“বাংলাদেশ ব্যাংক যে কাজ করতে যাচ্ছে, তাতে আমরা দ্বিমত পোষণ করিনি; একমত হয়েছি,” বলেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।
একীভূত হতে রাজি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক

- আপডেট সময় ০১:৩৭:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৬ বার পড়া হয়েছে
পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার যে সিদ্ধান্ত, তাতে সম্মতি জানিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
ব্যাংকটির পক্ষ থেকে এ সম্মতির কথা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে জানানো হয়েছে।
একীভূত হওয়ার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভা হয়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের করা নিরীক্ষা প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচকগুলো তুলে ধরা হয় সেখানে।
আর্থিক সূচকের অবস্থা বিবেচনা করে ব্যাংকটির বোর্ড গভর্নরকে জানায়, আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় একীভূত হতে তারা রাজি রয়েছেন।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, “বিদেশি নিরীক্ষায় যা ব্যাংকটির আর্থিক সূচকের অবস্থা গভর্নরের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশ ব্যাংকের একীভূত করার যে সিদ্ধান্ত রয়েছে, তাতে আমরা একমত।”
পাঁচ ব্যাংকের সঙ্গে সভা শেষেই হয়ত একীভূত হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তাতে পাঁচ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সূচকের বিষয়টি তুলে ধরার পর গভর্নর সিদ্ধান্ত নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আব্দুল মান্নান বলেন, “আমরা আমাদের আর্থিক অবস্থা তুলে ধরেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক যে কাজ করতে যাচ্ছে, তাতে আমরা দ্বিমত পোষণ করিনি; একমত হয়েছি।
“গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। যারা চাকরি করছেন, তাদের নিশ্চয়তা ও ব্যাংকের অবকাঠামো অবস্থার উন্নতি করতে হবে। আর একীভূত করলে ৩৫ হাজার কোটি টাকার মূলধন যোগান দেওয়া হবে।”
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর অসুস্থ থাকার কারণে রোববার এক্সিম ব্যাংক ও সোমবার সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেননি। এ দুই ব্যাংকের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধতন এক কর্মকর্তা বলেন, এসব ব্যাংক একীভূত করতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এজন্য অর্থমন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মন্ত্রণালয় থেকে মুলধন যোগান দেওয়া হবে।
পাঁচ ব্যাংক একীভূত করার পরিকল্পনায় রয়েছে- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ব্যাংকখাতে সংস্কার করা শুরু হয়। আর পাঁচ ব্যাংকের মধ্যে চার ব্যাংকের পর্ষদে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ী এস আলমের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আর এক্সিম ব্যাংকের পর্ষদের নিয়ন্ত্রণ ছিল নজরুল ইসলাম মজুমদারের।
ক্ষমতা পালাবদলের পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের ১১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়।
চলতি বছর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ ওয়াসেক মো. আলীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। পরে তাকে অপসারণ করা হয়।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসাবে ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু করে।
মইদুল হাসান – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম