“দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট নিয়ে রোববার সিদ্ধান্ত দেবে ঐকমত্য কমিশন। সেটা আসার পর আমরা সম্মতি বা অসম্মতির বিষয়ে জানাতে পারব," বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
গণভোট ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থায় ‘হাত দেওয়া’ যাবে না: বিএনপি

- আপডেট সময় ০৮:১৬:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
- / ৩২ বার পড়া হয়েছে

ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে আসেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
ভবিষ্যতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় কেউ যেন ‘হাত দিতে না পারে’, সেজন্য সংবিধানে ‘শক্তিশালী’ সংশোধনী আনার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে সংশোধনীটা শক্তিশালী করতে চাই; ভবিষ্যতে যেন কেউ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় হাত না দিতে পারে।
“তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় কেউ যদি পরিবর্তন আনতে চায়, সেটাও গণভোটের মাধ্যমে করার প্রস্তাব দিয়েছি।”
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিএনপির নেতারা।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আজকের আলোচনা ছিল দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট নিয়ে। উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষে কীভাবে নির্বাচন হবে, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকায় ঐকমত্য হয়নি।
“দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট গঠনের বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলই একমত। কিন্তু এর গঠন প্রক্রিয়া কী হবে এবং এর ক্ষমতা ও কার্যাবলী কী হবে, তা নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ আছে।”
এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বিএনপির ৩১ দফার ভিত্তিতে দ্বিকক্ষ পার্লামেন্ট সৃষ্টির প্রস্তাব করেছিলাম। দেশের বিভিন্ন খাতের বিশিষ্টজন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী এবং জাতি গঠনে যাদের অবদান আছে, তাদেরকে নিয়ে এটা করা যায় কিনা। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কথাও আছে।”
তিনি বলেন, “বিদ্যমান সংবিধানে সংরক্ষিত নারী আসন যেভাবে নির্ধারণ হয়, সেভাবে উচ্চকক্ষ গঠনের কথা বলা হচ্ছে। তবে বিষয়টা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে।
“কেউ চান পিআর পদ্ধতিতে, মানে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে। এখানে আবার পাওয়ার ফাংশনের বিষয় আছে। সাধারণ বিল কীভাবে পাস হবে, সংবিধান সংশোধন হলে আপার হাউজে কীভাবে পাস হবে, ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও ঐকমত্য আসেনি।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “এখন দ্বিকক্ষ পার্লামেন্টের প্রয়োজন আছে কিনা, সেই প্রশ্ন অনেক দল তুলেছে। আমাদের দেশের যে আর্থিক সক্ষমতা, সেই বিষয়ে আরেকটি পার্লামেন্ট সৃষ্টি করা এবং সেই পার্লামেন্ট যদি নিম্নপক্ষের রিপাবলিক হয়, তাহলে সেটার প্রয়োজন আছে কিনা, সেসব প্রশ্ন এসেছে। কারণ এটাও একটা আলাদা পার্লামেন্টের মত ব্যয়বহুল পার্লামেন্ট হবে।
“এসব বিষয়ে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন সবার মতামত নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত দেবে আগামী রোববার। সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর আমরা প্রতিক্রিয়া বা আমাদের সম্মতি বা অসম্মতি জানাতে পারব।”
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম