এখন আর যুক্তরাষ্ট্রের তুলা জীবাণুমুক্ত করতে হবে না
- আপডেট সময় ০৯:০৬:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
- / ৯৬ বার পড়া হয়েছে
এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা কাঁচা তুলা আর পোকামাকড় মুক্তকরণ বা ফিউমিগেশন করতে হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২১ মে) সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও দূতাবাসের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও দূতাবাসের ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য প্রতিনিধি ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্রেন্ডন লিঞ্চ, সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর মেহনাজ খান, রিজিওনাল আইপি অ্যাটাশে জন কাবেকা, ঢাকার ইউএস দূতাবাসের ইকনমিক চিফ জোসেফ গিবলিন, এগ্রিকালচার অ্যাটাশে মেগান ফ্রান্সিস, লেবার অ্যাটাশে লিনা খান অংশ নেন।
কৃষিসচিব বলেন, এতদিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে দেশে পৌঁছনোর পর পোকামাকড়মুক্ত করা হতো পরে বন্দর থেকে খালাসের ছাড়পত্র দেয়া হতো। এরই মধ্যে বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল যুক্তরাষ্ট্র সফর করে কাঁচা তুলা পোকামাকড়মুক্ত করার পদ্ধতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
কৃষিসচিব জানান, ইউরোপ, আফ্রিকাসহ অন্যান্য দেশ থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে ফিউমিগেশনের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার কাঁচা তুলায় ক্ষতিকর ‘কটন উইভিল’ পোকা থাকায় সেসব দেশ থেকে কাঁচা তুলা আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে পৌঁছনোর পর পোকামাকড়মুক্ত বা ফিউমিগেশন করার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট বা রোগ-জীবাণুমুক্ত সনদপত্র থাকলেই চলবে। তবে, উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলার ক্ষেত্রে আগের মতোই ফিউমিগেশন করার বাধ্যবাধকতা বহাল রয়েছে।
এমনকি একই কন্টেইনারে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলা শিপমেন্ট হলে, যুক্তরাষ্ট্রের তুলাকেও বাধ্যতামূলক ফিউমিগেশন করতে হবে। তুলা উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দেশে বছরে তুলার চাহিদা ৮৫ লাখ বেল। দেশে উৎপাদন হয় প্রায় ২ লাখ বেল। আর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে সাড়ে ৭ লাখ বেল তুলা আমদানি করা হয়।