০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির বয়সসীমা ২ বছর বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হয়েছে।

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ কমল

মিজানুর রহমান খান - বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম
  • আপডেট সময় ১২:২৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩০ বার পড়া হয়েছে

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বুধবার প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: পিআইডি।

 

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এ মেয়াদের মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সভায় কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের নিকট হতে অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রত্যয়ন গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। তা না হলে কর্মকর্তাদের বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরণ-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‍্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করে সেটিকে সব ধরনের গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে পদ্ধতিগতভাবে ও স্বাধীনভাবে মূল্যায়নের দায়িত্ব দিতে হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদ করা কারিকুলামে মাঠপর্যায়ে কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করতে হবে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ মঞ্জুরের করা যাবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া সভায় কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশে এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে ‘ভার্চু’, ‘মোরালিটি’, ‘বিহেভিয়ারাল সায়েন্স’, ‘কোড অব এথিকস’ প্রভৃতি বিষয় মডিউলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম

নিউজটি শেয়ার করুন

কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির বয়সসীমা ২ বছর বাড়িয়ে ৪৭ বছর করা হয়েছে।

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ কমল

আপডেট সময় ১২:২৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

ক্যাডার কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের মেয়াদ ছয় মাস থেকে কমিয়ে চার মাস করা হয়েছে। এ মেয়াদের মধ্যে তিন মাস প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে এবং এক মাস মাঠপর্যায়ে ওরিয়েন্টেশন ও গ্রাম সংযুক্তি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় প্রশিক্ষণ কাউন্সিলের নবম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সভায় কর্মকর্তাদের মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৪৭ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে প্রতি বছর তত্ত্বাবধায়কের নিকট হতে অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রত্যয়ন গ্রহণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। তা না হলে কর্মকর্তাদের বেতন বন্ধ রাখা হবে।

সভায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারি যত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে সেগুলোর ওপর মূল্যায়ন করতে হবে। কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, প্রশিক্ষণের ধরণ-মান ইত্যাদির মানদণ্ড নির্ধারণ করে ক্যাটাগরিভিত্তিক প্রতিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে র‍্যাংকিং করতে হবে এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি স্বাধীন ইউনিট গঠন করে সেটিকে সব ধরনের গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে পদ্ধতিগতভাবে ও স্বাধীনভাবে মূল্যায়নের দায়িত্ব দিতে হবে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক দর্শন জানতে হবে। সেগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না দেখতে হবে। সরকারি কর্মকর্তারা যারা বিদেশ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছেন তাদের তথ্য সেখানে থাকবে।

সভায় সঞ্জীবনী প্রশিক্ষণের নাম পরিবর্তন করে ‘দক্ষতা নবায়ন প্রশিক্ষণ’ নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ হালনাগাদ করা কারিকুলামে মাঠপর্যায়ে কোনো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আয়োজন করতে হবে। উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আংশিক বৃত্তিপ্রাপ্ত হলেও প্রেষণ মঞ্জুরের করা যাবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া সভায় কর্মচারীদের সততা ও নৈতিকতা বিকাশে এবং দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব তৈরিতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণে ‘ভার্চু’, ‘মোরালিটি’, ‘বিহেভিয়ারাল সায়েন্স’, ‘কোড অব এথিকস’ প্রভৃতি বিষয় মডিউলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক মূল্যায়ন এবং প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে গবেষণা, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে একটি নির্বাহী কমিটি (ইসিএনটিসি) গঠন করা হয়।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম, জনপ্রশাসন সচিব মো. মোখলেস উর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

 

 

মিজানুর রহমান খান – বিশেষ প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম