‘এখন পরীক্ষার অপেক্ষা শুধু । আমরা যথাসময়ে পরীক্ষার আয়োজনে আশাবাদী।’’
এইচএসসি পেছানোর কোন পরিকল্পনা নেই শিক্ষা বোর্ডগুলোর

- আপডেট সময় ১২:০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
- / ১১ বার পড়া হয়েছে
দেশে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিলেও আগের সূচি ধরে ২৬ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। শিক্ষা বোর্ডগুলোর মোর্চা আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির বলেছেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা পেছানোর কোন পরিকল্পনা তাদের নেই।
শনিবার বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থাগুলো নেবে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। তারা পরীক্ষার্থীদের মাস্ক পড়া, হাত ধোয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো তদারকি করবেন। তবে আমরা পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি।
“এখন শুধু পরীক্ষার অপেক্ষা। আমরা যথাসময়ে পরীক্ষার আয়োজন করব। এদিকে সরকার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলোয় আমরা নজর রাখছি।”
এখনও এইচএসসি পরীক্ষা পেছানোর কোনো সিদ্ধান্ত নেই জানিয়ে অধ্যাপক এহসানুল কবির বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের কাছ থেকে এখনো পরীক্ষা পেছানোর কোনো নির্দেশনা নেই। সেই ধরনের কোনো নির্দেশনা পেলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”
সম্প্রতি পাশের দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভ্যারিয়েন্টের সংক্রামণ বৃদ্ধি পাওয়ার এবং অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেওয়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।
শুক্রবার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে চলতি বছর কোভিডে তিনজনের মৃত্যু হল। এর আগে ৫ জুন একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চলতি মাসে ৯৭ জন রোগী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
এমন বাস্তবতায় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা এক মাস পেছানোর দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরাও।
পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম চীনে ছড়ানো করোনাভাইরাস দুই মাস পর ছড়িয়েছিল বাংলাদেশেও। এরপর নানা উদ্বেগ আর আতঙ্কের মধ্যে মাস্ক পরাসহ ধাপে ধাপে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয় টানা তিন বছর।
সেসময় লকডাউনে জনশূন্য হয় নগর, শহর। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজের কার্যক্রম চলে অনলাইনে। চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ে মানুষ।
সীমান্ত সংযোগ ও বিমানবন্দরে চলে কঠোর কড়াকড়ি, স্থগিত রাখা হয় আকাশ যোগাযোগ। বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, ডলারের দাম বাড়ে, বেড়ে যায় নিত্যপণ্যের দামও।
ওই পরিস্থিতিতে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসএসসি ও জেএসসির নম্বরের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে।
পরের কয়েক বছর এসএসসি ও এইচএসসিতে সিলেবাস ও সময় কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হলেও সূচিতে তালগোল যায়। সেই জট এখনো পুরোপুরি ঠিক করা সম্ভব হয়নি।
২০২২ সাল থেকে দেশে কোভিড সংক্রমণ কমতে শুরু করে। পরের বছর থেকে রোগী শনাক্তের হার নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোঠায়। ফলে মাস্ক পরার যে বাধ্যবাধকতা, তাও সে সময় তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে সম্প্রতি দেশে আবারও সংক্রমণ বাড়ছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেগুলো পরীক্ষা কেন্দ্রে মেনে চলতে হবে।”