০৯:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

করতোয়া-ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি: নদীগর্ভে ২০ দোকান

বিশেষ প্রতিবেদন
  • আপডেট সময় ১০:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩
  • / ৮২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাই নদীর বেপরোয়া ভাঙনে ওই এলাকার পুরনো গ্রামীণ ব্যবসা কেন্দ্র টাঙ্গাইলের ফতেপুর বাজারের ২০টি দোকানসহ এক-তৃতীয়াংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদী ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। তবে ঘাঘট ও তিস্তার পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সিলেটে সব নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে।

টাঙ্গাইল ॥ দুইশ’ বছরের পুরনো পৈত্রিক ভিটা হারিয়ে এখন বাকরুদ্ধ খিতিশ পাল। শুধু পৈত্রিক ভিটা নয়, একমাত্র উপার্জনের পথ মিষ্টির দোকানটিও চলে গেছে ঝিনাই নদীর পেটে। একইভাবে গোবিন্দ, আনন্দ, রমেন, মনোরঞ্জন, জীতেন, মনি গোসাই, শফিকুল ইসলাম, ছানোয়ার ও লুৎফর রহমানসহ কমপক্ষ ১৫টি পরিবার নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে পরের জায়গার বাসিন্দা হয়ে পড়েছেন। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে খর স্রোতা নদী ঝিনাইর ভাঙনে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। মির্জাপুরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ঝিনাই নদীর ভাঙন দেখতে সোমবার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার পুরনো ব্যবসা কেন্দ্র টাঙ্গাইলের ফতেপুর বাজারের ২০টি দোকানসহ এক-তৃতীয়াংশ জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে বাজার সংলগ্ন পালপাড়ায় ৮টি মৃৎশিল্পী পরিবারসহ ১৫টি পরিবারের বসতঘরসহ প্রায় পুরো ভিটাবাড়ি  ঝিনাইর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

সোমবার ফতেপুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের চালা খুঁটি সরিয়ে অন্যের বাড়িতে রেখেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নদীর গ্রাসে সব হারিয়ে ক্ষিতিশ পাল পরিবার পরিজন নিয়ে দুটি চৌকির ওপর পলিথিনের তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়ি সংলগ্ন ফতেপুর বাজারে তার একটি মিষ্টির দোকান ছিল সেটিও নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষিতিশ পাল বলেন, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে আমরা ভিটামাটি ও বসতঘর হারাতাম না। আমাদের একটাই দাবি সরকার যেন আমাদের রক্ষা করে। এখনো সময় আছে মাথাগোঁজার শেষ ঠাঁইটুকু রক্ষা করার। তা না হলে আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। এদিকে এই ভাঙন প্রতিরোধে আপৎকালীন ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ও টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

গাইবান্ধা ॥ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদী ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। তবে ঘাঘট ও তিস্তার পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নদ-নদীর পানি পরিমাপ করে এ তথ্য জানিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, সোমবার বিকেল ৩টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে। করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে সদর, গোবিন্দগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নদীবর্তী নি¤œাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে চরসহ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী পারের মানুষ। পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নতুন নতুন এলাকায় পানি ওঠার শঙ্কা রয়েছে। গাইবান্ধা পানি উনয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদের পানি বাড়লেও তিস্তা ও ঘাঘটের পানি কমতে শুরু করেছে।

সিলেট ॥ পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় সিলেটে সকল নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে।  সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮৬ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩০৭ মিলিমিটারের বেশি।  মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সিলেটে দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার দিনে রোদের প্রখরতায় তীব্র গরম অনুভূত হয়। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সোমবার সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেটি কমে ১১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় ১০ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেটি কমে ১০ দশমিক শূন্য ১ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার।

সুনামগঞ্জ ॥ ধর্মপাশায় টানা চারদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও ভারতের মাটিয়ান ও মেঘালয় পাহাড়ের ঢলের পানি বিপৎসীমায় প্রবাহিত হয়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কাঁচা ও পাকা সড়ক ডুবে যাওয়ায় গ্রামবাসী নৌকাযোগে চলাচল করছেন। গত বছরের ন্যায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে দুপুর ১২টায় নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়। টানা চারদিন অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় একাধিক ইউনিয়নে কাঁচা ও পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসী এখন নৌকাযোগে চলাচল করছেন। বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে নিচু স্থানে ৪/৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

 

 

 

ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

করতোয়া-ব্রহ্মপুত্রে পানি বৃদ্ধি: নদীগর্ভে ২০ দোকান

আপডেট সময় ১০:২১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুলাই ২০২৩

ঝিনাই নদীর বেপরোয়া ভাঙনে ওই এলাকার পুরনো গ্রামীণ ব্যবসা কেন্দ্র টাঙ্গাইলের ফতেপুর বাজারের ২০টি দোকানসহ এক-তৃতীয়াংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদী ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। তবে ঘাঘট ও তিস্তার পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। এদিকে সিলেটে সব নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে।

টাঙ্গাইল ॥ দুইশ’ বছরের পুরনো পৈত্রিক ভিটা হারিয়ে এখন বাকরুদ্ধ খিতিশ পাল। শুধু পৈত্রিক ভিটা নয়, একমাত্র উপার্জনের পথ মিষ্টির দোকানটিও চলে গেছে ঝিনাই নদীর পেটে। একইভাবে গোবিন্দ, আনন্দ, রমেন, মনোরঞ্জন, জীতেন, মনি গোসাই, শফিকুল ইসলাম, ছানোয়ার ও লুৎফর রহমানসহ কমপক্ষ ১৫টি পরিবার নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে পরের জায়গার বাসিন্দা হয়ে পড়েছেন। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে খর স্রোতা নদী ঝিনাইর ভাঙনে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েন। মির্জাপুরের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ঝিনাই নদীর ভাঙন দেখতে সোমবার উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার পুরনো ব্যবসা কেন্দ্র টাঙ্গাইলের ফতেপুর বাজারের ২০টি দোকানসহ এক-তৃতীয়াংশ জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে বাজার সংলগ্ন পালপাড়ায় ৮টি মৃৎশিল্পী পরিবারসহ ১৫টি পরিবারের বসতঘরসহ প্রায় পুরো ভিটাবাড়ি  ঝিনাইর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।

সোমবার ফতেপুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের চালা খুঁটি সরিয়ে অন্যের বাড়িতে রেখেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। নদীর গ্রাসে সব হারিয়ে ক্ষিতিশ পাল পরিবার পরিজন নিয়ে দুটি চৌকির ওপর পলিথিনের তাঁবু টানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বাড়ি সংলগ্ন ফতেপুর বাজারে তার একটি মিষ্টির দোকান ছিল সেটিও নদীগর্ভে চলে গেছে। ক্ষিতিশ পাল বলেন, গত বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে আমরা ভিটামাটি ও বসতঘর হারাতাম না। আমাদের একটাই দাবি সরকার যেন আমাদের রক্ষা করে। এখনো সময় আছে মাথাগোঁজার শেষ ঠাঁইটুকু রক্ষা করার। তা না হলে আমাদের রাস্তায় থাকতে হবে। এদিকে এই ভাঙন প্রতিরোধে আপৎকালীন ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ও টাঙ্গাইল জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগণ ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

গাইবান্ধা ॥ কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধায় করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদী ভাঙনের শঙ্কায় রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। তবে ঘাঘট ও তিস্তার পানি কমা অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে নদ-নদীর পানি পরিমাপ করে এ তথ্য জানিয়েছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, সোমবার বিকেল ৩টা থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার কমেছে। করতোয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বৃদ্ধির ফলে সদর, গোবিন্দগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নদীবর্তী নি¤œাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে চরসহ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদী পারের মানুষ। পানি আরও বৃদ্ধি পেলে নতুন নতুন এলাকায় পানি ওঠার শঙ্কা রয়েছে। গাইবান্ধা পানি উনয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক বলেন, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদের পানি বাড়লেও তিস্তা ও ঘাঘটের পানি কমতে শুরু করেছে।

সিলেট ॥ পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় সিলেটে সকল নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে।  সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৮৬ দশমিক ১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ৩০৭ মিলিমিটারের বেশি।  মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় সিলেটে দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার দিনে রোদের প্রখরতায় তীব্র গরম অনুভূত হয়। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে সোমবার সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেটি কমে ১১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় ১০ দশমিক ২১ সেন্টিমিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সেটি কমে ১০ দশমিক শূন্য ১ সেন্টিমিটারে দাঁড়ায়। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক শূন্য ৫ সেন্টিমিটার।

সুনামগঞ্জ ॥ ধর্মপাশায় টানা চারদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি ও ভারতের মাটিয়ান ও মেঘালয় পাহাড়ের ঢলের পানি বিপৎসীমায় প্রবাহিত হয়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কাঁচা ও পাকা সড়ক ডুবে যাওয়ায় গ্রামবাসী নৌকাযোগে চলাচল করছেন। গত বছরের ন্যায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে দুপুর ১২টায় নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়। টানা চারদিন অবিরাম বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় একাধিক ইউনিয়নে কাঁচা ও পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসী এখন নৌকাযোগে চলাচল করছেন। বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে নিচু স্থানে ৪/৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।