কোয়াড গোষ্ঠীর সম্মেলনে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিলের জঙ্গি হামলায় জড়িত অপরাধীদের দ্রুত সাজার দাবিতেও সরব হয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
কোয়াড সম্মেলনে পাকিস্তানের নাম না করে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার নিন্দা

- আপডেট সময় ১১:৫৪:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
- / ১০৬ বার পড়া হয়েছে

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং, জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়ায়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ছবি: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে গঠিত কোয়াড গোষ্ঠীর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিলে জঙ্গি হামলার নিন্দা জানিয়ে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর আয়োজনে মঙ্গলবার (১ জুলাই) ওয়াশিংটন ডিসি-তে ‘কোয়াড’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এই সম্মেলন হয়েছে। পাকিস্তানের নাম না করে সম্মেলনের যৌথ বিবৃতিতে পেহেলগামে হামলা নিয়ে বক্তব্য দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “কোয়াড দ্ব্যর্থহীনভাবে সব ধরনের সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা করে। সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতায় আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই।
“পেহেলগামে ঘটা হামলার পেছনে জড়িত অপরাধী, সংগঠক এবং অর্থদাতাদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। জাতিসংঘের সব সদস্য দেশকে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করার জন্য এগিয়ে আসতে বলছি।”
সম্মেলনের মঞ্চ থেকে যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে ঢুকে হিংসাত্মক উগ্রপন্থার বিরোধিতায় আওয়াজ তুলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
পেহেলগামে জঙ্গি হামলার রেশ এখনও কাটেনি। ওই ঘটনায় বৈসরন উপত্যকায় ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের উপর জঙ্গিদের নির্বিচারে গুলিতে ২৬ জন নিহত হয়েছিল।
‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি জঙ্গি সংগঠন এই ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করে। এই সংগঠনটি পাকিস্তান-ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার একটি শাখা।
হামলার ঘটনার বদলায় গত ৭ মে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর শুরু করে ভারত। এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে ভারত-পাকিস্তান সর্বাত্মক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল। পরে যুক্তরাষ্ট্র দুইপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।
তারপর এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে চার দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একযোগে পেহেলগামে হামলার নিন্দা জানালেন। ভারতের সন্ত্রাস দমনের উদ্যোগকেও সমর্থন জাানিয়েছে কোয়াডের দেশগুলো। একে বড় এক কূটনৈতিক জয় হিসাবেই দেখছে ভারত।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম