০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
ছয় আসামির মধ্যে তিনজনের আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেছেন।

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের অবশিষ্ট শুনানি বুধবার

মইদুল হাসান - জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০২:৩৩:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • / ২৯ বার পড়া হয়েছে

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এ শুনানি গ্রহণ করে।

এদিন ছয়জনে মধ্যে তিন আসামির আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন। এরপর বুধবার অপর আসামিদের পক্ষে শুনানির দিন রেখে এ দিনের কার্যক্রম শেষ করা হয়।

এ সময় গ্রেপ্তার ছয় আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ, এএসআই আমির হোসেন, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম ও বি এম সুলতান মাহমুদ।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল গণি টিটো।

যে তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন শুনানি করা হয় তারা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।

পরে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আজ তিন আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা শুনানি করেছেন। আগামীকাল অন্য আসামিদের আইনজীবীরা শুনানি করবেন। আমরা জবাব দেব একেবারে সবার শেষে।”

এর আগে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন।

গত ৩০ জুন আবু সাইদ হত্যা মামলায় অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এই মামলায় পলাতক থাকা ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে এই মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার বিষয় উঠে আসে।

গত ১৩ জুলাই আবু সাইদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৪ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসামিদের হাজির করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আসামি রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ মামলায় পলাতক থাকা ২৪ আসামির জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

ছয় আসামির মধ্যে তিনজনের আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেছেন।

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের অবশিষ্ট শুনানি বুধবার

আপডেট সময় ০২:৩৩:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

 

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দ্বিতীয় দিনের শুনানি হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

মঙ্গলবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ এ শুনানি গ্রহণ করে।

এদিন ছয়জনে মধ্যে তিন আসামির আইনজীবীরা অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি করেন। এরপর বুধবার অপর আসামিদের পক্ষে শুনানির দিন রেখে এ দিনের কার্যক্রম শেষ করা হয়।

এ সময় গ্রেপ্তার ছয় আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ, এএসআই আমির হোসেন, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম ও বি এম সুলতান মাহমুদ।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল গণি টিটো।

যে তিন আসামির অব্যাহতির আবেদন শুনানি করা হয় তারা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ।

পরে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “আজ তিন আসামি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা শুনানি করেছেন। আগামীকাল অন্য আসামিদের আইনজীবীরা শুনানি করবেন। আমরা জবাব দেব একেবারে সবার শেষে।”

এর আগে সোমবার রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করে অভিযোগ গঠনের আবেদন করেন প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

২০২৪ সালের ১৬ জুলাই রংপুরে পুলিশের গুলিতে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন।

গত ৩০ জুন আবু সাইদ হত্যা মামলায় অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে এই মামলায় পলাতক থাকা ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

এর আগে এই মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। তদন্ত প্রতিবেদনে আবু সাঈদ হত্যার সঙ্গে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার বিষয় উঠে আসে।

গত ১৩ জুলাই আবু সাইদ হত্যা মামলায় পলাতক ২৪ আসামির বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আসামিদের হাজির করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আসামি রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ আপিলকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাজির করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ মামলায় পলাতক থাকা ২৪ আসামির জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে চারজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

 

মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম