বিক্ষোভ শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়: দ্রুত অধ্যাদেশের দাবিতে বুধবার বিক্ষোভের ডাক

- আপডেট সময় ০১:২১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে
ঢাকার সরকারি সাত কলেজকে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করে দ্রুত অধ্যাদেশ জারির দাবিতে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকা কলেজের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর আন্দোলনের সদস্য নাইম হাওলাদার।
তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধীরে ধীরে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু হয়েছে। চলতি অগাস্টে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সরকার সোমবার ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (প্রস্তাবিত) নিয়ে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।
“দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে জাতির সামনে এসে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা তুলে ধরেছে। আমরা শিক্ষার্থীরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সরকারের এ পদক্ষেপকে একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছি। এজন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।”
ঢাকা কলেজের এ শিক্ষার্থী বলেন, “কিন্তু এখানে শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় দাবি- নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ, সনদ এবং লোগোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের কথা বলা হলেও নির্দিষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি।
“অধ্যাদেশের বিষয়ে এর আগেও আমাদের একাধিক আল্টিমেটামে কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। ইচ্ছাকৃতভাবে এ বিষয়ে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে আমাদের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।”
নাইম হাওলাদার বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকারের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা না থাকায় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই পূর্বঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী, দ্রুত সময়ের মধ্যে অধ্যাদেশ জারি, সনদ ও লোগো প্রকাশ করে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়ার দাবিতে আগামীকাল বুধবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির আহ্বান করা হয়েছে।
“ঢাকা কলেজের সামনে থেকে সকাল ১১টায় এ কর্মসূচি শুরু হবে। বিক্ষোভ শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা হবে ‘ইন্টার ডিসিপ্লিনারি’ ও ‘হাইব্রিড ধরনের’। সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে ভাগ করা হবে; সব ক্লাস সশরীরে হবে না, পঠন-পাঠনের ধারাও হবে দেশের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আলাদা। সেখানে ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনে ও ৬০ শতাংশ ক্লাস অফলাইনে অনুষ্ঠিত হবে৷ তবে সব পরীক্ষা হবে সশরীরে।
সাবরিনা জাহান- বিশেষ প্রতিনিধি : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম