ঈদে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা
- আপডেট সময় ০৭:৪৪:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৩
- / ৮১ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এপ্রিলের প্রথম তিন সপ্তাহে রেকর্ড রেমিট্যান্স আসছে দেশে। গত ২১ দিনে বৈধ চ্যানেলে ১২৭ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা গেছে, চলতি এপ্রিলের প্রথম ২১ দিনে ১২৭১ দশমিক ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১২৭ কোটি ১৭ লাখ ডলার) রেমিট্যান্স এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৫ কোটি ৭৩ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
এর আগে চলতি এপ্রিলের প্রথম ৭ দিনে ৪৭ কোটি ৬৮ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। পরে ৮ থেকে ১৪ এপ্রিল পাঠিয়েছে ৪৮ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার। আর ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পাঠান ৩১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রবাসীরা রোজার শুরু ও মাঝামাঝিতে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। শেষ দিকে তা কমে গেছে। যার কারণে চলতি মাসের প্রথমদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেশি থাকলেও শেষ দিকে কম ছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গেল মার্চ মাসে বৈধপথে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। যা আগের মাসের চেয়ে ৪৫ কোটি ৭২ লাখ ডলার বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার। এ ছাড়া আগের বছরের (২০২২ সালের) মার্চ মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ বা ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত বছর মার্চে প্রবাসী আয় ছিল ১৮৫ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম (জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত) ৯ মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৬৩০ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরে একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৫২৯ কোটি ডলার। আলোচ্য সময়ে ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স বেশি এসেছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।