০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’ জেফ্রি হিনটন গুগল ছাড়লেন

নিজস্ব সংবাদ দাতা
  • আপডেট সময় ১২:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে

আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত জেফ্রি হিনটন গুগলের চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১ মে) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই গুগল থেকে পদত্যাগ করেছেন। খবর সিএনএনের।

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিনটন জানান, তিনি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপজ্জনক হয়ে ওঠার বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের উন্নয়নে তার যা কাজ, সেজন্য এখন তার অনুশোচনা হচ্ছে। এই চ্যাটবটগুলো এখন এমন বিপদজনক মাত্রায় বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছে, যা রীতিমত ‘আতঙ্ক জাগানোর মত’।

তিনি বলেন, আমার জানা মতে, এখনও তারা আমাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমার মনে হয়, শিগগিরই তারা আমাদের ছাড়িয়ে যাবে। হিনটন জানান, তিনি গুগল ছেড়েছেন, কারণ তিনি চান আরও স্বাধীনভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে কথা বলতে। আর এটি নিয়ে কথা বলতে গেলে গুগলের প্রসঙ্গ আসবেই। নৈতিক সংঘর্ষ এড়াতেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি গুগল ছেড়েছি যাতে আমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে কথা বলতে পারি। কথা বলার সময় আমাকে যাতে এটি ভাবতে না হয় যে, আমার মন্তব্যের প্রভাব গুগলের ওপর পড়তে পারে।’ তিনি টুইটে আরও জানান, গুগল অতীতে এই বিষয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গেই কাজ করেছে। ৭৫ বছর বয়সী হিনটন হলেন তাদেরই একজন, যারা মানুষের মস্তিষ্কের গঠন অনুসরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই হিনটন গুগলের হয়ে কাজ করে আসছিলেন। এদিকে, গুগলের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ ডিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের দায়িত্বশীল ব্যবহারের বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, সে বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি, সেই সঙ্গে আমরা উদ্ভাবনও চালিয়ে যাচ্ছি।
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’ জেফ্রি হিনটন গুগল ছাড়লেন

আপডেট সময় ১২:৫৮:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩

আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘গডফাদার’ হিসেবে পরিচিত জেফ্রি হিনটন গুগলের চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সোমবার (১ মে) এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানিয়েছেন, গত সপ্তাহেই গুগল থেকে পদত্যাগ করেছেন। খবর সিএনএনের।

একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হিনটন জানান, তিনি মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপজ্জনক হয়ে ওঠার বিষয়টি নিয়ে শঙ্কিত। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের উন্নয়নে তার যা কাজ, সেজন্য এখন তার অনুশোচনা হচ্ছে। এই চ্যাটবটগুলো এখন এমন বিপদজনক মাত্রায় বুদ্ধিমান হয়ে উঠেছে, যা রীতিমত ‘আতঙ্ক জাগানোর মত’।

তিনি বলেন, আমার জানা মতে, এখনও তারা আমাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান হয়ে ওঠেনি। কিন্তু আমার মনে হয়, শিগগিরই তারা আমাদের ছাড়িয়ে যাবে। হিনটন জানান, তিনি গুগল ছেড়েছেন, কারণ তিনি চান আরও স্বাধীনভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে কথা বলতে। আর এটি নিয়ে কথা বলতে গেলে গুগলের প্রসঙ্গ আসবেই। নৈতিক সংঘর্ষ এড়াতেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি গুগল ছেড়েছি যাতে আমি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিপদ নিয়ে কথা বলতে পারি। কথা বলার সময় আমাকে যাতে এটি ভাবতে না হয় যে, আমার মন্তব্যের প্রভাব গুগলের ওপর পড়তে পারে।’ তিনি টুইটে আরও জানান, গুগল অতীতে এই বিষয়ে দায়িত্বশীলতার সঙ্গেই কাজ করেছে। ৭৫ বছর বয়সী হিনটন হলেন তাদেরই একজন, যারা মানুষের মস্তিষ্কের গঠন অনুসরণ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই হিনটন গুগলের হয়ে কাজ করে আসছিলেন। এদিকে, গুগলের প্রধান বিজ্ঞানী জেফ ডিন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের দায়িত্বশীল ব্যবহারের বিষয়ে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। কী ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে, সে বিষয়ে আমরা প্রতিনিয়ত শিখছি, সেই সঙ্গে আমরা উদ্ভাবনও চালিয়ে যাচ্ছি।