“দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম লক্ষ্য,” বলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
‘কথামালার’ রাজনীতি মানুষ আর চায় না: তারেক রহমান

- আপডেট সময় ০১:৫৬:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩৮ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সোমবার জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দেশের মানুষ আর ‘কথামালার’ রাজনীতি চায় না, তারা প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সোমবার ঢাকায় এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “কথামালার রাজনীতি দেশের মানুষ আর চায় না। পরিষ্কারভাবে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি যেমন বুঝি, এখানে প্রত্যেকটি মানুষ অনুধাবন করেন, বাংলাদেশের জনগণ পরিবর্তন চায়। আর স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি নয়, জনগণ এবার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায়।
“বিএনপি জনগণের সেই আকাঙ্ক্ষা ধারণ করেই আগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রণয়ন করছে, প্রণয়নের চেষ্টা করছে। আমাদের নেতাকর্মী, আমাদের দলের ভেতরে, দলের বাইরে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ যারা আছেন, তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছি, কাজ করছি।”
রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ আলোচনা সভা হয়। ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শিরোনামে জাতীয়তাবাদী যুবদল এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
এতে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমাদের আগামী দিনের নীতি হলো জনগণের জীবন উন্নয়নের রাজনীতি। দেশ-বিদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই হবে আমাদের রাজনীতির অন্যতম মূল লক্ষ্য।
‘‘আমরা মনে করি, জনগণই বিএনপির সব রাজনৈতিক ক্ষমতার উৎস। জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমরা যত দ্রুত সম্ভব, আমাদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের কাজ শুরু করব।
“তবে সারাদেশে জনগণের কাছে বিএনপির পরিকল্পনাগুলো পৌঁছে দিতে হবে। যারা শহীদ জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে নেত্রী মানেন, তাদের সবার দায়িত্ব আমাদের এসব পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরা। কারণ এগুলো বাস্তবায়নে জনগণের রায় আমাদের প্রয়োজন।”
‘জনগণের আস্থা পেলেই কেবল আপনি নেতা’
যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তারেক রহমান বলেন, “বিগত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুবদলের নেতাকর্মীরা নির্যাতন, নিপীড়ন উপেক্ষা করেও রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলন করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের শত নির্যাতনে, নিপীড়নেও যুবদল পিছিয়ে যায়নি, রাজপথ ছেড়ে যায়নি। শুধু জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানে যুবদলের ৭৮ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন।
মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম