পলাশ রানার ৪ অগাস্ট ইস্যু করা জন্মনিবন্ধনে জন্ম তারিখ দেখানো হয় ১৫ জানুয়ারি ২০০৮। অথচ জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ১ জুন ২০০০।
গাইবান্ধায় প্রাপ্তবয়স্ককে শিশু দেখিয়ে জামিন, আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা

- আপডেট সময় ০১:০১:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২৭ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জে প্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে শিশু হিসাবে জামিন নেওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে আইনজীবী শেফাউল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে বলে বুধবার সকালে জানিয়েছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহীনুল ইসলাম তালুকদার।
ওসি আরও জানান, গাইবান্ধা জেলা শিশু আদালতের পেশকার সালাহউদ্দিন বাদি হয়ে মঙ্গলবার বিকালে গাইবান্ধা সদর থানায় লিখিত এজাহার জমা দেন।
শেফাউল ইসলাম রিপন আলোচিত হ্যাকার চক্রের হোতা পলাশ রানার (২৫) মামলার আইনজীবী।
সরকারি ভাতা হ্যাক করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ জুলাই গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তালুককানুপুর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি থেকে পলাশ রানা ও তার সহযোগী সুমন মিয়া, সাইদুল ইসলাম ও আবু সাইদ লিটনকে আটক করে যৌথবাহিনী।
তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ মোবাইল সিম, মোবাইল ও প্রযুক্তি ডিভাইস উদ্ধার হয়। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় করা মামলায় গত ২০ জুলাই আমলী আদালতে তাদের জামিন নামঞ্জুর হলে ২৭ জুলাই জেলা দায়রা জজ আদালতে মিস কেস করেন আইনজীবী শেফাউল ইসলাম রিপন।
পরবর্তীতে ওই মামলাটির তথ্য গোপন রেখে তিনি আবার ৩ অগাস্ট জেলা শিশু আদালতে ভুয়া জন্মনিবন্ধন দিয়ে পলাশ রানার বয়স ১৭ বছর ৭ মাস দেখিয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে।
এ জালিয়াতির তথ্য ১২ অগাস্ট জেলা দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী সরওয়ার হোসেন বাবুল উপস্থাপন করলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
আইনজীবী সরওয়ার হোসেন বাবুল বলেন, পলাশ রানার ৪ অগাস্ট ইস্যুকৃত জন্মনিবন্ধনে জন্ম তারিখ দেখানো হয় ১৫ জানুয়ারি ২০০৮। অথচ তার জাতীয় পরিচয়পত্রে জন্ম তারিখ ১ জুন ২০০০ (বয়স ২৫ বছর ২ মাস)। মামলার এজাহারেও বয়স ২৫ বছর উল্লেখ রয়েছে।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবু বকর সিদ্দিক ছানা বলেন, আদালতের নির্দেশে পলাশ রানার জামিন বাতিল এবং সংশ্লিষ্ট আইনজীবিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পরে মঙ্গলবার জেলা শিশু আদালতের বিচারক আইনজীবী শেফাউল ইসলাম রিপনের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেন জানিয়ে পেশকার সালাহউদ্দিন বলেন, “আদালতের নির্দেশে বাদী হয়ে থানায় এজাহার জমা দিয়েছি।”
এ বিষয়ে আইনজীবী শেফাউল ইসলাম রিপন তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “মামলা দায়ের হলে আদালতে মোকাবিলা করা হবে।”
নিঝুম আহমেদ – জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিডিপলিটিক্স টোয়েন্টিফোর ডটকম