আলাস্কা একসময় রাশিয়ার অংশ ছিল। ফলে ইউএসএসআর লেখা পোশাক রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সেখানে যাওয়া বিশেষ এক বার্তাই বহন করে।
‘ইউএসএসআর’ সোয়েটার গায়ে আলাস্কায় কী বার্তা দিচ্ছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী?

- আপডেট সময় ১১:১৩:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইতোমধ্যে ট্রাম্প হোয়াইট হাউজ থেকে রওনা হয়েছেন।
ওদিকে, পুতিনের প্রতিধিরাও বৈঠকের জন্য আলাস্কায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। সেখানে এরই মধ্যে পৌঁছেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। তবে তার পরনে দেখা গেছে ক্যাজুয়াল পোশাক।
হালকা নীল জিন্স, কালো জ্যাকেট। আর সেই জ্যাকেটের তলে সাদা একটি সোয়েট শার্ট। তাতে বড় বড় হরফে লেখা ‘সিসিসিপি’, যা কিনা রুশ ভাষায় ‘ইউএসএসআর’ (সোভিয়েত ইউনিয়ন) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। ইউক্রেইন একসময় যার অংশ ছিল।
আলাস্কার বৈঠক থেকে ল্যাভরভের প্রত্যাশা কি তা নিয়ে তিনি মুখ খোলেননি। কিন্তু তিনি ইউএসএস আর লেখা যে সোয়েটার পরে বৈঠকস্থলে গেছেন তা বড় ধরনের বার্তাই দিচ্ছে।
আলাস্কা একসময় রাশিয়ার অংশ ছিল, তাই এমন পোশাকে সেখানে যাওয়া বিশেষ এক বার্তা বহন করে।
এই বার্তা স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার শক্তিশালী এক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসাবে রাশিয়ার হারানো স্বর্ণযুগ মনে করিয়ে দেয়। ক্রেমলিন সংস্করণে বলতে গেলে বিষয়টি দাঁড়ায় অনেকটা ‘মেইক রাশিয়া গ্রেট এগেইন’ এর মতো।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন একসময় বলেছিলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ২০ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূরাজনৈতিক বিপর্যয় ছিল। তিনি রাশিয়ার আগের সেই সাম্রাজ্যবাদী মাহাত্ম ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তার দশকের পর দশকব্যাপী প্রেসিডেন্সির প্রধান লক্ষ্যেই হয়ে উঠেছে এটি।
ইউএসএসআর সোয়েটার পরে ল্যাভরভ প্রতীকী বার্তা দিয়ে আলাস্কার সঙ্গে রাশিয়ার ঐতিহাসিক যোগসূত্র এবং বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান উভয়কেই তুলে ধরার প্রয়াস নিয়েছেন।
আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে মাঠ পর্যায়ে ইউক্রেইনপন্থি বিক্ষোভের মাঝে ল্যাভরভের এই পোশাককে জবাব হিসাবেই চিত্রিত করছেন রাশিয়ার গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
ওদিকে, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি ওলগা স্কাভিবায় এক উপস্থাপক রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সোয়েটারের ছবি শেয়ার করে বলেছেন, “ল্যাভরভের জবাব। এই সোয়েটার! ইউএসএসআর! সবচেয়ে ভাল।”
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের আগে দিয়ে ল্যাভরভের সোয়েটার রাশিয়ার আত্মবিশ্বাসেরও বার্তা দিচ্ছে। এর মাধ্যমে মস্কো তাদের দীর্ঘদিনের কাঙ্ঘিত ভাবমূর্তি তুলে ধরতে পারছে যে, রাশিয়া আবারও এক বড় শক্তির দেশ হয়ে উঠেছে, যারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপেক্ষিত হতে পারে না।
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম