুনপুর গ্রামে।

আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে সেদিন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. ইউনুস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “বিকাল ৪টার (১৬ জুলাই) কিছু পর গুলিবিদ্ধ ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার আগেই মৃত্যু হয়েছিল।”

শনিবারের আলোচনা সভায় দুই আন্দোলনকারীর বিষয়ে শাহাদাত হোসেন বলেন, “এই যে একটা হীনমন্যতা- জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ওয়াসিম আকরাম শহীদ হয়েছিল, স্বীকার করতে চায় না। তাদেরকে আমি বলেছি, একক কৃতিত্ব দিয়ে কখনো গণঅভুত্থ্যান হয় নাই। সবার সম্মিলিত প্রয়াসে হয়েছে।

“বরঞ্চ আমরা দেখেছি এই আন্দোলনের প্রথম থেকেই আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমান বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। উনি সবসময় লন্ডন থেকে বক্তব্য রেখেছেন এই আন্দোলনের পক্ষে।”

তিনি বলেন, “আমাদের নেতাকর্মীরা যে গ্রেপ্তার হয়ে বছরের পর বছর জেলে ছিল তারা নিজের জন্য গ্রেপ্তার হয়নি। বাংলাদেশের মানুষের কথা বলতে গিয়ে, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে জেল খেটেছে।

“কাজেই ৩৬ দিনে কোনো আন্দোলনকে কেউ হাইজ্যাক করতে পারে না। এই ৩৬ দিনের আন্দোলনকে আমরা মনেকরি ১৬ বছরে আমরা যে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি তারই ফসল। এবং সেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মী, বিরোধী দলের নেতাকর্মী, শ্রমিক, ছাত্র-যুবক, নারী, গৃহিনী সবাই এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে।”

 

 

গত বছরের ৩ অগাস্টের ঘটনা উল্লেখ করে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, “সেদিন যে ঘটনা হয়েছে। আমার বাসায়, খসরু ভাইয়ের (আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী) বাসায়, মীর নাছির এবং এরশাদ উল্লাহর বাসায় আগুন লাগিয়েছিল। চারজনই কিন্তু বিএনপি নেতা। কই আমরা তো শুনিনি আর কারো বাসায় আগুন লাগাতে। আমার মা সেদিন অবরুদ্ধ ছিল।

“৩-৪ অগাস্টও কি আমরা মনে করেছি শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবে? শেখ হাসিনা যদি পালিয়ে নাও যেত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যেভাবে ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তা চালিয়ে যেত। এর থেকে পিছপা হত না। কাজেই আমরা মনেকরি আজকে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচনের দিকে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের কেন্দ্রীয় আহবায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম