০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
নতুন বিধিমালায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা ৮০ থেকে কমিয়ে ৪৬-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।

এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / ১১ বার পড়া হয়েছে

বুধবার এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৫-২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোট হবে ৭ সেপ্টেম্বর।

বুধবার এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৫-২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।

এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন হবে নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, তাতে পরিচালনা পর্ষদের আকার কমে ৪৬ জনে আসবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং পরিচালক পদে নির্বাচন হবে।

বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এবং সর্বশেষ প্রণীত বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ২০২৫ অনুসরণ করে এফবিসিসিআই এর পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন হবে। নতুন বিধিমালায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা ৮০ থেকে কমিয়ে ৪৬-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এই ৪৬ সদস্যের মধ্যে থাকবেন একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দুইজন সহ-সভাপতি, যারা পরে নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২ জুলাই বিকেল ৫টার মধ্যে সদস্যভুক্ত সকল চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে সাধারণ পরিষদের জন্য মনোনীত প্রতিনিধিদের তালিকা এফবিসিসিআই এ পাঠাতে হবে। ১৮ জুলাই প্রকাশিত হবে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটার তালিকা এবং ২৬ জুলাই প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং পরিচালক পদের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ আগস্ট। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ আগস্ট নির্বাচন বোর্ড চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।

কোনো প্রার্থী যদি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে তাকে ১৬ আগস্ট দুপুর ২টার মধ্যে নির্বাচন বোর্ডকে লিখিতভাবে জানাতে হবে এবং সে দিনই প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়ায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমও পদত্যাগ করেন।

গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা ও নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশাসক বসায় সরকার।

প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য হাফিজুর রহমান।

২০২৩ সালের ২ আগস্ট এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম। দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায় তাকে সরে যেতে হয়।

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে থাকা মাহবুবুল আলম ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে সেসময় এফবিসিসিআই এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান জাফর ইকবাল জানিয়েছিলেন।

ই-মেইলে পাঠানো পদত্যাগপত্রে ‘অসুস্থতাজনিত কারণে’ ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন মাহবুবুল আলম। তিনি পদত্যাগের পর বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠিয়ে নিজেকে এফবিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করেন।

তার ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, “সভাপতির পদত্যাগের পরে আমিন হেলালী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করার পেছনে বোর্ড পুনর্গঠন সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়নি এবং তার প্রেরিত পত্রটি তারিখের দিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ। সংগঠনটি সার্বিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, তাই পর্ষদ ভেঙে দেওয়া আবশ্যক।”

এফবিসিসিআই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি নিবন্ধিত বাণিজ্যিক সংগঠন। এই সংগঠনের কার্যক্রমে অস্থিরতা বা যথাসময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার মতো বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এর ১৭(১) ধারা অনুযায়ী সরকার ‘ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য, সেবাখাতের স্বার্থে’ নিবন্ধিত সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নতুন বিধিমালায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা ৮০ থেকে কমিয়ে ৪৬-এ নামিয়ে আনা হয়েছে।

এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন ৭ সেপ্টেম্বর

আপডেট সময় ০৯:৪৪:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)-এর নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে ভোট হবে ৭ সেপ্টেম্বর।

বুধবার এফবিসিসিআই নির্বাচন বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৫-২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।

এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন হবে নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, তাতে পরিচালনা পর্ষদের আকার কমে ৪৬ জনে আসবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং পরিচালক পদে নির্বাচন হবে।

বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এবং সর্বশেষ প্রণীত বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা, ২০২৫ অনুসরণ করে এফবিসিসিআই এর পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচন হবে। নতুন বিধিমালায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সংখ্যা ৮০ থেকে কমিয়ে ৪৬-এ নামিয়ে আনা হয়েছে। এই ৪৬ সদস্যের মধ্যে থাকবেন একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দুইজন সহ-সভাপতি, যারা পরে নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হবেন।

নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, ২ জুলাই বিকেল ৫টার মধ্যে সদস্যভুক্ত সকল চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনকে সাধারণ পরিষদের জন্য মনোনীত প্রতিনিধিদের তালিকা এফবিসিসিআই এ পাঠাতে হবে। ১৮ জুলাই প্রকাশিত হবে পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটার তালিকা এবং ২৬ জুলাই প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।

সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি এবং পরিচালক পদের প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ আগস্ট। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ১৪ আগস্ট নির্বাচন বোর্ড চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে।

কোনো প্রার্থী যদি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে তাকে ১৬ আগস্ট দুপুর ২টার মধ্যে নির্বাচন বোর্ডকে লিখিতভাবে জানাতে হবে এবং সে দিনই প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তনের হাওয়ায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমও পদত্যাগ করেন।

গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা ও নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রশাসক বসায় সরকার।

প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য হাফিজুর রহমান।

২০২৩ সালের ২ আগস্ট এফবিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি মাহবুবুল আলম। দায়িত্ব নেওয়ার এক বছরের মাথায় তাকে সরে যেতে হয়।

চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে থাকা মাহবুবুল আলম ই-মেইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে সেসময় এফবিসিসিআই এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান জাফর ইকবাল জানিয়েছিলেন।

ই-মেইলে পাঠানো পদত্যাগপত্রে ‘অসুস্থতাজনিত কারণে’ ইস্তফা দেওয়ার কথা বলেছেন মাহবুবুল আলম। তিনি পদত্যাগের পর বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিন হেলালী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠিয়ে নিজেকে এফবিসিসিআই এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দাবি করেন।

তার ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল, “সভাপতির পদত্যাগের পরে আমিন হেলালী ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করার পেছনে বোর্ড পুনর্গঠন সংক্রান্ত কোনো তথ্য-প্রমাণাদি উপস্থাপন করা হয়নি এবং তার প্রেরিত পত্রটি তারিখের দিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ। সংগঠনটি সার্বিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না, তাই পর্ষদ ভেঙে দেওয়া আবশ্যক।”

এফবিসিসিআই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি নিবন্ধিত বাণিজ্যিক সংগঠন। এই সংগঠনের কার্যক্রমে অস্থিরতা বা যথাসময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার মতো বিশেষ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২২ এর ১৭(১) ধারা অনুযায়ী সরকার ‘ব্যবসা, শিল্প, বাণিজ্য, সেবাখাতের স্বার্থে’ নিবন্ধিত সংগঠনের পর্ষদ ভেঙে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারে।