০৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগের মিছিল, মামলায় আসামি দেড় হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ০৬:২৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
  • / ৬০ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানা

 

গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ ও সংহিসতার পরদিন কোটালীপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনায় দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার ১৮ জুলাই কোটালীপাড়া থানার এসআই উত্তম কুমার সেন বাদী হয়ে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

বিকাল পর্যন্ত এ মামলায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আব্দুল আলিম (১৮), মহিবউল্লাহ শেখ (৩৫), সিরাজুল শেখ (২০), দীপ্ত কাজী (২০), প্রিন্স অধিকারী (১৮), মোরশালিন মুন্সী (২৯), রিফাত বিশ্বাস (২৫), সাগর শেখ (৩৮), মানিক শেখ (৫৬), সজল দাড়িয়া (৩০), আব্দুল হাকিম (৩৫) এবং টুটুল হাওলাদার (২৮)।

ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদারহাটে জড়ো হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা গাছ কেটে সড়ক অবরোধের চেষ্টা এবং জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়ান। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে

এর আগে বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশ কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

নিহতরা হলেন- শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৭), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।

পরে বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মুন্সি (৩৫) নামে এক রিকশা চালক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়।

ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই  রাতে সদর উপজেলার গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

বুধবার ১৬ জুলাই সংঘাতের পর গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ শুক্রবার ১৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়। পরে আবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলতি কারফিউ বলবৎ রাখার ঘোষণা দেয় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশেষ ক্ষমতা আইনের এই মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগের মিছিল, মামলায় আসামি দেড় হাজার

আপডেট সময় ০৬:২৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫

 

গোপালগঞ্জ শহরে এনসিপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ ও সংহিসতার পরদিন কোটালীপাড়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলের ঘটনায় দেড় হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার ১৮ জুলাই কোটালীপাড়া থানার এসআই উত্তম কুমার সেন বাদী হয়ে ১৫৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।

বিকাল পর্যন্ত এ মামলায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কোটালীপাড়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- আব্দুল আলিম (১৮), মহিবউল্লাহ শেখ (৩৫), সিরাজুল শেখ (২০), দীপ্ত কাজী (২০), প্রিন্স অধিকারী (১৮), মোরশালিন মুন্সী (২৯), রিফাত বিশ্বাস (২৫), সাগর শেখ (৩৮), মানিক শেখ (৫৬), সজল দাড়িয়া (৩০), আব্দুল হাকিম (৩৫) এবং টুটুল হাওলাদার (২৮)।

ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এক হাজার ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই কোটালীপাড়া উপজেলার ওয়াবদারহাটে জড়ো হয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা গাছ কেটে সড়ক অবরোধের চেষ্টা এবং জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়ান। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে

এর আগে বুধবার গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা ও সমাবেশ কর্মসূচিতে দফায় দফায় হামলার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। একপর্যায়ে পুরো শহরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষের মধ্যে চারজন নিহত এবং অন্তত নয়জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন।

নিহতরা হলেন- শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৭), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।

পরে বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রমজান মুন্সি (৩৫) নামে এক রিকশা চালক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজন হয়।

ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার ১৭ জুলাই  রাতে সদর উপজেলার গোপিনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আহম্মেদ আলী বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৪৫০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

বুধবার ১৬ জুলাই সংঘাতের পর গোপালগঞ্জে জারি করা কারফিউ শুক্রবার ১৮ জুলাই বেলা ১১টা থেকে তিন ঘণ্টার জন্য শিথিল করা হয়। পরে আবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চলতি কারফিউ বলবৎ রাখার ঘোষণা দেয় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম