আজ থেকে ১৩ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিও ফুটেজে ইরান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে দুষেছিলেন ডনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি বলেছিলেন, “আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা নেই। তাই ইরানে হামলা শুরু করতে চান আমাদের প্রেসিডেন্ট (বারাক ওবামা)।”

২০১১ সালের নভেম্বরে পোস্ট করা ভিডিওতে ওবামার সমালোচনা করে এমন কথাই বলেছিলেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

গত শনিবার (২১ জুন) যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে জড়িয়ে ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়ে বসার পরই ট্রাম্পের পুরনো সেই পোস্ট ফের উঠে এসেছে সামাজিক যোগাযোমাধ্যমে।

‘দ্য ইনডিপেনডেন্ট’ পত্রিকা জানায়, শনিবার (২১ জুন) রাতে ইরানের তিনটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়ে সেগুলো ধ্বংস করে ফেলার দাবি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এর মধ্য দিয়ে ইরানে ইসরায়েলের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে। ইরান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিপজ্জনক যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

শনিবার (২১ জুন) জুন রাতে ট্রুথ স্যোশালে ট্রাম্প লেখেন ইরানের ফর্দো,নাতাঞ্জ এবং ইসফাহান পারমাণবিক স্থাপনায় খুবই সফল হামলা চালানো হয়েছে।

অন্য দু’টি দেশের সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িয়ে পড়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামাকে নিশানা করে ট্রাম্পের পুরনো সব মন্তব্য স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে। ট্রাম্পের পুরোনো সব মন্তব্যকে ঘিরে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।

কেউ কেউ প্রশ্ন করেছেন, “ট্রাম্প কি ১৩ বছর আগে নিজের পদক্ষেপ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন? আর ডেমোক্র্যাটরা তাদের যুদ্ধ-বিরোধী ধারা বজায় রাখুক সেটাইু চেয়েছিলেন?”

ট্রাম্প সম্প্রতি আলোচনার মাধ্যমে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের অবসান দেখতে চাওয়ার কথা বলেছিলেন। ইরানে হামলা করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আলোচনার জন্য দু’সপ্তাহ সময় নেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি।

কিন্তু দু’সপ্তাহ তো দূর, দু’দিন যেতে না যেতেই ইরানে হামলা চালালেন ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রে জড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দেশের ভেতরেও।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিসের অভিযোগ, কংগ্রেসে কোনও আলোচনা না করে বা অনুমোদন না নিয়েই ইরানে সামরিক হামলা করেছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প শান্তি ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন, বলেন ডেমোক্র্যাট নেতা হাকিম জেফ্রিস।

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম