এর ফলে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, বাজার পরিধির সম্প্রসারণ ঘটবে এবং পরিচালন ব্যয় কমবে বলে আশা করছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
ওয়ালটন হাই-টেকের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে ওয়ালটন ডিজি-টেক

- আপডেট সময় ০৬:১০:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩৩ বার পড়া হয়েছে
দেশীয় প্রযুক্তি খাতে কৌশলগত এক পদক্ষেপে ওয়ালটন গ্রুপের দুই কোম্পানি এক হচ্ছে। প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী কোম্পানি ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড একীভূত হচ্ছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সঙ্গে।
এ বিষয়ে ওয়ালটন গ্রুপের এ দুই কোম্পানির মধ্যে বুধবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। একই দিনে ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালনা পর্ষদের ৪৬তম সভায় তা অনুমোদনও করা হয়েছে।
এখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন পেলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কৌশলগত এই মার্জার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে।
তাতে ওয়ালটন ডিজি-টেকের ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (পিসিবি) ও ইলেকট্রিক বাইকের মত পণ্য যুক্ত হয়ে ওয়ালটন হাই-টেকের পণ্যসম্ভার আরও সমৃদ্ধ হবে।
এর ফলে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবসায়িক সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, বাজার পরিধির সম্প্রসারণ ঘটবে এবং পরিচালন ব্যয় কমবে বলে আশা করছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার ওয়ালটনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, মোবাইল ফোন, প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড বা পিসিবি, ইলেকট্রিক বাইকসহ ১২৩ ধরনের পণ্য ও এক্সেসরিজ উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে।
বাংলাদেশের একমাত্র মোবাইল ফোন এবং প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা স্থাপন করেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক।
গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ওয়ালটন ডিজি-টেকের পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩০ কোটি টাকা, আর নিট রেভিনিউ ছিল ১ হাজার ১৫ কোটি ৯১ লাখ ১৪৬ টাকা। কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৮ কোটি ১৪ লাখ ২৩ হাজার ৬৪০ টাকা।
একই সময়ে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিশোধিত মূলধন ছিল ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩০ টাকা। নিট রেভিনিউ ছিল ৭ হাজার ৫১২ কোটি ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৬ টাকা; কর পরবর্তী মুনাফা ছিল ১৩৫ কোটি ৬৫ লাখ ২৫ হাজার ৩২৭ টাকা।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, এলিভেটর, ফ্যান, কেবল, ওয়াশিং মেশিনসহ বিভিন্ন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদন, বাজারজাত ও রপ্তানি করে।
এ কোম্পানির চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মো. জিয়াউল আলম বলেন, “ওয়ালটন ডিজি-টেক দেশের শীর্ষ প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন, বিপণন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে গুণগতমানের উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন আইটি পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে চলেছে ওয়ালটন ডিজি-টেক।
“এমন একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়ায় আমি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য, সাধারণ বিনিয়োগকারীসহ অগণিত ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।”
তিনি বলেন, “এই একীভূতকরণ হলে ওয়ালটন হাই-টেকের ব্যবসার আরো সম্প্রসারণ ঘটবে। এতে বিনিয়োগকারীগণ আরো বেশি লাভবান হবেন ।”
ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, “শুরু থেকেই পুঁজিবাজারে অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সব ধরনের কমপ্লায়েন্স মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছে ওয়ালটন হাই-টেক। যার ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি।
“মৌলভিত্তিসম্পন্ন এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হলে ওয়ালটন হাই-টেক আরো সমৃদ্ধ হবে এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা আরো সম্প্রসারিত হবে।”
মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান – বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম