০৯:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দিলো আওয়ামী লীগ!

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১০:১০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩
  • / ৮১ বার পড়া হয়েছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠন হিসেবে আপাতত আওয়ামী লীগের ‘মৌখিক স্বীকৃতি’ পেল ওলামা লীগ। আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় কাউন্সিলে সংগঠনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (২০ মে) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওলামা লীগের প্রথম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে তাদের সহযোগী সংগঠন করা হবে নাকি সমমনা সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, ওলামা লীগকে আওয়ামী লীগের সহযোগী না সমমনা সংগঠন করা হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত। সেখানে তাদের স্বীকৃতি দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওলামা লীগের একটি ইচ্ছা ছিল যে তারা সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হবে। সময় লেগেছে, তবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সম্মেলন হয়েছে। আমরা ওলামা লীগকে শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি যেখানে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা স্থান পাবেন। কমিটিতে যেন বাস্তবতা ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন থাকে।

তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে ওলামা লীগের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা দেখা গিয়েছিল। তবে সেসব কাটিয়ে উঠে যেন একটি যোগ্য কমিটি হয়। এদিকে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, এতদিন ওলামা লীগ বিভিন্ন ধারায় চলেছে, বিতর্কিতভাবে চলেছে। বিরোধী কথাবার্তা বলা যাবে না, বিরোধ করা যাবে না। শেখ হাসিনার সরকার যে কথা বলবে তার সঙ্গে মিলিয়ে কথা বলতে হবে।

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপি-জামায়াত নানান ষড়যন্ত্র করছে। তাই চোখ-কান খোলা রেখে রাজপথে থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র যাতে শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে না পারে, সেই জন্য সতর্ক থাকতে হবে। উল্লেখ্য, তিন দশক আগে ওলামা লীগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ২০০৬ সালের পর থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সক্রিয় হতে দেখা যায়। এরমধ্যেই বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

একপর্যায়ে ওলামা লীগ নামে কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই দাবি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে শেষ পর্যন্ত সংগঠনটিকে স্বীকৃতি দিলো ক্ষমতাসীন দলটি। ওলামা লীগ বরাবরই যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মতো সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা চেয়ে আসছে। তা না পেলে অন্তত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মতো ‘সমমনা’ সংগঠনের স্বীকৃতি চায় তারা।

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দিলো আওয়ামী লীগ!

আপডেট সময় ১০:১০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ মে ২০২৩

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠন হিসেবে আপাতত আওয়ামী লীগের ‘মৌখিক স্বীকৃতি’ পেল ওলামা লীগ। আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় কাউন্সিলে সংগঠনটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

শনিবার (২০ মে) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ওলামা লীগের প্রথম ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগকে স্বীকৃতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তবে তাদের সহযোগী সংগঠন করা হবে নাকি সমমনা সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে, সেটা ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, ওলামা লীগকে আওয়ামী লীগের সহযোগী না সমমনা সংগঠন করা হবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী জাতীয় কাউন্সিল পর্যন্ত। সেখানে তাদের স্বীকৃতি দেবেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ওলামা লীগের একটি ইচ্ছা ছিল যে তারা সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠিত হবে। সময় লেগেছে, তবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে এই সম্মেলন হয়েছে। আমরা ওলামা লীগকে শেখ হাসিনার পরীক্ষিত সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমি ১০১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিচ্ছি যেখানে ত্যাগী ও সিনিয়র নেতারা স্থান পাবেন। কমিটিতে যেন বাস্তবতা ও রাজনৈতিক আদর্শের প্রতিফলন থাকে।

তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজপথে ওলামা লীগের কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। মাঝে কিছুটা স্বেচ্ছাচারিতা দেখা গিয়েছিল। তবে সেসব কাটিয়ে উঠে যেন একটি যোগ্য কমিটি হয়। এদিকে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ বলেন, এতদিন ওলামা লীগ বিভিন্ন ধারায় চলেছে, বিতর্কিতভাবে চলেছে। বিরোধী কথাবার্তা বলা যাবে না, বিরোধ করা যাবে না। শেখ হাসিনার সরকার যে কথা বলবে তার সঙ্গে মিলিয়ে কথা বলতে হবে।

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপি-জামায়াত নানান ষড়যন্ত্র করছে। তাই চোখ-কান খোলা রেখে রাজপথে থাকতে হবে। কোনো ষড়যন্ত্র যাতে শেখ হাসিনার সরকারকে হটাতে না পারে, সেই জন্য সতর্ক থাকতে হবে। উল্লেখ্য, তিন দশক আগে ওলামা লীগের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে ২০০৬ সালের পর থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীদের সক্রিয় হতে দেখা যায়। এরমধ্যেই বহু ভাগে বিভক্ত হয়ে নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

একপর্যায়ে ওলামা লীগ নামে কোনো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক নেই দাবি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে শেষ পর্যন্ত সংগঠনটিকে স্বীকৃতি দিলো ক্ষমতাসীন দলটি। ওলামা লীগ বরাবরই যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের মতো সহযোগী সংগঠনের মর্যাদা চেয়ে আসছে। তা না পেলে অন্তত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মতো ‘সমমনা’ সংগঠনের স্বীকৃতি চায় তারা।