ডলারের বাজার ‘স্থিতিশীল রাখতে’ জুলাই থেকে এ নিয়ে ছয় দফায় ৭৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আরও ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

- আপডেট সময় ১১:১৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৩ বার পড়া হয়েছে
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে আরও ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার কিনে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে এসব ডলার কেনার তথ্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।
বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ডলার বাজার স্থিতিশীল রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভূমিকা রাখবে। এজন্য ডলার দর কমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিলামে তা কিনে নিয়ে বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। সামনে প্রয়োজন পড়লে আরও কেনা হবে।”
বৃহস্পতিবারের নিলাম সম্পর্কে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার কিনে বাজার স্থিতিশীল রাখছে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে এটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক চাচ্ছে রিজার্ভ বাড়ুক। তবে ভবিষ্যৎতে ডলার কারেন্সি নিয়ে আরও হুমক আসবে, সেসব বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হবে।”
একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক তিন কোটি ডলার কিনবে বলে জানিয়েছিল। তবে নিলামে ১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার কিনেছে। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক চাচ্ছে ডলার দর যেন না কমে। এজন্য বাজারে থাকা অতিরিক্ত ডলার কিনে নিয়েছে।”
গত সপ্তাহে দুই দফায় নিলামে ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে চলতি বছর জুলাই থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয় নিলামে কিনেছে ৭৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
এর আগে রোববার ১২১ টাকা ৪৭ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার কেনে বাংলাদেশ ব্যাংক।
৭ অগাস্ট কেনে ৫০ লাখ ডলার। সেদিন প্রতি ডলারের দাম পড়ে ১২১ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত।
এর আগে তিন ধাপে বিভিন্ন দামে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে প্রায় ৫০ কোটি ডলার কেনা হয়।
ব্যাংকাররা বলছেন, রেমিটেন্স ও রপ্তানির প্রবাহ বাড়ার পাশাপাশি নিলামে ডলার কেনার বিষয়টিও রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, চাহিদার তুলনায় ডলার যোগান বেড়েছে, এজন্য ডলার দর কমেছে। কারণ আমদানির ঋণপত্র খোলা আগের চেয়ে কমেছে, অন্যদিকে এলসি খোলার যা বকেয়া ছিল, তা পরিশোধ হয়েছে।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর থেকে প্রতি মাসেই ২ বিলিয়নের ওপর রেমিটেন্স আসছে। এর মধ্যে চলতি বছর মার্চে ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে।
মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম